
সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরে অবশেষে থানায় বিয়ে হয় প্রেমিক-প্রেমিকার। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামীর উপস্থিতিতে আলোচিত প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে পড়ান আখাউড়া পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাওলানা কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি।
পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করান। নব-দম্পতি উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের বাছির খন্দকারের ছেলে তোফাজ্জল খন্দকার-(২১) এর সাথে একই ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে মাইশা মনি মেঘলার-(১৮) দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
গত কয়েকদিন আগে মেঘলা একই গ্রামে তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় তোফাজ্জল মেঘলার সাথে দেখার করতে যায়। রাতে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন তাদেরকে বিয়ের ব্যাপারে রাত ১১টা পর্যন্ত উভয় পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে। বিয়ের বিষয়ে মেঘলার পরিবার সম্মতি দিলেও বেঁকে বসেন তোফাজ্জলের পরিবার। অবশেষে রাতেই প্রেমিক যুগলকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়। পরে থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামী উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করান।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এবং উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে সোমবার দুপুরে তাদের বিয়ে হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাওলানা কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি বলেন, সোমবার দুপুর দুইটায় থানার ভেতরে উভয়পরিবারের সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চার লাখ টাকা দেন মোহরে প্রেমিক যুগলের বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
###