স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
আগামী ২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় বিজয়ী হতে চলেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে রোববার মেয়র পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে পৌর সভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ৪৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৭জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ২জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ৩জন, ৬ নং ওয়ার্ডে ৬জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৩জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৪ জন ও ৩ নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এদিকে রোববার দুপুরে কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি।
এসময় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভ‚ইয়া জীবন, পৌর সভার বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভ‚ইয়া বকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম.এ.আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, মেয়র পদে মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে যদি তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয় ও তিনি যদি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করেন তাহলে তিনি বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় মেয়র পদে নির্বাচিত হবেন। মোঃ জিল্লুর রহমান আরো বলেন, কাউন্সিলর পদে পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে মোট ৪৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এই পৌর সভায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী দুই নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর সভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম হাক্কানি ওরফে এমজি হাক্কানি। আজ রোববার দলীয় প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানী কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কার্যালয়ে মেয়র পদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে দল মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানিকে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল। শনিবার বিকেলে কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মত বিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, নৌকা আমাকে জুয়েল বানিয়েছে। নৌকার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক। নৌকার সাথে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সম্পর্ক। আমি নৌকার সাথে বেঈমানি করবো না। নৌকার প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত না হন তাহলে আপনারা দুই নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন। নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। কোনো পদ পদবী আমার না থাকলেও আমি আগের মতোই জনগণের পাশে থাকবো। তিনি দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য জনগণের জনগনের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সুরক্ষা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর কালভৈরব ঘাটে এসব জাল ধংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়৷
এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য অফিসের লোকেরা সদর উপজেলার তিতাস নদীতে অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, দেশীয় প্রজননক্ষম মাছ ও পোনা মাছ রক্ষার্থে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বুধবার বিকলে তিতাস নদীত অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে আগুনে ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত জালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷
স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানী করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল একটি পিকআপ করে ১০০টি বক্স করে দুই টন (দুই হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ কর।
আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৪০টন ইলিশ ভারতে রপ্তানী করা হবে। বাংলাদেশের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন ইলিশ মাছগুলো রপ্তানী শুরু করে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিদ্যা এন্টার প্রাইজ ইলিশ মাছ আমদানি করেন।
মাছের সিএন্ডএফ এজেন্ট মাল্লা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোল্লা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ ছিল। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম চালান ২ টন মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানী করা হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্র জানায়, এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশনের মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট মোল্লা এন্টার প্রাইজ এসব মাছ ভারতে পাঠায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪০ টন মাছ রপ্তানি করা হবে। ভারতের বিদ্যা এন্টার প্রাইজ মাছের আমদানিকারক।
এ ব্যাপার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে একটি প্রতিষ্ঠান ১০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চায়। ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়ে সেটি বৃহস্পতিবার থেকে যাওয়া শুরু হয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর ত্রিপুরায় ইলিশ যাওয়ায় দু’দেশের ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যাপার আখাউড়া স্থল শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিডিএস কর্পোরেশন ৪০টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছ। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ডাকবাংলা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম এম.পি বলেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবাইক ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ-নির্বাচন দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সুরক্ষা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর কালভৈরব ঘাটে এসব জাল ধংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়৷
এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য অফিসের লোকেরা সদর উপজেলার তিতাস নদীতে অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, দেশীয় প্রজননক্ষম মাছ ও পোনা মাছ রক্ষার্থে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বুধবার বিকলে তিতাস নদীত অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে আগুনে ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত জালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজ্জামেল হক রেজা, প্রসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন৷
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে প্রথম যে আইনটি পাশ হয় সেটিই তথ্য অধিকার আইন। সেখানে বলা আছে, সরকার কাজ করে জনগণের স্বার্থে। জনস্বার্থে সরকার জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিবে। কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া যেমন দেশের নিরাপত্তার বিষয়, মামলা ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ছাড়া সকল তথ্য প্রত্যেক অফিস দিবে।
