সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের ট্রাকের হেলপার সবুর আলী-(২০) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের তিন মাস পর হত্যাকান্ডে জড়িত সুজন-(২৮) এবং রমজান-(২০) নামক দুই যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদেরকে এই তথ্য জানান।
ট্রাকের হেলপার সবুর আলী আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের সরকার বাড়ির মরহুম রহমত আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, মোবাইল ফোনে লুডু খেলায় বাজিতে হেরে সবুর আলীর কাছে হাওলাত টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সুজন এবং রমজান ট্রাকের হেলপার সবুরকে হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃত সুজন ও রমজান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ট্রাকের হেলপার সবুর আলী তার দুই বন্ধু সুজন এবং রমজানের সাথে প্রায়ই ট্রাকে বসে মোবাইল ফোনে বাজিতে লুডু খেলতো।

গত ৪জুন রাতেও বাজিতে মোবাইলে লুডু খেলে তারা। বাজিতে সবুরের কাছে হেরে যায় সুজন ও রমজান। পরে তারা সবুরের কাছে কিছু টাকা হওলাত চায়। সবুর টাকা দিতে রাজী না সুজন ও রমজান সবুরকে এলোপাথারী পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ট্রাকের উপর ফেলে যায়।

ঘটনার পরদিন নিহতের মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত থাকার সন্দেহে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার পঞ্চবটী এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী নরসিংদী জেলার নারায়নপুর থেকে রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী সবুর আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
###

আশুগঞ্জের ট্রাকের হেলপার সবুর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ॥ দুই খুনী গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অর্থায়নে উপজেলার ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ে সততা স্টোরের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী এর উদ্বোধন করেন।

দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি এবং গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সততা স্টোরের উদ্বোধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী শিক্ষার্থীদেরকে দুর্নীতি মুক্ত রাখা এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান।

এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভুঁইয়া, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইয়ার খান, সারোয়ার আলমসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
###

নাসিরনগরে সততা স্টোরের উদ্বোধন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তাঁর পরিবারকে ধর্ষকের লোকজন ক্রমাগত চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ মিথ্যা মামলাটি নথিভুক্ত করতে থানায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের (বড়পাড়া) হিরা মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম মিয়া-(২৫) গত ২০ জুন রাতে একই গ্রামের পূর্বপাড়ার তালাকপ্রাপ্তা দরিদ্র এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মোস্তাকিম ওই নারীর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে। এর পর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই নারী বর্তমানে ১১ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে মোস্তাকিমের সাথে ওই নারীর বিয়ের প্রস্তাব করেন গ্রামবাসী। এতে বেকে বসেন প্রভাবশালী মোস্তাকিমের পরিবার। তারা টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাটি নষ্ট করার চেষ্টাও করেছে।

বাধ্য হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সরাইল থারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় মোস্তাকিম মিয়া, তাঁর পিতা হিরা মিয়া (৫০) ও মাতা জুরিনা বেগমকে (৪৬)। পুলিশ ওই দিন রাতেই মোস্তাকিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মোস্তাকিম মিয়া বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোস্তাকিমের পরিবারের লোকজন বেশ প্রভাবশালী। হিরা মিয়া গত বুধবার রাতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তাঁর বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ওই নারীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় এজহার একটি দাখিল করেন। সেই সাথে গ্রামে প্রচার করতে থাকেন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আরও মামলা দিয়ে সবাইকে এলাকা ছাড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে হিরা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বসত ঘরে ঝুলছে তালা। হিরা মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হিরা মিয়ার নিকটাত্মীয় ও তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, ধর্ষিতার মামলা দায়েরের পর থেকে হিরা মিয়া ও তাঁর লোকজন খুবএকটা বাড়িতে থাকেন না। তবে হিরা মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর বা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন,‘ ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে হিরা মিয়ার দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে শনিবার সরেজমিনে একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সরাইল থানায় কোন মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত হয় না। তাই হিরা মিয়ার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে না।
###

সরাইলে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

ফেসবুকে আমরা..