ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
চলতি বছরের ২ অক্টোবর কাতারের আইনসভা শুরা কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির অফিস থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দেশ হচ্ছে কাতার৷ সে দেশটির আইনসভার আসন সংখ্যা হচ্ছে ৪৫। দেশের আইন অনুযায়ী, ৩০ টি আসনে নির্বাচন হবে আর বাকি ১৫ জন সদস্যকে আমির শেখ তামিম নিয়োগ দিবেন৷ আইনসভা শুরা কাউন্সিলের সদস্যদের মূল দায়িত্ব হবে তিনটি৷ আইন প্রণয়ন করা, দেশের জাতীয় নীতি নির্ধারণ করা, বাজেট প্রণয়ন এবং সেটি পাস করা।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই দেশটির কাতারে জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে স্বাক্ষর করেন৷ আমিরের এই সাক্ষরের ফলে দেশটিতে প্রথমবারের মতো কাতারের জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইন প্রণেতা বেছে নেওয়ার সুযোগটি পেতে যাচ্ছেন৷
কাতারকে নির্বাচনী আইনে ৩০ টি নির্বাচনী জেলা ভাগ করা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি জেলা থেকে বিজয়ী প্রার্থীরা আইনসভার সদস্য হিসেবে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবেন।
শেখ তামিম ২০২০ সালের নভেম্বরে নির্বাচন ও ভোটের আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন। সেই কমিটি গত কয়েক মাসে নির্বাচনী আইন ও এই বিষয়ক সাংবিধানিক নীতিগুলো প্রণয়ন করেছে।
নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ১৮ বা তার তদূর্ধ্ব বয়সী নাগরিকরা এবং যাদের দাদা কাতারে জন্মগ্রহণ করেছেন- তারা, তাদের বংশধরসহ পরিবারের বাকি সদস্যরা যে জেলার বাসিন্দা তারা সেই জেলায় ভোট দিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রার্থীদেরকে অবশ্যই কাতারি বংশোদ্ভূত এবং ৩০ বছর বয়সী হতে হবে।
২০০৩ সালের করা নতুন সংবিধানের আওতায় কাতারে পৌরসভা নির্বাচন হয়ে আসছে৷ আইনসভা শুরা কাউন্সিলেও এমন আংশিক নির্বাচন হতো। অবশ্য সেই সংবিধানে দেশটিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ ছিল। অবাকের বিষয় হচ্ছে নতুন নির্বাচনী আইনেও সেই নিষেধাজ্ঞাটি বহাল রাখা হয়েছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে ছোট একটি দেশ কাতার। দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক ২৭ লাখ বা তার বেশি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ হচ্ছে কাতারি। আর বাকি ৯০ শতাংশই মানুষই বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের খোঁজে সেখানে গিয়ে বসবাস করা অভিবাসী কর্মী।
সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি