স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন হালিমা খাতুন। গতকাল রোববার সকালে তিনি নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে প্রথমদিন অফিস করেন।

প্রথমদিন কার্যদিবসে উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি সকলের  সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে হালিমা খাতুন মঙ্গলবার  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং বৃহস্পতিবার নাসিরনগরে যোগদান করেন।

এর আগে তিনি ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে হালিমা খাতুনকে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে পদায়ন করা হয়।

উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি হয়েছেন।

নাসিরনগরে নতুন ইউএনও হিসেবে হালিমা খাতুনের যোগদান

 

যখন-তখন, যেখানে-সেখানে, এখুনি সার্বসক্রাইব করুন,ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাথে রাখুন।

সময়-অসময়-সুসময়ের দাবী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি

জীবনবৃত্তান্ত:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় ১৯৮৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বোধবার রাতে নানার বাড়ী জন্মগ্রহন করেন।তিনি বাবা মা র প্রথম সন্তান। বাবা মো. হোসেন আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং তাবলীগ জামাতের আমীর আর মাতা মোছা. ঝরনা বেগম একজন সরকারি কর্মচারী। তার একমাত্র ছোট ভাই সায়েদুর রহমান হ:ক: প্রবাসী। দাদার বাড়ি ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার উত্তর আরিফাইল।

শিক্ষাজীবন:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ১৯৯৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয় শহরের পৌর আর্দশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে ৫ম শ্রেনী পাশ করেন।তারপর মায়ের চাকুরীর সুবাদে জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাও উ”চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে বিঞ্জানে প্রথম বিভাগ এস এস সি পাশ করে ব্রাহ্মণব্রাড়িয়া সরকারি কলেজে ব্যবসায়ী বিভাগে ভর্তি হয়। রাজিনীতিতে জড়িয়ে পরার কারণে সে প্রথম বছর পাশ করতে পারেনি, তবে ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে। এরপর রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে বি কম পাশ করে আর এগুতে পারেনি, তবে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ২০০৯ সালে প্রইম বিশ্ববিদ্যালয়ে এল এল বি তে ভর্তি হয়। কিš‘ কর্মজীবন রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতা এই চতুর্থমুখী ব্যবস্ততার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরে মাননীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইণ কলেজ থেকে এল এল বি পাশ করেন।

কর্মজীবন:

শিক্ষাজীবন থেকেই কর্মজীবন শুরু হয়। সেটা হল ২০০৪ সাল থেকে গণ উন্নয়ন সং¯’া নামক এ জি ও র একটা শেওয়াবি প্রকল্পের  অফিস সহকারি পদের মাধ্যমে আখাউড়া পৌরসভায়। ৪ বছরের প্রকল্প শেষে ২০০৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একই প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসেবে যোগদান করেন। কাজ করেন ২০১০ পর্যন্ত। তারপর ২০১১ সালের শেষের দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি বড়ি একটি খামারে সদর উপজেলায় মাঠ সহকারি হিসেবে যোগ দেয়। ২০১৪ সালে ফিল্ড সুপারভাইজারে পদন্নতী লাভ করে। ২০১৬ সারের ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষে পল্লী সঞ্ছয় বাংকে ¯’ানান্তর হবে সিদ্ধান্ত হলেও পরে আবার ২০২০ ইং সাল পযর্ন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয় ।

 

রাজনৈতিক জীবন:

ধর্মভীরু পরিবারের হলেও ছোট বেলা থেকেই  তার মধ্যে নেত্রিত্বের গুনাবলী ছিল। কলেজের ভর্তি পরপরই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জরিয়ে পরে। কলেজের পাশাপাশি এলাকায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তাই প্রথমেই ২০০১ সালে মধ্যপাড়া শান্তিবাগ ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় সাধারণ সম্পদক  হয়। ২০০৪ সালেও একই কায়দায় ৩নংওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হয়। এরপর ২০০৬ সালে ব্রাহ্মবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহ-সভাপতি ও পরে ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৩ সালে একটি সুন্দর সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নেই।

সাংস্কৃতিক জীবন:

মায়ের চাকুরীর কল্যাণে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়ার কারণে হাবিবুর রহমান পারভেজ এমনিতেই সংস্কৃতিমনা ছিলেন। গ্রামের স্কুলে যদি কখনও কবিতা আবৃত্তি, ছবি আকা প্রতিযোগিতা হতো তাতে অংশগ্রহণ করতেন। তবে ২০০০ সালে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য দিয়ে সাংগঠনিক চর্চা শুরু করেন। ২০০৪ সালে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক, ২০০২ সালে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫ সালে বন্ধুসভার সহ-সভাপতি, ২০০৮ সালে জে জে ডি ফ্রেন্স ফোরামের যুগ্ম-আবায়ক, ২০০৯ সালে ঘাতক-দালাল র্নিমূল কমিটির প্রচার সম্পাদক, ২০১০ সালে শুভসংঘ পাঠক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়ে কাজ করেন। আর ২০১২ সালে নিজে নির্বাহী পরিচালক হয়ে আ ব র নি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সাংস্কৃতিক জগতে সফলতার সহিত এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৪ সালে জেলা নাগরিক  ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমী, পাবলিক লাইব্রেরী, রেড ক্রিসেন্ট, এপেক্স ক্লাব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সাথে যুক্ত আছে।

সাংবাদিকতা:

সংগঠনের প্রেস-বিঞ্জতি  লেখতে লেখতে সাংবাদিকতা প্রতি তার আগ্রহ সৃস্টি হয়। ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে ¯’নীয় দৈনিক তিতাসকন্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। তারপর জাতীয় দৈনিক ভীমরুল এবং ২০০৮ সালে শেষ দিকে নতুন করে বের হওয়া জাতীয় দৈনিক বাংলদেশ সময় পত্রিকায ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায়। কিš‘ পত্রিকাটা বেশি ভাল করেনি সেই সাথে তার ও সাংবাদিকতায় ভাটা পরে। পরে অবশ্যই ২০০৩ সালে ছাত্ররাজনীতি শেষে এশিয়ান টিভির জেল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।

চলছে….চলবে….

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির প্রকাশক -সম্পাদকের কথা

নামকরণ :

বাংলাদেশে সেন বংশের রাজত্বকালে কোনো অভিজাত ব্রাহ্মণ পরিবার এ অঞ্চলে ছিল না। এতে পূজা অনুষ্ঠানে বেশ অসুবিধার সৃষ্টি হত। রাজা লক্ষণ সেন কারো মতে আদিশূর কান্যকুঞ্জ থেকে বেশ কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবার আনয়ন করেন। সেই ব্রাহ্মণ পরিবারের বংশধরদের এক পরিবার বসতি স্থাপন করেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভী পাড়া নামক স্থানে। এই প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর পূর্ব থেকে বৃহত্তর ত্রিপুরায় হিন্দুদের আধিক্য ছিল। আর সেই সময় এক অত্যাচারী ব্রাহ্মণ্যবাদের আবির্ভাব ঘটে। এই অত্যাচারী ব্রাহ্মণের হাত থেকে নিরীহ জনগণকে রক্ষার জন্য গাজী মাহমুদ শাহ (রাঃ) নামে এক ইসলামী বুজুর্গ ব্যক্তির আগমন ঘটে। তিনি অত্যাচারী ব্রাহ্মণদের এই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘ব্রাহ্মণ বের হয়ে যাও’ আদেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করে থাকেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামকরণের ইতিহাস

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: 

মসজিদ   ৪,৫০০টি

মন্দির     ১৫৮টি

গীর্জা       ০১টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:            

মৎস্য সম্পদ :    

নদী ও খাল             =৩৪টি

পুকুর    =  ৭২৮টি (সরকারী), ১৯৮৬০টি (বেসরকারী)

