স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহি বাসের চাপায় উজ্জ্বল মিয়া (২৭) নামে এক রিকসা চালকের মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা শরীফপুর এলাকায় শহর বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জ্বল মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামের হাসান মিয়ার ছেলে।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের হাজী মাহবুবুর রহমানের গ্যারেজের রিকসা চালাতেন। পুলিশ ঘাতক বাসটিসহ এর চালককে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উজ্জ্বল মিয়া পীরবাড়ি এলাকা থেকে খালি রিকসা নিয়ে শহরে আসার পথে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহি বাস রিকসাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে উজ্জ্বল রিকসা থেকে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বাসের চাপায় রিকসা চালক উজ্জ্বল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘাতক বাস ও তার চালককে আটক করেছে। নিহত উজ্জ্বল মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস চাপায় রিকসা চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি এই ঘোষণায় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সরকারি ঘোষণায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐহিত্যবাহি অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শ্রেণীকক্ষের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ এবং দেয়ালে জমে থাকা মাকড়াসার জাল অপসারণ করা হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বস্থি প্রকাশ করেছে। নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রভাতি চৌধুরী বর্ষা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা খুব খুশি। অনেকদিন পরে আবার স্কুলে আসতে পারব। ক্লাস করতে পারব, আমাদের পড়ালেখাও ভালো হবে। স্কুল খুলে দেওয়াতে আমাদের অনেক ভাল লাগছে।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হবে। সবাই এক সাথে ক্লাস করতে পারবো।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আলহামদুল্লিাহ অবশেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলেটাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলেটা বাসায় তেমন পড়াশুনা করেনা। স্কুলে গেলেতো পড়াশুনা হবে।

শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার কার্যক্রম সর্ম্পকে নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের একটি অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা পেয়েছি। এই নির্দেশনার আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আড়াই শতাধিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। তাই আমরা শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হবে।

তিনি আরও বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাশ করানো হবে। স্কুলে রুটিন করে অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। শ্রেণীকক্ষগুলোতে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন এস.এস.সি পরীক্ষার্থী, দশম শ্রেণী, নবম শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাবো। অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে রুটিন করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম বেঞ্চে ২জন, দ্বিতীয় বেঞ্চের মাঝখানে ১জন ও তৃতীয় বেঞ্চে ২জনকে বসানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের গুচ্ছগ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হয়নি।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ চিশতি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গুচ্ছগ্রামের শহিদ মিয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্যারাকে থাকা অন্যান্য ঘরে। এতে ১০টি ঘর ও ঘরের ভেতরের আসবাপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার পরপরই স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।

নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে কোন হতাহত হয়নি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি চাল, নগদ ১ হাজার টাকা ও তিনবান ঢেউটিন প্রদান করা হবে।

নাসিরনগরে আগুনে পুড়ে ১০ ঘর ছাই


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ২হাজার ৪শ নাগরিকের মধ্যে করোনাভাইরাসের গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পৌর সভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি তালিকাভুক্ত কেন্দ্রে টিকা দিতে লাইনে দাঁড়ান লোকজন।

সকালে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় টিকা দিতে সারিবদ্ধভাবে নারী পুরুষ লাইনে দাড়িয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।

পূূর্ব পাইকপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ পাল বলেন, গত এক মাস আগে প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম। আজ দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছি। তিনি বলেন, এই এলাকার অনেকেই এখনো টিকা দিতে পারেন নি। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকলকে টিকার আওতায় আনার দাবি জানাই।

টিকা নিয়ে সুজাতা সাহা বলেন, ১মাস আগে প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম আজ দ্বিতীয় ডোজ নিলাম। খুব ভালো লাগছে। নিজ এলাকায় নিতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো যারা টিকা দিতে পারেননি সরকার তাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করবেন৷

টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, যারা গত মাসে প্রথম টিকা নিয়েছেন তাদেরকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুইশ মানুষকে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪শত মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। সরকার নতুনভাবে টিকা আমদানি করলে হয়তো গণহারে আবার টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর এলাকায় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন

ফেসবুকে আমরা..