তিনি বলেন, স্বছতা হলেই জবাবদিহিতা আসবে, জবাবদিহিতা আসলেই উন্নয়ন হবে ও সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা সহজ হবে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সার্বিক পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকি, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমেরড নজরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, প্রেসক্লাবে সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, আয়কর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ উত্তম কুমার দাস, আবরনির নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মনির হোসেন, নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ শাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য বিজয় রঞ্জন সাহা, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, সদর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কবির আহমেদ রানা, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তকির আহমদ, আফরিন ফাতিহা জুই প্রমুখ৷
সভায় বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৬ মাস অতিক্রম হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এখন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা হয়নি৷ হয়নি স্টেশনের সংস্কারও৷ ফলে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের সাথে রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷ এতে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে৷
এ সময় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। সেই সাথে তারা ১৫ দিনের মধ্যে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত না করলে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম৷
জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা রতন কান্তি দত্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য।
সেই সাথে ফোরামের পক্ষ থেকে যথাসময়ে অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্যে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকসার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের মোঃ সাদেক মিয়া (৬৮), তার পুত্র রুবেল মিয়া (৩৩) ও পাবেল মিয়া (২৩)। রোববার বাদ জোহর রাজঘর ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে রাজঘর কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হককে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পিতা সাদেক মিয়াকে চোখের চিকিৎসা করাতে তার দুইপুত্র রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া রোববার ভোরে রাজঘর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসায় করে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হন। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো।
তাদেরকে বহনকারী অটোরিকসাটি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে অটোরিকসাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল ও পাভেল মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের পিতা সাদেক মিয়াকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাদেক মিয়াও মারা যায়।
নিহত সাদেক মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও কন্যা ইয়াসমিন বেগম ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই সালাউদ্দিন খান নোমান বলেন, যাত্রীবাহি অটোরিকসাটি তালশহর লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাবা সাদেক মিয়া মারা যায়।
এদিকে নিহতের স্বজনরা দূর্ঘটনার জন্য লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপারের গাফলতিকে দায়ী করেছেন। নিহত সাদেক মিয়ার চাচাতো ভাই আলমগীর, স্বজন নোমান মিয়া ও প্রতিবেশী আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দূর্ঘটনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট কিপার ছিলো না। গেইট খোলা পেয়ে অটোরিকসাটি লেভেল ক্রসিং অতিক্রম সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়।
এ ব্যাপারে লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপার মোঃ আনিসুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গেইট ফেলেছিলাম। অটোরিকসাটি গেইটের নিচ দিয়ে জোর করে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম দূর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রদান করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন, সহকারি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক ও অপারেশন) মোঃ আলাউদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) আহাদ আলী খলিফা ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম মাহমুদুর রহমান।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা দূর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কারা ঘটনার জন্য দায়ী এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল, মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল মিয়া (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোলচত্ত্বর যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ বেলাল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গনকিরপাড় গ্রামের আকছির মিয়ার ছেলে।
শনিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরের যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী বেলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত বেলাল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা ও টিউবওয়েল টেস্টারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি।
ঢাকার গবেষণা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সমাহার এর উদ্যোগে ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ বায়েজিদ আহম্মেদের সঞ্চলানায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল খায়ের।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আবদুল রহিম, সমাহারের টিম লিডার আব্দুল মান্নান ও প্রশিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অবহিতকরণ কর্মশালা শেষে টিউবওয়েলের পানির আর্সেনিক পরীক্ষা বিষয়ে টেস্টারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৮জন নব নিয়োগকৃত টিউবওয়েল টেস্টার অংশ গ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে উম্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের বাজার চারতলা গ্রামের মেঘনা নদীতে উম্মুক্ত জলাশয়ে প্রায় ৪০০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পীর সভাপতিত্বে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইউনিয়ন প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক সেলিম পারভেজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
আগামী ২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় বিজয়ী হতে চলেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে রোববার মেয়র পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে পৌর সভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ৪৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৭জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ২জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ৩জন, ৬ নং ওয়ার্ডে ৬জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৩জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৪ জন ও ৩ নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এদিকে রোববার দুপুরে কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানি।
