স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনার সংক্রমণরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। তবে জরুরী সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা রয়েছে। সড়কগুলোতে পন্যবাহি ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করছে। লকডাউনের কারনে শহরের মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বিনাকারণে কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। শহরে প্রবেশকারীদেরকে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনানুগ ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।
দুপুর ১টার দিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের নেতৃত্বে আইন-শৃংখলাবাহিনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য বাহিনীর আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগন।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, ৫ শতাধিক পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩টি টীম কাজ করছেন। যারা বিনা কারণে সরকারি আইন অমান্য করে বাড়ি থেকে বের হবেন তাদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর ভাবে সেটি প্রয়োগ করা হবে।