স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ও সহিংসতার দুইমাসের মধ্যেই ১৩ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কারনে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থে ১০ জন এসআইকে ও বাকি ৩ জন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে।
আগামী ২৯ মে এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৩০ মে থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রথম একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) একযোগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে করা বদলির আদেশটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন ১৩ এসআইয়ের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদলিকৃত এসআইদের মধ্যে বিউটি রানী দাস, বজলুর রহমান খাঁন, মো. হুমায়ূন কবির, মো. আমির হামজা ও এস. এম. আতিকুজ্জামান এবং মো. তোফাজ্জল হোসেনকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়, তপু সাহা ও মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এবং মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ সাব খাঁনকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও এসআই মো. শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর, মো. মিজানুর রহমানকে চাঁদপুর এবং মো. নুরুল আমিনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শফিকুল, মিজানুর ও নুরুল আমিনের বদলির ধরন প্রশাসনিক কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকিদের বদলি জনস্বার্থে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বলেন, বদলির ধরনে জনস্বার্থে হলো- নিয়মিত বদলির অংশ। এক জায়গায় দীর্ঘদিন হয়ে গেলে নিয়মিত বদলি হিসেবে জনস্বার্থে বদলি করা হয়। আর প্রশাসনিক কারণে বদলি হলো- নিয়মিত বদলির সময় হয়নি। কিন্তু প্রশাসনিক স্বার্থে মনে হচ্ছে- তার এখানে থাকার যোগ্যতা নেই, তাকে অন্য জায়গায় বদলি করাটাই শ্রেয়।