স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদর হাসপাতাল মোড়ে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের হাতে নাজেহাল সাধারণ রোগী।  অফিস সময়ে হাসপাতাল কোয়াটারে রোগী দেখেন ডাক্তার এমন অভিযোগ জনতার।সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল ও কলেজ মোড়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক,ডায়াগনষ্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টার।

এর মধ্যে রয়েছে যেমন,আধুনিক,বন্ধন,দি মর্ডান, মেডিফেয়ার,ডিজিটাল,নিউ মর্ডান ইত্যাদি। দু একটির বৈধ কাগজ পত্র থাকলেও অন্যটির নেই প্রয়োজনীয় কোন কাগজ পত্র। মেডিফেয়ার ও দি মর্ডানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দুটি ক্লিনিকের লোকজন সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশ করে রোগীদের টেনে নিয়ে যায় তাদের ক্লিনিকে। অপরদিকে ডাঃ শোয়েব শাহারিয়ারকে ব্রহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে হাসপাতালে বদলী করা হলেও এখনো তিনি নাসিরনগর সরকারী কোয়াটারে অফিস চলাকালীন সময়ে রোগী দেখার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে তার সহকারী আদনাদ হোসেন রবিন সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে রোগী নিয়ে ডাঃ শোয়েব শাহারিয়ারের হাসপাতালের ভিতরে সরকারী কোয়াটারের তার চেম্বারে রোগী নিয়ে বসিয়ে রেখে ফোন দিলে ডাক্তার এসে রোগী দেখে যায়। এমন অভিযোগ অবশ্য দীর্ঘ দিনের। এ সমস্ত অনিয়ম বন্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাঃ অভিজিৎ রায়ের ভুমিকা কি জানতে চায় সচেতন মহল।

নাসিরনগরে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের হাতে নাজেহাল সাধারণ রোগী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে মনির-(৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পৌর এলাকার গোর্কণঘাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত মনির গোর্কণঘাট গ্রামের আল-আমিন মিয়ার ছেলে।
শিশুর মা খাদিজা বেগম জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে মনির বাড়ির পুকুর পাড়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করার এক পর্যায়ে সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা মনিরকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, শিশুটির শ্বাসনালী ও ফুসফুসে পানি যাওয়ার কারণে শিশুটি মারা গেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটি মারা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি
স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে
মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩০ জন হেফাজত কর্মী ও
সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য
হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল
থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি
মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য
অনুযায়ী সর্বমোট ২৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ৩০ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..