botvনিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রফতানি বাণিজ্যে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। ‘চাঁদার দাবিতে’ রফতানি হওয়া পণ্য আটকে দিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কয়েকজন নেতা। এর ফলে গত বুধবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হওয়া সব মাছ পচে গেছে।

এদিন বন্দর দিয়ে রফতানি হওয়া মাছ, সিমেন্ট ও তুলাসহ অন্যান্য পণ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত আগরতলা বন্দরে আটকে রেখেছিলেন বিজেপি নেতারা। পরে আলোচনার মাধ্যমে রাতে পণ্যগুলো বন্দর থেকে ছাড়া হয়। তবে স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদারি রফতানি বন্ধ রেখেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।

আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ টন ৪৯০ কেজি মাছ ভারতে রফতানি করা হয়। সারাদিন বন্দরে আটকে থাকায় সবগুলো মাছই পচে গেছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নিজেদের লোকসানের কথাও জানিয়েছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চাঁদা নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া কিছু নেতার সমস্য চলছে। এর ফলে তারা আমাদের রফতানি করা পণ্য বন্দরে আটকে দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনার পর বুধবার রাতে পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো বন্দর থেকে ছাড়া হয়। তবে সারাদিন আটকে থাকায় মাছগুলো পচে গেছে। তাই আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের আমদানি- রফতানি করবো না।
###

আখাউড়া স্থলবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি রফতানি বন্ধ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের কুন্ডা চকবাজারে গত বুধবার রাতে আগুনে পুড়ে গেছে সাতটি দোকান। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কি কারণে আগুন লাগে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক তিনটার দিকে আগুন লাগে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও এরই মধ্যে সাতটি দোকান পুড়ে যায়। আগুনে আবু কালামের কাপড়ের দোকান, কাসেম মিয়ার মুদি দোকান, জুনাইদ হকের সারের দোকান, আবু মুছার স্টেশনারি দোকান, ইয়াছিন মিয়া ও তোফাজ্জল হকের মুরগির দোকান, মঞ্জু মিয়ার চায়ের দোকান পুড়ে যায়।
###

নাসিরনগরে আগুনে পুড়েছে সাত দোকান

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে চেম্বারের সদস্য ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ বর্ধিত সভায় এ হট্টগোল তৈরি হয়।

গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে সাধারন ভোটার ও চেম্বারের সদস্যের তুমুল প্রতিবাদে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সাধারণ সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল বেলা ১১টায় শহরের লোকনাথ উদ্যান সংলগ্ন পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারন সভা ও বেলা ১২টার দিকে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় ২০১৭ সালের চেম্বারের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট প্রতিবেদন এবং ২০১৮ সালের বাজেট উপস্থাপন ও অঢিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সাধারণ সভা শেষে বেলা ১২টার দিকে চেম্বারের বিশেষ সাধারন সভা শুরু হয়।

সভায় চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ সাধারন সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাস চন্দ্র পাল, সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম। সভায় চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান কমিটির সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করেন। এসময় সভায় উপস্থিত চেম্বারের সাধারণ সদস্য ও ভোটাররা হৈ হুল্লোড় শুরু করেন। পাশাপাশি চেম্বারের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আপত্তি তোলেন তাঁরা।

গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ।

তাঁরা বলেন, জুলাই মাসে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে হলে তখনই করতেন, এখন কেন করতে চাইছেন। চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ও সদস্যরা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন চান না। সবাই যা চান সেটাই করেন। আপনাদের কয়েকজনের মনগড়া মতো করতে চাইছেন কেন। তাঁরা আরও বলেন, দেশে এমন কোনো জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে চেম্বারের নির্বাচন ছয় মাস পেছাতে হবে। কিন্তু আপনারা নির্বাচন পিছিয়েছেন। চেম্বারের চেয়ারের মধ্যে কি এমন মধু আছে যে একই চেয়ারে আবার আসতে চাইছেন। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেন।

চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক ২০১২-২০১৪ মেয়াদী চেম্বারের কার্যকরী কমিটিতে পরিচালক, ২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-১৬ ও ২০১৭-২০১৮ মেয়াদী চেম্বারের কার্যকরী কমিতে সভাপতি আছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরে বানিজ্য মন্ত্রনালয় গত ২৯ জুলাই এক চিঠিতে চেম্বারের বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেন।

চেম্বারের একাধিক নেতা জানান, জুলাই মাসেই চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান কমিটির লোকজন ছলছাতুরি করে বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করে। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান কমিটিকে নির্বাচন দিতে হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক চেম্বার অব কমার্সের একটি নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারেরও নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন যে কোনোপদে পরপর তিনবার নির্বাচন করতে পারবে। একসাথে পরপর তিনবার পদে থাকলে পরেরবার তাকে অন্তত একবার বিরতি দিতে হবে। তিনি বলেন, এই কমিটির মেয়াদ আরো আগেই শেষ হয়ে গেছে। গত জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আজিজুল হক গত সাড়ে চার বছর ধরে চেম্বারের সভাপতি পদে এবং ২০১৪ সালের আগের মেয়াদের কমিটিতে তিনি পরিচালক পদে ছিলেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে এবার বিরতি দিতে হবে। কিন্তু তিনি (আজিজুল হক) পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য চেম্বারের গঠনতন্ত্রে থাকা পরপর তিনবার পদে থাকলে নির্বাচন করা যাবে আইনটি গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিতে চাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আজিজুল হকের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
###

বাহ্মণবাড়িয়ার চেম্বারের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে সদস্য ও ভোটারদের আপত্তি

ফেসবুকে আমরা..