এসময় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভ‚ইয়া জীবন, পৌর সভার বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভ‚ইয়া বকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম.এ.আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, মেয়র পদে মোঃ গোলাম হাক্কানি ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে যদি তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয় ও তিনি যদি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করেন তাহলে তিনি বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় মেয়র পদে নির্বাচিত হবেন। মোঃ জিল্লুর রহমান আরো বলেন, কাউন্সিলর পদে পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে মোট ৪৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এই পৌর সভায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী দুই নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর সভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম হাক্কানি ওরফে এমজি হাক্কানি। আজ রোববার দলীয় প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানী কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কার্যালয়ে মেয়র পদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে দল মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানিকে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল। শনিবার বিকেলে কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মত বিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, নৌকা আমাকে জুয়েল বানিয়েছে। নৌকার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক। নৌকার সাথে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সম্পর্ক। আমি নৌকার সাথে বেঈমানি করবো না। নৌকার প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত না হন তাহলে আপনারা দুই নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন। নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। কোনো পদ পদবী আমার না থাকলেও আমি আগের মতোই জনগণের পাশে থাকবো। তিনি দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য জনগণের জনগনের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবায় গোলাপ ফুল ও মাস্ক দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বরণ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। রোববার সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দুই হাজার গোলাপ ফুল ও দুই হাজার মাস্ক দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে বরণ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বন্ধের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহ দিতে তাদের এই আয়োজন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে গোলাপ ফুল ও মাস্ক দিয়ে বরণ করেন তারা।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমনের নেতৃত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম, কসবা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈকত আলী, টি.আলী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সফিউর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক সাইমুন চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সোহেল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ আলাল, সাফায়েত, দেলোয়ার, হৃদয়, তানভীর, শামীম, সোহাগ, নাঈম প্রমুখ।
ছাত্রলীগ নেতারা পর্যায়ক্রমে কসবা টি.আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কসবা মহিলা বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ, কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে ফুল ও মাস্ক দিয়ে বরণ করেন।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন বলেন, করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগ শুরু থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্দেশনায় মাঠে ছিলো। এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘ দিন পর স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহ দিতে ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগ এই কর্মসূচি গ্রহণ করে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি উপজেলা পরিষদের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেযারম্যান মোঃ মনির হেসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তার, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী।
আলোচনা সভায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নদীপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন “নোঙর” উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় নবীনগর লঞ্চঘাট টার্মিনালের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
“নোঙর” নবীনগর উপজেলার আহবায়ক সাংবাদিক মিঠু সূত্রধর পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলার কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আবদুর রৌফ, নোঙর কর্মী মোজাম্মেল হক, প্রভাষক আইনুল হক, শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা নৌ-পথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের জন্য যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট, বয়া সহ নৌযানে অভিজ্ঞতাপূর্ণ চালক নিশ্চিতের দাবি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় পাঁচটি নৌযানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন উপজেলার তিতাস নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিতাস নদীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নৌযানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নৌযানে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম না থাকা ও নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর অভিযোগে পাঁচটি নৌযানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ ধারায় পাঁচটি মামলায় পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এসময় নৌযানের মালিকদের ও যাত্রীদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি নৌপথে চলাচল করার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে তিতাস নদীতে নৌকা ডুবে রিয়াজ-লিজা দম্পতির মৃত্যু হয় এবং তাদের ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া নিখোঁজ হয়।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে গত সোমবার দুপুরে স্পীডবোটের ঢেউয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া ৮ বছরের শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের প্রায় ২৯ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ওই শিশুর লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে নৌকা ডুবিতে মারিয়ার বাবা রিয়াদ (৩০) ও মা লিজা আক্তারের মৃত্যু হয়। মৃত রিয়াদ নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।
