botvনিউজ:

ভারতের কলকাতা থেকে আসা স্টিল পাইপের চালান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌছেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাইপের সর্বশেষ চালান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় যায়। স্থল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সাতদিনে ৫৫৬.৯৭ টন স্টিল পাইপ ত্রিপুরায় যায়।
এর আগে ভারতের কলকাতার খিদিরপুর নৌ-বন্দর থেকে ৫৫৭ মেট্রিক টন স্টিল পাইপ নিয়ে এমভি-৩ নামের একটি ভারতীয় জাহাজ গত ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে নোঙ্গর করে।
পরে ত্রিপুরার বিধান সভার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাসহ নানা জটিলতায় এসব পাইপ ত্রিপুরায় নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। গত ১৪ মার্চ থেকে টেইলর (লরি) দিয়ে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় এই স্টিল পাইপ পাঠানো শুরু হয়।

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সর্বশেষ চালানটি আখাউড়ার স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পৌছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আক্তার হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে স্টিল পাইপের সর্বশেষ চালানটি ভারতের ত্রিপুরায় পৌছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্টীল পাইপের সর্বশেষ চালান ত্রিপুরার আগরতলায় পৌছেছে।
উল্লেখ্য, ট্রানজিট পণ্যের আওতায় বিনা শুল্কে এসব পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে। তবে এসব পণ্য পরিবহনে সাধারন পণ্যের মতো বন্দরের চার্জসহ আনুষাঙ্গিক খরচ দিতে হচ্ছে।

আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেছে ৫৫৭ টন ভারতীয় পাইপ

botv নিউজ:

১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপনসূত্রে সংবাদ পায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন চারগাছ বাজারে আমির হোসেন শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন ভূয়া চিকিৎসক অসহায় মানুষকে হয়রানি করে। বেশ কিছুদিন ধরে ভূয়া চিকিৎসাপত্র দিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত ভূয়া চিকিৎসকদের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকে এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখ বিকাল ০৩.৩০ ঘটিকার সময় ভৈরব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এবং এএসপি জোনাঈদ আফ্রাদ এর নেতৃত্বে কসবা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জোবাইদা আক্তার ও উপজেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডঃ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া’কে নিয়ে চারগাছ বাজারে উক্ত হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ রেজাউল করিম (৪০), পিতা-মৃত আমির হোসেন এবং ২। কুলসুম আক্তার (২৪) স্বামী- মোঃ গিয়াস উদ্দিন, উভয় সাং- দেলী, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণাড়িয়া আটক করা হয়।

পরবর্তীতে হাসপাতাল ও তাদের দেহ তল্লাশী করে তাদের ভূয়া ভিজিটিং কার্ডসহ সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে তাদের দেয়া ভূয়া চিকিৎসাপত্র জব্দ করা হয়। এই ভূয়া চিকিৎসকদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ সিজারকৃত রোগী, আলট্রাসনোগ্রাম করা ভুক্তভোগী রোগীদের কাছে অপকর্মের কথা জানা যায়। এরই প্রেক্ষিতে তাদের রিরুদ্ধে ভূয়া চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে কসবা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জোবাইদা আক্তার তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।

দুই ভূয়া চিকিৎসককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে র‌্যাব-১৪

ফেসবুকে আমরা..