সুমন আহম্মেদঃ
পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিসেস নায়ার কবির বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে যায়যায়দিন পত্রিকা আজ দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় একটি দৈনিক হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পাঠক নন্দিত পত্রিকা দৈনিক যায়যায়দিন এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র নায়ার কবির আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মানসম্পন্ন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের কারণেই যায়যায়দিন কোটি পাঠকের হৃদয়ে ঠাঁই পেয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও যায়যায়দিন ভূমিকা রাখবে।

তিনি বর্তমান সরকার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেই কাজের সারথি হয়ে যায়যায়দিন পত্রিকা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম।

প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম শাহাজাদার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য,-প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, প্রেসক্লাবের পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক মোশারফ হোসেন বেলাল,

সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কার্যকরী সদস্য মজিবুর রহমান খান, সাংবাদিক মোঃ আশিকুল ইসলাম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, মোঃ জসিম উদ্দিন, উজ্জ্বল চক্রবর্তী,জালাল উদ্দিন রুমি, মোজাম্মেল চৌধুরী, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শাহাদাৎ হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান পায়েল, খন্দকার শফিকুল আলম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যায়যায়দিন’র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলী আজম।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি মিসেস নায়ার কবির সহ অন্যান্য অতিথিরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ছয় আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড- এবং ৫ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পৃথক সময়ে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলার সোহরাব চৌধুরী হত্যা মামলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার তুষার মিয়া হত্যা মামলা।

গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের অটোরিকসা চালক সোহরাব চৌধুরী হত্যা মামলায় তিন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের মরহুম আওলাদ মিয়ার ছেলে মহরম আলী-(২৮), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ আলমগীর-(২৮) এবং বিজয়নগর উপজেলার বাগদিয়া গ্রামের মরহুম আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদির (৪৮)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল সকালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের রফিক চৌধুরীর ছেলে সোহরাব চৌধুরী সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় সোহরাবের চাচাতো ভাই সাচ্চু চৌধুরী বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে ঘটনার দুদিন পর উপজেলার বুল্লা-টানপাড়া সড়কের একটি সেতুর নিচ থেকে সোহরাবের লাশ পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ নিহত সোহরাবের মোবাইল ফোন ট্র্যাকের মাধ্যমে আসামি মহররম আলীকে সনাক্ত করে আটক করে। পরে মহরম আলী আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার সাথে মোঃ আলমগীর ও আব্দুল কাদির নামে দুই জন জড়িত থাকার কথা জানান।

মামলায় ১০ জন সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ বিচারক ৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ইউসুফ। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই রায় যুগান্তকারী।

অপরদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, আসামীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
পরে একই আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার তুষার মিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করেন।

এই মামলায় বিজ্ঞ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার সোনা মিয়ার ছেলে মোমেন প্রকাশ মোমিন-(২৫) একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন-(২৫) ও সহিদুল হকের ছেলে ফাহাদ মিয়া-(২২) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং বাকি ৫ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০১১ সালের ২৯ জুন বিকেলে পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার জালাল মিয়ার ছেলে প্রবাসী তুষার মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা সাজ্জাদ মাহমুদ বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় আদালত তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পি.পি) এস.এম ইউসুফ বলেন, বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এই রায় দিয়েছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। বাদি পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে আরো ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দিন দুপুরে অফিসে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার বিকেলে ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানির পরিবেশকের (ডিস্ট্রিবিউটর) পৌর এলাকার লাল বাজারের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে সন্ধ্যা সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয় নি।

কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রীতম পাল মুন্না ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘বেলা চারটার কিছু পর আমরা অফিস কক্ষে ১৩-১৪ জন মিলে কাজ করছিলাম। এ সময় মোটর সাইকেলে করে আসা তিনজন অফিসে ঢুকে। তারা হেলমেট পড়া ও মুখে মাস্ক লাগানো। তারা আমাদেরকে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রথমেই আলমীরা ও খোলা অবস্থায় থাকা সাড়ে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আমাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে নেয়।

সেলস ম্যানেজার মানিক দেব বলেন, ‘আমি বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। সিসি টিভির ফুটেজে ঘটনার বিস্তারিত দেখা যাচ্ছে। পুলিশ ও আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে পরিদর্শন করে গেছেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রসুল আহমেদ নিজামী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে তিনি ওই অফিসে যান। কিভাবে কি হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা চলছে। অফিস সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত থাকতে পারেন বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
###

দিনদুপুরে আখাউড়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা ছিনতাই

ফেসবুকে আমরা..