botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। গত রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরা উপজেলার তারুয়া গ্রামে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বর ও কনের পরিবারের সদস্যদের আটক করেন তিনি। পরে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার তারুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির ফারুক মিয়ার মেয়ে ও তারুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মুর্শিদার সাথে একই গ্রামের বাউল বাড়ির ছফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গতকাল সোমবার দুপুরে।

গত রবিবার রাতে ছিল গায়ে হলুদ। মুর্শিদার সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরা রবিবার রাতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন কনের বাড়িতে। গিয়ে দেখেন গায়ে হলুদের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাড়িতে পৌছা মাত্রই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মুর্শিদার বাবা। কনের বাড়িতে অভিযান চলার কথা শুনে একই গ্রামে অবস্থিত বরের বাড়িতে থেকে পালিয়ে যায় বর সহ বরের পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ কনের মা শিরিনা বেগম এবং বরের চাচা হাবিবুল্লাকে আটক করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যায়।
পরে কনের পরিবারের দায়িত্ব নেন তারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস হাসান এবং বরের পরিবারের দায়িত্ব নেন তারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদল সাদির। পরে তাদের জিম্মায় দুই পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বরের চাচা হাবিবুল্লাহ মিয়া জানান, বাল্য বিবাহ অপরাধ, আমরা না জেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।
কনের মা শিরিনা বেগম জানান, আমি আমার ভূল বুঝতে পেরেছি। আমার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবো না।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

আশুগঞ্জে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইল গ্রামে অবস্থিত সাহেরা-গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিতা ভূইয়ার অপসারন দাবিতে  সোমবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল- মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,

জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন হেলাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক মুনজুরুল আলম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ আকন্দ।

বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুরাদ খান, সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, দক্ষিন মৌড়াইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াসিন, শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ জালাল হোসেন খোকা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র নায়ার কবির বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর কিন্তু কবিতা ভূইয়া যে ধরনের বেপরোয়া ও অশোভন আচরণ করছে তার মতো শিক্ষক যে বিদ্যালয়ে থাকবে সেই বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হবে। তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কবিতা ভূইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় থেকে অপসারন করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ আকন্দ বলেন, সহকারি শিক্ষক কবিতা ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা কমিটির জরুরী সভা করে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###

শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিভাবক সমাবেশ

ফেসবুকে আমরা..