স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৪০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে “ স্বপ্নতরী” নামে একটি সামাজিক সংগঠন।  শুক্রবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের ওই অন্ধপল্লীতে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ ও ৫০০ গ্রাম মসুর ডাল দেয়া হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন সময় গরীব অসহায় মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার অন্ধপল্লীতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইটবাহি নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে একটি সেতু। প্রায় ২২ বছর আগে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকার ধাক্কায় সেতুটির প্রায় অর্ধেক ভেঙ্গে যায়। এতে নৌকায় থাকা খালেক নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোন কাজে আসেনি। স্থানীয় একাধিক সূত্র নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তবে সেতু বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের কেউ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যাননি। যে কারণে তাদের কাছ থেকে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটির অবস্থান। বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামসহ উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা ও বরিশল গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে ১৯৯৯ সালে এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু সেতুটি সমতল থেকে ১৫ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা ও এর সাথে সড়ক সংযোগ না থাকায় মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করা সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ আট ফুট।

আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কামরুজ্জামাল লালু জানান, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ইটবাহী একটি নৌকা সেতুর মাঝখানের পিলারের সাথে ধাক্কা খায়। এতে সেতুটির একাংশ পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ভেঙ্গে পড়া অংশ পড়ে নৌকাটিও ডুবে যায়।


একই এলাকার মোঃ আরমান ও আবদুল্লাহ নামে দুই যুবক জানান, সেতুটি এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না। সেতু যেখানে করা হয় সেখানে অন্য কোনো যানবাহন তো দূরের কথা বাই সাইকেলও চলে না। শুক্রবার সকালে নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তারা সেখানে ছুটে আসেন।

ইটবাহি নৌকার মাঝি মোঃ রফিক মিয়া বলেন, জেলার সরাইল থেকে ৭ হাজার ইট নিয়ে তিনি আখাউড়া উপজেলার গোলখার এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওই সেতুর নিচে যাওয়া মাত্র পানির তোড়ে নৌকার একটি অংশ সেতুর সাথে সামান্য ধাক্কা খায়। এতে সেতুর অংশ ভেঙ্গে নৌকা পড়ে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, সেতু ভেঙ্গে পড়ার খবর তারা পেয়েছেন। তবে কতটুকু কি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে তিনি রওয়ানা হয়েছেন।

আখাউড়ায় নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে সেতু

ফেসবুকে আমরা..