স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রতিবাদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার আউলিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অলি আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক ফকির, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম.মাহাবুব হোসাইন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতিদের তান্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতি তান্ডবের প্রতিবাদে বিজয়নগরে আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোববার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বসন্তকালীন পূজা “বাসন্তী পূজা”। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির আনন্দময়ী কালী বাড়িতে পাচঁদিনব্যাপী বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা। সপ্তমী পূজায় ভক্তরা মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করেছেন। অঞ্জলী প্রদানকালে ভক্তরা করোনা মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাসন্তী দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকালে সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহাসপ্তমীতে দেবীকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, চক্ষুদান, ঘট স্থাপন সহ ষোড়শ উপাচারে পূজা করাহয়। দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হয়।
অঞ্জলী প্রদান কালে ভক্ত বনশ্রী দেবনাথ জানান, নিজের এবং পরিবারের সমৃদ্ধির পাশাপাশি চলমান মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছি। মা-দূর্গা শরৎকালে শারদীয় দেবী, বসন্তকালে মা বাসন্তীরূপে বিরাজিতা। তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখে, সকলের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দেয় সেই প্রার্থনা করেছি।
অপু দেব নামে অপর এক ভক্ত জানান, মা-সকল ভক্তের মাঝে বিরাজিতা। তিনি পরম মমতাময়ী। মায়ের রাতুল চরণে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলকে যেন ভাল রাখেন সুস্থ রাখেন মহামারী করোনা থেকে সুস্থ রাখেন সেই প্রার্থনা করছি।
অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতে দেবীর অর্ধরাত্রী বিহিতপূজা (শ্রী শ্রী কালিপূজা) অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে অষ্টমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হবে। সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকালে নবমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার দশমীতে রাত ১০টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীর প্রধান পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানায়, দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী বাংলার প্রথম দূর্গাপূজার প্রচলন করেন রাজা সুরথ। তিনি রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বসন্তকালে দেবী দূর্গাকে বিশেষ উপাচারে পূজা করে রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। এর পর থেকে ভক্তরা বাসন্তী পূজা করে আসছে।
অন্য দিকে ত্রেতাযুগে প্রভু রামচন্দ্র রাবণকে পরাজিত করার জন্যে দেবি দূর্গার আরাধনা করে পূজা করেছিলেন। এর পর থেকে শরৎকালে দেবীর অকাল বোধন শারদীয় দূর্গোৎসব হয়ে আসছে।
তিনি জানান, এবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান, এবার দেবী গজে আগমন ও দোলায় গমন করবেন। এর মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ যেন হয় পুরো পৃথিবী এই প্রার্থনা করা হয়।

 

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসন্তি পূজার মহাসপ্তমী অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রবিউল হক মজুমদার, কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমসহ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ ও উপকারভোগী কৃষকরা।
উদ্বোধনী দিনে সৈয়দাবাদ গ্রামের ৫০ একর জমিতে চাষ করা সূবর্ণ-৩ হাইব্রিড বোরো কাটা হয়।

কসবায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা উদ্বোধন

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৫টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়িতে থাকা ১৫জন রোগীর কাছে ফলভর্তি ঝুঁড়ি প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ৫জন করোনা রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলে ভরা ৫টি ঝুঁড়ি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মোমেন এবং ডাঃ নাজমুলের হাতে তুলে দেন।
এ ছাড়া হোম আইসোলেশনে থাকা ১০ জন রোগীর বাড়িতে গিয়ে ১০ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠান।
প্রতিটি রোগীর বাড়িতে গিয়ে তাদের নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে তাদের বাসায় ফল পৌছে দেয়া হয়।
প্রতিটি ঝঁড়িতে ছিলো ১ লিটার গরুর দুধ, ১ টি তরমুজ, ২ টি আনারস, ১ কেজি মাল্টা, ১ ডজন কলা, ১ কেজি আপেল এবং ১ কেজি পেয়ারা।


ফল বিতরনের সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা করোনা আক্রান্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সোমবার তাদের জন্য শুভেচ্ছা হিসেবে ১৫ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল তাদের কাছে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের যে কোন সমস্যায় আমরা তাদের পাশে আছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের জন্য প্রশাসনের ফল উপহার

ফেসবুকে আমরা..