সুমন আহম্মেদঃ
দীর্ঘ ৫৫ দিন পর অবশেষে স্বজনের কাছে ফিরলেন খোদেজা বেগম-(৭৫)। গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে বৃদ্ধাকে নিয়ে যান তাঁর ছেলে, মেয়েসহ অন্যান্য স্বজনরা। পুলিশের সহযোগিতায় স্বজনদের দেখা পান তিনি।]

খোদেজা বেগমের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামে। বয়সের ভারে ন্যুজ খোদেজা বেগম মাঝে মাঝে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। গত ৩১ মার্চ কাউকে কিছু না বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়েন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। সেখান থেকে ঠাঁয় হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে খোদেজা বেগম অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিলেন। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘ দিন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে নাম-ঠিকানা আবছা আবছা বলতে থাকেন।

এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সদর হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। পুলিশের চেষ্টায় অবশেষে স্বজনদের খোঁজে পান খোদেজা বেগম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ধর্মজিৎ সিনহা জানান, ওই বৃদ্ধার সাথে কথা বলে ঠিকানা সম্পর্কে কিছুটা অবহিত হওয়া যায়। পরে বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশ ওই বৃদ্ধার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে স্বজনদেরকে খবর দেন। স্বজনরা শনিবার এসে ওনাকে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতাল ও থানায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

খোদেজা বেগমের ছেলে মধু মিয়া বলেন, ‘মাকে আমরা অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করি। পরে পুলিশের মাধ্যমেই মায়ের খোঁজ পাই। মাকে খোঁজে পেয়ে আমরা খুবই খুশি। বয়সের ভারে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সহায়তায় দুই মাস পর স্বজনের কাছে ফিরলেন বৃদ্ধা খোদেজা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরনে অবহিত কর্মশালা রোববার সকালে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর ডাঃ মোহাম্মদ শরীফ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবুল কালাম।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিকল্পিত জনসংখ্যাকে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন। জনসংখ্যাকে পরিকল্পিত রাখার জন্য বাকশালের কর্মসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন,

আমরা যদি জনসংখ্যা রপ্তানিতে পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী অবস্থানে না থাকতাম, তাহলে আমরা এখন উন্নয়নশীল থাকতাম না। আমরা থাকতাম দারিদ্রের নীচু সীমানায়। তিনি বলেন, আমাদের জনশক্তি রপ্তানী বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের দেশে দুর্যোগ নেমে আসবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজ আরো জোরদার করতে হবে। মাতৃ মৃত্যুর হার আরো কমিয়ে আনতে হবে। অধিক সন্তানের কুফল মা দেরকে বোঝাতে হবে। মা দেরকে বোঝাতে হবে অধিক সন্তান জন্মদানে মায়ের শারিরীক ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দুইশত জন অংশ নেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরনে অবহিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে আমরা..