এদিকে রিয়াদ ও লিজার লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের পক্ষে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, নবীনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট নৌপথে চলাচলকারী সকল স্পীডবোট চালকদের ডোপ টেস্ট করানো হবে। পাশাপাশি তাদেরকে বিআইডব্লিউটিএ এর নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক চালককে প্রশিক্ষিত লাইসেন্সধারী হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা খুব দ্রুত কাজ শুরু করব।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নৌকা ডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় উপজেলার উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় তিতাস নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রিয়াদ (৩০) ও তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২৫)। নৌকা ডুবিতে রিয়াদ ও লিজা দম্পতির ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া নিখোঁজ রয়েছে। রিয়াদ তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রিয়াদ তার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সোমবার দুপুরে রিয়াদ স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের ৮/৯জনকে নিয়ে নৌকায় করে তিতাস নদীতে ঘুরতে যান। এ সময় নদীতে একটি স্পিডবোট যাওয়ার সময় বড় ঢেউ সৃষ্টি হলে নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা অন্যান্যরা সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও রিয়াদ তার স্ত্রী লিজা ও শিশু কন্যা মারিয়া পানিতে তলিয়ে যায়।
পরে রিয়াদ ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু মারিয়া নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রিয়াদ ও তার স্ত্রী লিজার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু মারিয়ার খোঁজে ডুবুরিরা কাজ করছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ডাকবাংলা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম এম.পি বলেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবাইক ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ-নির্বাচন দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে থানা পুলিশের আয়োজনে থানা চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার।
থানার সাব-ইন্সপেক্টর জুলুস খানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথ বন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, ডাঃ শ্রীবাস দাস, প্রাক্তন শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাস, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য, সাংবাদিক সুজিত চক্রবর্তী, আকতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক ইউপি সচিব শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য নগেন্দ্র দাস, মহিলা ইউপি সদস্য পুতুল রানী দাস প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান, চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই.সি কাঞ্চন কুমার সিংহ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলার ১৫৩টি পূজা মন্ডপের সভাপতি-সম্পাদকগণ, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সর্বোচ্চ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
সভায় পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি নিজস্ব সেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পূজার নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক- নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সোমবার সকালে পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
“আমার ভবিষ্যৎ আমার হাতে, আমিই পারি সিদ্ধান্ত নিতে”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ওকাপ’র আয়োজনে ও আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় (আইএলও) সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম ওকাপে’র প্রজেক্ট ম্যানেজার তানজিলা তাবাসসুমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওকাপে’র চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোঃ তারেক,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সফিকুর ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা প্রদানকারী সংস্থা প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মধ্যে ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন ও নগদ ৬ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে নগদ টাকা ও টিন তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য, উপজেলা যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ভুইয়া প্রমুখ৷
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের প্রত্যেককে ঘরগুলো দ্রুত পূর্ণঃ মেরামতের জন্য ২ বান্ডেল করে টিন ও নগদ ৬ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গুচ্ছগ্রামে গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডে ১০টি পরিবারের নগদ টাকা, মালামালসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।
ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।
তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।
ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সকল নৌপথে নৌ দুর্ঘটনা রোধকল্পে এবং প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ( নাছিমা মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার, ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক হামদু, জিয়াউল হক বকুল, হাজী মোঃ জিতু মিয়া, সারোয়ার রহমান ভূঞা, কামরুজ্জামান রতন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, থানার এস.আই ইউনুছ মিয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পায় তিন বছর পর কোন ধরণের অস্ত্রোপচার ছাড়াই পুত্র সন্তানের জন্মদিলেন প্রসূতি পারুল বেগম (২৮)। গত শুক্রবার গভীর রাতে পারুল বেগম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোন ধরণের অস্ত্রোপচার ছাড়াই পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
হাসপাতালটি উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর কোন প্রসূতি মাতা হাসপাতালে শিশু জন্ম দিলেন। এই বাচ্চাটিই হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু। হাসপাতালে জন্ম নেয়া প্রথম শিশুটি কোন ধরণের অস্ত্রোপচার ছাড়াই জন্ম নেয়ায় খুশি প্রসূতি মাতার পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম শিশু জন্ম দেয়া প্রসূতি পারুল বেগম উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের টানগেরাগাঁও গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকসার চালক সাহিদ মিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে নবজাতক ও তার মা সুস্থ্য ও ভালো আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর হাসপাতালে শুধুমাত্র বর্হিবিভাগ চালু করা হয়। পরে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে জেলার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
চলতি মাসের ২ মে হাসপাতালটিতে আবার চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়। কিন্তু চালু হওয়ার চারদিন পরই ৬ মে থেকে আবার হাসপাতালটিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হিসেবে চালু করা হয়।
