সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস” পালিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেনসহ আরো অনেকে বধ্যভূমিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন শাখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার রমেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে ধর্মতীর্থ এলাকায় রাজকারদের সহায়তায় উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্র করে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) হত্যা করা হয়। এটি ধর্মতীর্থ গণহত্যা নামে পরিচিত।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উপজেলার কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় স্থানীয় রাজাকার প্রধান ও সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলীম লীগ নেতা আবদুল মন্নাফ ঠাকুর ও তার দোসর পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করেন। এর কয়েকদিন পর ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে নাসিরনগর সদর ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও নাসিরনগর থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক সৈয়দ সওয়াব মিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এসব ঘটনার প্রতিশোধ ১৮ অক্টোবর পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকার খন্দকার ফয়েজ আহমেদ ও এমদাদুল হক টাক্কাবালীর নেতৃত্বে ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে গণহত্যা চালায়।
###