সুমন আহম্মেদঃ
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেছেন, বর্তমান সময়ে নারী ও শিশুর উপর নির্যাতনের কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা উত্তরনে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য সিআরসি, সিডও এবং মীনা বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমপান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সমাপন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান আরো বলেন, সমাজকে জনসচেতন করতে পারেন একমাত্র সাংবাদিকরাই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মিডিয়া সম্পূর্ন স্বাধীন। তিনি বলেন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের জীবনমান ও পেশার মান উন্নয়নে কাজ করছে। সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড প্রদান সহ সাংবাদিকদের কল্যানে কল্যান ট্রাস্ট গঠন করেছে। সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা খুবই দক্ষ ও উঁচু মাপের।
সমাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জাকির হোসেন।
সমাপন অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, দেশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশী। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাংবাদিকদেরকে শ্রমিক বানিয়ে রাখা হয়েছিল, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে সম্মানিত করেছে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিআইবির নতুন ভবন করে দিয়েছেন। পিআইবিকে সম্মানের স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার দাপট আগের মতো নেই, তাই প্রিন্ট মিডিয়িার সাথে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য পিআইবি কাজ করছে।
মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষা, সংস্কৃতির জনপদ, সারা বাংলাদেশের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের আলাদা সুনাম রয়েছে। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে আরো জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সংবাদ লেখার সময় আপত্তিকর শব্দ পরিহার করতে হবে। নারী ও শিশু বিষয়ক সংবাদ করার সময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটি সংবাদের কারনে সমাজে অরাজক পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে আবার একটি সংবাদ সমাজকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারে।
আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা কর্মশালায় প্রশিক্ষণকরা সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ শাহরিয়ার এবং মীর শহিদুল আলম। সঞ্চালনা করেন সহকারি প্রশিক্ষক নাসিমুল আহসান।
###