গত শুক্রবার (১০ আগষ্ট) থেকে পুনরায় হাসপাতালে সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসব ব্যাথা নিয়ে পারুল বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন চিকিৎসকগণ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুম এর নির্দেশনায় ডাঃ ইয়াসমিন আক্তার ও ডাঃ শাউলিন জাহানের তত্ত্বাবধায়নে প্রসূতি পারুল বেগমকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকগণকে প্রয়োজনে প্রসূতিকে সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলা হলেও চিকিৎসকগণ তাদেরকে নরমাল ডেলিভারি করানোর কথা বলেন। শুক্রবার গভীর রাত দেড়টার দিকে ডাঃ ইয়াছমিন আক্তার ও ডাঃ শাউলিন জাহানের তত্ত্বাবধানে প্রসূতি পারুল বেগম অস্ত্রোপচার ছাড়াই একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে শিশুর পিতা সাহিদ মিয়া বলেন, সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়া তার স্ত্রী সন্তান প্রসব করায় তিনি খুশী। এতে তার কোন খরচ হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হওয়ার পর এটিই হাসপাতালে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু। নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে প্রসূতি পারুল বেগম একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ায় আমরা খুবই খুশী। তিনি বলেন, প্রসূতির পরিবার থেকে আমাদেরকে প্রয়োজনে সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু আমরা ওই প্রসূতিকে নরমাল ডেলিভারী করাই। বর্তমানে শিশু ও তার মা ভালো ও সুস্থ্য আছে।।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারী। সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়া সন্তান প্রসব হলে এটি প্রসূতির জন্য মঙ্গলজনক।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবল সংকট রয়েছে। হাসপাতালে ৮জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে ৬জন। ৭ জন নার্স থাকার কথা থাকলে আছে ৫জন, আয়া আছে মাত্র ২জন। তিনি বলেন, আমাদের ফিল্ড পর্যায়েও ৫জন চিকিৎসকের সংকট রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ একরামউল্লাহ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেয়া প্রথম শিশুটি কোন ধরণের অস্ত্রোপচার ছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয়ায় আমরা খুবই খুশী। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত জনবল সংকট লাঘব করার চেষ্টা করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ২২টি নৌযানকে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাটের নৌপথে অভিযান চালান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীর নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস নদীতে চলাচলকারী কোনো নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন, নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখা হয় না। ওই নৌপথটিও অনুমোদিতও নয়।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসানের নেতৃত্বে শহরের আনন্দবাজার ঘাট থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট পর্যন্ত যৌথভাবে অভিযান চালায় নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করাসহ নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন এবং নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুটি ড্রেজার (খননযন্ত্র), ১০টি ট্রলার (বাল্কহেড) সহ ২২টি নৌযানকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা হয়।
অভিযান চলাকালে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান ও সার্ভেয়ার বাস্তুব ফকির এবং র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্প ও ভৈরব নৌপুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, অভিযান চালিয়ে ড্রেজারসহ ২২টি নৌযানকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আনন্দবাজার-চম্পকনগর নৌপথের তিতাস নদীর লইস্কা বিলে যাত্রীবাহী নৌকাডুবে ২৩জনের মৃত্যু হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে নৌকা ডুবিতে নিহতদের পরিবারকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বুধবার নৌকা ডুবিতে নিহতদের পরিবারকে শোক ও সমবদেনা জানাতে বিজয়নগরে ছুটে যান।
তিনি উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জহিরুল হক ভুঁইয়ার বাড়িতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে নিহত মেডিকেল ছাত্র আরিফ বিল্লাহর স্বজনদেরকে সমবেদনা জানান। জহিরুল হক ভুঁইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ ওরফে মামুন (২০) ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ওইদিন নৌকা ডুবিতে মারা যান।
পরে তিনি দলীয় কার্যালয় গিয়ে নৌকা ডুবিতে নিহতদের স্বজনদের শোক ও সমবেদনা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মানা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, বিজয়নগর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও দলীয় নেতাবৃন্দ প্রমুখ।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের স্বজনদের সমবেদনা জানান।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলতায়তনে আলহাজ্ব আজদু মিয়া স্মৃতি গণপাঠাগার এ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়৷
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
পাঠাগারের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ মিয়া, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, মিরসরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম প্রমুখ।
সভায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সরাইল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা মঞ্জিলা।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহিদ খালিদ জামিল খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ৪টি কলেজ, ২০টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদরাসা, ১টি কারিগরি বিদ্যালয়সহ মোট ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য সামগ্রী দেয়া হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২ শতাধিক মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার ও স্যাভলন দেয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বালুবাহি ট্রাক চাপায় সাগর মিয়া (২০) নামে এক ভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাগর মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে সাগর মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের একটি বেকারি থেকে তার ভ্যান গাড়ি দিয়ে বেকারির রুটি বিস্কুট বিভিন্ন সরাইলের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে সরাইল যাওয়ার পথে কুট্টাপাড়া এলাকায় বালিবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানটিকে চাপা দিলে ভ্যানসহ সাগর মিয়ার রাস্তার খাদে পড়ে আহত হয়। এ সময় ট্রাকটিও খাদে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় সাগর মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।
ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানী করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল একটি পিকআপ করে ১০০টি বক্স করে দুই টন (দুই হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ কর।
আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৪০টন ইলিশ ভারতে রপ্তানী করা হবে। বাংলাদেশের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন ইলিশ মাছগুলো রপ্তানী শুরু করে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিদ্যা এন্টার প্রাইজ ইলিশ মাছ আমদানি করেন।
