স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের উপস্থিতিতে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
এ সময় কসবা পৌরসভার মেয়র ও আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি শ্লোগান ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও কয়েকটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলায় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাইরের সড়কে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী পুলিশী নিরাপত্তায় উপজেলার পানিয়ারুপ নিজ বাড়িতে চলে যান। পুলিশ সংর্ঘষে জড়িতদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। থেমে থেমে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংর্ঘষ চলছিল।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রায় ১ বছর পরম মন্ত্রী মহোদয় এলাকায় আসেন। মন্ত্রীকে বরণ করার জন্য বেলা ১১টার দিকে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের ছোট ভাই যুবদল নেতা শিশুর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর মোটর সাইকেল তুলে দেয়। পরে আমার ও আজিজের সমর্থকদের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ধস্তাধস্তি হয়। পরে মন্ত্রী মহোদয় অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ আজিজ বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে বরণ করার জন্য টিআলীর বাড়ির মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে আমার সমর্থকরা দাঁড়িয়েছিলো। এক পর্যায়ে আমার কয়েকজন সমর্থক মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা মোটর সাইকেলে হামলা করে। পরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয় ও উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। পরে মন্ত্রী মহোদয় তাঁর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে নিজ বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলমগীর ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। কতজন হতাহত হয়েছে জানি না।
###