প্লাবন ভূমি            = ৫০,৩৮৬ হেক্টর

কার্প হেচারির সংখ্যা            =৩১টি

কার্প নার্সারীর সংখ্যা          = ২৩৮টি

মৎস্যজীবির সংখ্যা            =৫০,৪৩০ জন

মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি =১৪৪টি

মাছ উৎপাদন       =৩১,০২৬.১৯ মে:টন

মোট মাছের চাহিদা              =৪২,৯২৪ মে:টন

মোট মাছের ঘাটতি             = ১১,৮৯৭.৮১ মে:টন

 

সূত্র : জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৎস্য সম্পদ :    

স্বাস্থ্যসেবা :  

জেলা হাসপাতাল   =০১ টি

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স      = ০৬টি

বক্ষ ব্যাধি হাসপাতাল          =০১টি

বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিক      =০১ টি

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র           = ২৪ টি

ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার        =৬৭ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বাস্থ্য সেবা : 

 

 শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান:     

ডিগ্রী কলেজ                      = ১৯টি

উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ        =১৮ টি

মোট কলেজ                       =৩৭ টি

এমপিওভুক্ত কলেজ           =৩৩টি

এমপিও বিহীন                    =৪টি

মাধ্যমিক বিদ্যালয়             =১৮৭ টি

নিম্ন মাধ্যমিক       =২৫টি

মোট বিদ্যালয়       =২৩২টি

এমপিওভুক্ত           =২০৮ টি

এমপিও বিহীন       =২৪ টি

কামিল মাদ্রাসা      =৩টি

ফাজিল মাদ্রাসা     = ৮টি

আলিম মাদ্রাসা      =২১ টি

দাখিল মাদ্রাসা       =৫২ টি

মোট মাদ্রাসা          =৮৪ টি

এমপিওভূক্ত           =৬৪ টি

এমপিও বিহীন       =১৯টি

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়                =৬৯০ টি

রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়      = ২৮৬ টি

কমিউনিটি বিদ্যালয়            =৭৮ টি

পরীক্ষা বিদ্যালয়   =১টি

উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়          = ১৫ টি

কিন্ডার গার্টেন     = ৮৭ টি

স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা   = ২২টি

এনজিও পরিচালিত পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয়  =১টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান:     

 শিল্প:

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কো:

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

আশুগঞ্জ সার কারখানা

বিসিক শিল্প নগরী

নৌযান নির্মাণ শিল্প

পাদুকা শিল্প

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প প্রতিষ্ঠান:

কৃষি ও খাদ্য:

জমি- কৃষি  = ১,৯২,৭৫৯.৫১ হেক্টর

অকৃষি    =৭,৫২৯.৯৩ হেক্টর

খাস জমি- কৃষি    = ৩,১৫৩.৭৫ হেক্টর

অকৃষি  =  ৭.৫০ হেক্টর

জলমহাল-সংখ্যা  =  ১৭৮টি

আবাদী জমি   =       ১,৪৫,১৫০ হেক্টর

এক ফসলী   =         ৪৭,০৫০ হেক্টর

দুই ফসলী    =           ৮০,০০০ হেক্টর

তিন ফসলী  =          ১৭,৫০০ হেক্টর

চাষের অধীন জমি – রবি                    =১,৪৩,৯৮৫ হেক্টর

চাষের অধীন জমি – খরিফ (১)          =৩৬,৬৮৭ হেক্টর

চাষের অধীন জমি – খরিফ (২)           =৫৭,৪১০ হেক্টর

প্রধান ফসল =          ধান,গম,ভূট্টা,সরিষা,আলু,খেসারী,মসুর,পেঁয়াজ,সবজি

খাদ্য গুদাম সংখ্যা = ১০টি

ধারণ ক্ষমতা =        ১৬,৫০০ মে:টন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি ও খাদ্য : 

ফেসবুকে আমরা..