মাছের সিএন্ডএফ এজেন্ট মাল্লা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোল্লা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ ছিল। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম চালান ২ টন মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানী করা হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্র জানায়, এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশনের মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট মোল্লা এন্টার প্রাইজ এসব মাছ ভারতে পাঠায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪০ টন মাছ রপ্তানি করা হবে। ভারতের বিদ্যা এন্টার প্রাইজ মাছের আমদানিকারক।
এ ব্যাপার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে একটি প্রতিষ্ঠান ১০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চায়। ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়ে সেটি বৃহস্পতিবার থেকে যাওয়া শুরু হয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর ত্রিপুরায় ইলিশ যাওয়ায় দু’দেশের ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যাপার আখাউড়া স্থল শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিডিএস কর্পোরেশন ৪০টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছ। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।
বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আখাউড়া উপজেলার ৩৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথিস আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বাসায় দেয়া হয়েছে।
তিনি কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান। ডাক্তার সাহেবরা কিন্তু ওনাকে (খালেদা জিয়া) ভালো করেছেন। এখনো ওনারা বলতেছে আমরা নাকি ভয় পাই। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেই না। যেই লোক, যেই দল (বিএনপি) দেশে থেকে অশ্ব ডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কি করতে পারবে বলেন।
মন্ত্রী বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার বারবার বিদেশ যেতে চাওয়া নিয়ে প্র্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যখন দেশে সব পরিবহন বন্ধ তখন তিনি বিদেশ যেতে চান। দেশের চিকিৎসায় যদি তিনি ভালো হন, তাহলে কেন বিদেশ যাবেন।’
তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে কি বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে। বিদেশে যাওয়ার কি দরকার আছে, আপনারাই বলেন।
জনসভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরও বলেন, লকডাউনের জন্য যারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি, কর্মজীবী মানুষ, যারা কর্ম করতে পারে না, পেশাজীবী মানুষ, যারা পেশা করতে পারে নাই, যারা শিক্ষক ক্লাশ করতে পারে নাই, সকলের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সকলের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোট দিয়ে আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা গণতন্ত্র চান। আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আপনার ভোট দিতে পারেন। ভোটের জন্য জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে পরিবেশ করে দেয়া হবে। নির্বাচন ইনশাল্লাহ্ সুষ্ঠু হবে।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ্, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ৷
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ নূর কুতুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী রেলপথে আখাউড়ায় আসেন। পরে বিকেলে কসবায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এ বছর ২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুুুুুুধবার আখাউড়া থানা হলরুমে পুলিশের সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী আবদুল খালেক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকার, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কমিটির সাধারন সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, দশভুজা মন্দির সভাপতি রতন পাল, দেবগ্রাম শিব মন্দির সভাপতি কালিপদ দাস, দাসপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রতি রঞ্জন দাস, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুমন সেন গুপ্ত, সুভাষ দাস, কানু লাল পাল প্রমুখ।
পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সাংবাদিক জুটন বনিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, গত বছর উপজেলায় ১৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করা হবে।
মত বিনিময়কালে প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি, সম্পাদকসহ হিন্দু ধর্মালম্বীদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন৷
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৪০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে “ স্বপ্নতরী” নামে একটি সামাজিক সংগঠন। শুক্রবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের ওই অন্ধপল্লীতে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ ও ৫০০ গ্রাম মসুর ডাল দেয়া হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন সময় গরীব অসহায় মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার অন্ধপল্লীতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ প্রচার করছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ম্যান সিটিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকা দিন শেষে ফিরলেন সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। শুক্রবার রেড ডেভিলরা নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ইংলিশ জায়ান্টরা জানিয়েছে, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এটি নিশ্চিত করতে পেরে খুশি কারণ, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ট্রান্সফার নিয়ে জুভেন্টাসের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ আর ক্লাবের সবাই ক্রিস্তিয়ানোকে ম্যানচেস্টারে স্বাগতম জানাতে অস্থির হয়ে রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, ৩৬ বছর বয়সী এ তারকাকে ক্লাবে ফিরিয়ে আনতে ইউনাইটেডকে খরচ করতে হয়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়াও অন্যান্য কারণে আরও ৮ মিলিয়ন ইউরো সহ মোট ২৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে তাদের। সাবেক ক্লাবে দুই বছরের চুক্তিতে রোনালদোর বার্ষিক বেতন হবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো।
সিটির নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় রোনালদো জুভেন্টাস ছাড়তে চাওয়ার পর থেকে। তবে শুক্রবার হঠাৎ পাল্টে যায় চিত্র৷ শেষ মুহূর্তে নাম আসে তার সাবেক ক্লাব ইউনাইটেড। ইউনাইটেড এক দিনের মধ্যে সব চূড়ান্ত করে ফিরিয়ে আনে রোনালদোকে৷
রোনালদো ২০০৩ সালে প্রথম দফার মধ্য দিয়ে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ইউনাইটেডে যোগদিয়েছিলেন৷ তখন রোনালদো ছিলেন একজন অখ্যাত খেলোয়াড়। কিন্তু ইউনাইটেডের জার্সি গায়েই তিনি বদলে যান৷ গড়ে তুলেন নতুন এক ইতিহাস। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছয়টি মৌসুম কাটিয়ে ২৯২টি ম্যাচে ইউনাইটেডের জার্সিতে গায়ে মাঠে নেমে ১১৮টি গোল করেছেন৷
এরপর যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। এ পর্তুগিজ তারকা সেখান থেকে জুভেন্টাস ঘুরে ১২ বছর পর পুনরায় লাল দুর্গে ফিরেছেন। এবং সাবেক ক্লাব তাকে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত৷
