স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে সকালের সরাইল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। সকাল ১০টার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে গাড়ি ও লোকজনের নড়াচড়া কমে আসে। তবে হাসপাতাল মোড়ে সড়কের পাশের মাছ বাজারে মানুষের গিজাগিজি ছিল উল্লেখযোগ্য।

বেলা ২টার পর বিশ্বরোড মোড় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কিছু যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলছে আশুগঞ্জ ও ভৈরবের দিকে। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

এর মধ্যে উপজেলার কুট্রাপাড়া মোড়, সৈয়দটুলা, রসুলপুর ও সরাইল বাজার এলাকায় সংক্রামক রোগ আইন-২০১৮ অনুসারে ৯টি মামলায় ৯ ব্যাক্তিকে ৬ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন অমান্য করায় ২ ব্যাক্তিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আটক করে রাখেন।

ওদিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা একই আইনে ৪ জনের বিরূদ্ধে মামলা করে ৩ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, লকডাউন চলাকালে আইন অমান্যকারীদের বিরূদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার পক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

সরাইলে কঠোর লকডাউনে ১৩ মামলায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২৭জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হালিমা খাতুন গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১২টি মামলায় ২৭ জনকে ১৭ হাজার তিনশত টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে ২৭জনকে ১২টি মামলায় ১৭৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরনগরে কঠোর লকডাউনে ২৭জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লাকডাউন চলাকালে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ার কারনে জালাল মিয়া- (২০) নামে এক যুবককে জরিমানাস্বরুপ এক বক্স মাস্ক বিতরনের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য এই নির্দেশ দেন। জালাল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে। সে শহরের কাজীপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করেন।

জালাল মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কুমারশীল মোড়ে কাজে যাওয়ার পথে মুখে মাস্ক না থাকার কারনে প্রেসক্লাবের সামনে তাকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তাকে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একবক্স মাস্ক বিতরণ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, ছেলেটি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল করছিলো। এসময় তাকে আর্থিক জরিমানা না করে একবক্স মাস্ক কিনে বিতরণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল না করার জন্যে সর্তক করা হয়। তিনি বলেন, যারা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যুবককে মাস্ক বিতরণের নির্দেশ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব গ্রামের ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সমাগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভুইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া প্রমুখ।

কসবায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ফেসবুকে আমরা..