botvনিউজ:

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নির্দলীয় প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মঈন-(৫৫)সহ ৭জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মহাসড়কের সোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রে ভোট পুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আহত অন্যান্যরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম কবির-(৫২), মাঈন উদ্দিন মঈনের শ্যালক কানন মিয়া (২৮), আওয়ামী লীগ নেতা জব্বার মিয়া (৬০), যুবলীগ নেতা হেবজু মিয়া-(৩২), সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হাফিজুর রহমান-(৩২) ও যুবলীগ নেতা কাপ্তান মিয়া-(৩৫)।

মাঈন উদ্দিন মঈনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মাঈনউদ্দিন তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে উপজেলার তালশহরের নিজ বাড়ি থেকে আশুগঞ্জ আসার পথে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। পরে ট্রাকটি উল্টে মাঈনউদ্দিনের গাড়ি ও পেছনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলের ওপর পড়ে। এতে প্রার্থী মাঈন উদ্দিনসহ ৭জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে হাফিজ ও কাপ্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করতে পারলেও এর চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
###

আশুগঞ্জে সড়ক দুঘর্টনায় নির্দলীয় এমপি প্রার্থীসহ আহত-৭

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রের পুনঃ ভোট গ্রহণ আগামিকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

তিনটি ভোট কেন্দ্র হচ্ছে উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তিনটি কেন্দ্রের মোট ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪টি।

এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস। সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার, দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।আজ  মঙ্গলবার পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে পৌছে গেছে।

উল্লেখ্যঃ- এই আসনটি মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১৩জন প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয়, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা জাতীয় পার্টির বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রতীক বরাদ্ধের দিন জামাতা রেজাউল পান লাঙ্গল প্রতীক এবং শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা পান সিংহ প্রতীক। নানা নাটকীয়তার পর নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান।

নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূইয়া (ধানের শীষ প্রতীক) নিয়ে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন (কলার ছড়া প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট এবং অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (সিংহ) পান ৩৯,৩০৫ ভোট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনের তিনটি কেন্দ্রে আগামিকাল পুনঃ ভোটগ্রহণ ॥ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

ফেসবুকে আমরা..