ক্রিস্তিয়ানো জিতেছেন পাঁচটি ব্যালন ডি’অর৷ নিজের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৩০টি শিরোপা। তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই পাঁচবার জিতেছেন । চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির লিগ মিলিয়ে মোট জিতেছেন সাতটি শিরোপা।সেই সাথে নিজের দেশ পর্তুগালের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন এ তারকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শেষ পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপের কাছে হেরেই যাচ্ছে। এই ফরাসি তরুণ একের পর এক নতুন চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন। সেজন্য ক্লাবটিকে বাধ্য হয়েই তার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করতে হচ্ছে। ফলে এগিয়ে রয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ফরাসি গণমাধ্যমে এমন সংবাদই প্রকাশ পেয়েছে।
অনেক বছর আগ থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপেকে নজরে রেখেছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর থেকেই তাকে পেতে মরিয়া হয়ে আছে দলটি। কিন্তু এ কারণে তার ক্লাব পিএসজি শুরু থেকেই বাঁধ সাধছে। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তরুণকে হাতছাড়া করতে রাজী নয় ক্লাবটি। আর চলতি মৌসুম শেষেই তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এমবাপের। পিএসজি চাইলেও আগামী মৌসুমে তাকে আটকে রাখতে পারবে না৷
তাই সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন এমবাপে। এখন যদি তাকে ছেড়ে না দেওয়া হয় তাহলে আগামী মৌসুমে পিএসজিকে তাকে ছাড়তেই হবে৷ সেজন্য বিনা পয়সায় ছেড়ে দেওয়ার থেকে এমবাপ্পেকে এ মৌসুমে বিক্রি করে দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই রিয়ালের দেওয়া এই প্রস্তাবকে বিবেচনা করতে হচ্ছে ফরাসি ক্লাবকে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই পিএসজি তাকে বিক্রি দেওয়ার চিন্তা করছে৷
রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপের অপেক্ষায় চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খরচ করে কোন খেলোয়াড় কিনেনি৷ ক্লাবটি একজন বড় তারকা কেনার আশায় রয়েছে। সেই সাথে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা পূরণও করতে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তিন বছর পার হয়ে গেলেও রোনালদোর শূন্যতা পূরণ এখনও করতে পারেনি ক্লাবটি। এবং সে শূন্যতা পূরণ করতে একমাত্র এমবাপেই পারেন বলে তাদের বিশ্বাস৷ রিয়াল শেষ পর্যন্ত যদি তাকে না পায় তাহলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আর্লিং হালান্ডের পেছনে লাগতে পারে। আরেকদিকে আরএমসির সংবাদ অনুযায়ী, এমবাপে যদি পিএসজি ছাড়েন, তাহলে দলটি এমবাপ্পের শূন্যতা পূরণ করার জন্য জুভেন্টাস থেকে রোনালদোকে কেনার চিন্তা করছে। যদি এমটি হয় তাহলে মেসি-রোনালদোর স্বপ্নের জুটিও দেখতে পারে ফুটবল বিশ্ব।
সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি
এ প্রশ্নের জবাবে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপে কুতিনহোর নাম শোনা যাচ্ছে। অবশ্য এই নম্বরটা পাওয়ার জন্য একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তরুণ ফরোয়ার্ড রেই মানাজের। কিন্তু রবিবার নিবন্ধন শেষে বার্সেলোনা টুইট করে জানিয়েছে, মানাজকে দেওয়া হয়েছে ১৪ নম্বর জার্সিটি। এবং সেটির পর পরই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ১০ নম্বর কি কুতিনহো পাচ্ছেন নাকি অন্য কেউ? কারণ গত মৌসুমে কুতিনহোর জার্সির নম্বর ছিল ১৪৷
লিভারপুলের ১০ নম্বর জার্সি পরতেন বর্তমানে ইনজুরিতে মাঠের বাহির থাকা ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় কুতিনহো। লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর এখন বার্সেলোনায় প্লেমেকার হিসেবে তার পারফর্ম করার সুযোগ আগের থেকে আরও অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেজন্য স্প্যানিশ ফুটবল পত্রিকা ‘মার্কা’ বলছে, ১০ নম্বর জার্সি পেতে যাচ্ছেন কুতিনহোই। অবশ্য ৩১ই আগস্ট পর্যন্ত জার্সি অদল-বদল করার সুযোগ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কুতিনহো ফেরত পেতে পারেন ১৪ নম্বর জার্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের তালেবানদের প্রতি সমর্থনমূলক বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ এবং অপসারণের জন্য নিবেদিত দল রয়েছে৷ তারা কন্টেন্টগুলো সরানোর কাজ করছে। ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও এ নীতি প্রযোজ্য হবে৷
বিবিসিকে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, তালেবানকে মার্কিন আইনে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই সাথে ‘বিপজ্জনক সংস্থা’ নীতির আওতায়ও আমরা আমাদের সব পরিষেবা থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তালেবানদের পক্ষ থেকে বা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা অ্যাকাউন্টগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তাদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্বকারী যত লেখা ও ভিডিও কন্টেন্ট আছে সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে দু’দিন যাবত ফেসবুকে আফগানিস্তান বিষয়ে পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথে মুছে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। যথাযথ উত্তর না পাওয়া গেলেও এমনটি কেন হচ্ছিল তা পরিষ্কার করে দিয়েছে ফেসবুক।
সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি
স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নতুন কমিটি ঘোষনার মাত্র দুই সপ্তাহ পর (১৪ দিন) উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এক সভায় সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির দৃশ্যমান কোন কার্যকারিতা না থাকায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বিলুপ্ত ইউনিটের নতুন আহবায়ক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ২১ সদস্য বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটিতে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী বেবী ইয়াছমিনের ছেলে রিফাত বিন জিয়াকে আহবায়ক, মোঃ আমান উল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়।
রিফাত আওয়ামীলীগ নেত্রীর ছেলে, অছাত্র, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী ও বিবাহিত এবং সদস্য সচিব মোঃ আমান উল্লাহ এলাকায় থাকেন না এবং তিনি আদম ব্যবসায়ী এই অভিযোগ তুলে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
পরে ঘোষিত ২১ সদস্য কমিটির ১৪ জন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী তাদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রকে নিশ্চিত করলে গত মঙ্গলবার ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিমের কুমিল্লা বিভাগীয় প্রধান মোঃ জাকির হোসেন সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সাথে পরামর্শ করেই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন কারনে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
###
botvনিউজ:
আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের উপ-নির্বাচন। উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত রেজোয়ান আহমেদ (লাঙ্গল) এবং ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা এ.কে.এম আশরাফুল হক (মিনার)। ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা) এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে জাপা প্রার্থী রেজোয়ান আহমেদ (লাঙ্গল) এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন জাপার কো-চেয়ারম্যান ও সাবেকমন্ত্রী জি.এম. কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। পুরো নির্বাচনী এলাকায় বর্তমানে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ।
এক সময়ের জাতীয় পার্টির (এরশাদ) দূর্গ হিসেবে পরিচিত নাসিরনগর আসনটি বর্তমানে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিনবার এবং আওয়ামীলীগ প্রার্থী ৫বার বিজয়ী হন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপ-নির্বাচনে মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যেই এখানে মূল লড়াই হবে। দুই দলের জন্যই ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বিএনপি সমর্থকদের ভোট। স্থানীয়দের ধারণা বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ভোট নির্বাচনের জয় পরাজয়ের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। যে কারণে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ওইসব ভোটারদের নজর রাখছেন। তাদেরকে ভোটের দিনে কেন্দ্রে আনার জন্য বিশেষ করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদেরকে তৎপর থাকতে বিভিন্ন পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগে প্রকাশ্য বিরোধ না থাকলেও ভেতরে ভেতরে বিরোধ রয়েছে জানা গেছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে দলের প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলার একাধিক টিম প্রার্থীর পক্ষে প্রচার- প্রচারণা চালিয়েছে।
এদিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী না থাকায় ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের পিছিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য জাতীয় পার্টির রেজওয়ান আহমেদ একাধিকবার প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, যেহেতু দেশে বর্তমানে ভোটের পরিবেশ নেই, তাই আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নেয় নি। আমাদের সমর্থকরা কেউ যদি উৎসাহী হয়ে ভোট দিতে যায় তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজোয়ান আহমেদ নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল যদি কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপি না করে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে যদি নির্বাচন হয় তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, জনগন উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগন নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবেন বলে তিনি আশা করেন।
উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘সকল বিরোধীদলও যদি এক হয়ে যায় তবু আমাদের প্রার্থীকে হারাতে পারবে না। উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরই জয় হবে। তিনি বলেন, নাসিরনগর ছিল এক সময়ের অবহেলিত জনপদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দেয়া যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেসব বাস্তবায়ন করে নাসিরনগরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। প্রয়াত নেতা ছায়েদুল হক মন্ত্রী থাকাকালে এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এম.পি বলেন, ‘যুগ যুগ ধরেই আমরা দেখে এসেছি কোনো দল নির্বাচনে না এলে তাদের সমর্থিত ভোটাররা সমমনা দলকে বেছে নেয়। সেই ক্ষেত্রে আমরা বিএনপি’র ভোট পাব বলে আশা করছি। বিএনপি’র অনেক নেতা-কর্মীই আমাদেরকে ফোন করে পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জিতবে বলে আমি আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদের ২৪৩ নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৪শ ১০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ৫শ ৯৯ জন। উপ-নির্বাচনে ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের ৩৬৪টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ জন্য ৭৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩৬৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৭২৮জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কর্মকর্তাদেরকই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে গত ৮ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নাসিরনগরের উপ-নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনশৃংখলা সভা ও নাসিরনগরে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হয়। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর তিনি মারা গেলে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে। ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সালে তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৮ইং – রায় – ৫ বছরের জেল
botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬৩জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার মোঃ মাসুম মিয়া, মোঃ রুস্তম মিয়া, আবুল ইসলাম-(৩৫), আল আমিন-(২৯), লিটন মোল্লা-(৩১), মোঃ সোহবার মিয়া-(৩০), রবি হোসেন-(৩২), মোঃ মিজান-(২৮), রুবেল মিয়া-(২২), আপেল-(২৬), মোঃ জয়নাল মিয়া-(২৮), হারুন মিয়া-(৩২), জয়নাল আবেদীন রাজু-(৩৬), সরাইলের ইসহাক মিয়া-(২৩), মোঃ ইমরান- (৩৬), তাবারক মিয়া-(৩৬), মোবারক মিয়া (২৬), জালাল মিয়া-(৫৫), নাজমুল হোসেন খান রাসেল-(৩৫), নাসিরনগর উপজেলার মীর রুবেল মিয়া-(২৫), রহমত খাঁ-(৩৭), মফিজ মিয়া-(৩৫), ইয়াছিন মিয়া-(২৪), মোঃ জাকারিয়া-(১৯), মনির হোসেন মাঞ্জু-(২৮), রহমত আলম-(২৪), নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিম মিয়া-(৩০), মোঃ রফিক-(২৮), অলিউল্লাহ-(২২), আল আমিন-(২০), মোঃ জালাল মিয়া-(৩৫), সাদ্দাম-(২৫), বেলায়েত হোসেন- (৪২), হাফিজ মিয়া-(৩৫), বাঞ্চারামপুর উপজেলার মোঃ ইব্রাহিম-(২৮), বিজয়নগর উপজেলার ময়দর আলী-(৪৫), মোঃ সোহেল মিয়া-(২২), মোঃ জামাল চৌধুরী-(৪২), কসবা উপজেলার মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩৭), মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩৭), আবু হানিফ মিয়া-(৫০), মোঃ আবুল খায়ের-(৬৫), মোঃ আবুল কালাম-(২৫), মোঃ শাহজাহান মিয়া-(৬৫), আলমগীর হোসেন-(১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তারেকুল রহমান ইমন-(৩০), মোঃ হারুনুর রশিদ-(৪১), মোঃ ইউসুফ মিয়া-(৩৫), হান্নান মিয়া, গিয়াস উদ্দিন-(২৬), জসিম উদ্দিন- (২৩), শাফি মিয়া-(২৯), হাবিবুল্লাহ-(১৯), মঞ্জু মিয়া-(৩৫), সুজন মিয়া-(২৫),মোঃ জালাল আহমেদ-(৩৭), জামাল হাসান-(২৪), আলাল উদ্দিন-(৩০), আনিছুর রহমান, ফিরোজ সর্দার-(৩০), সাদেক মিয়া, আক্তার -(৩৮),দিদারুল ইসলাম-(৩৪),
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তারা সবাই গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
###
২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেস রিলিজ
গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেস রিলিজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মেরাশানী এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল (২২ মে) সন্ধ্যায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগরের মেরাশানী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, রোমান বিন সাইদ রাব্বি (৩১), পিতা-মোঃ রওশন আলী, সাং-উত্তর গোরান, বাসা নং-৩৬৫, ওয়ার্ড নং-০২, থানা-খিলগাঁও, ডিএমপি-ঢাকা। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৩ বতল স্কাফ ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রেস রিলিজ
২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেস রিলিজ