সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সরকারি চাল বিক্রি করে টাকা ফেরত দিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ কিংবা আইনি প্রক্রিয়ার কোনো একটা পথ বেছে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যান হলেন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূঁইয়া। এলাকার ক্ষোভের মুখে ওই চেয়ারম্যান বিক্রি করা চালের ৪৩ হাজার টাকা গত শুক্রবার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজলের কাছে ফেরত দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আখাউড়ার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কয়েক দফায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জন্য ১০ টন চাল বরাদ্দ হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ চাল বিতরণের মতো ক্ষতি ওই এলাকায় হয় নি। এই সুযোগটিই কাজে লাগান চেয়ারম্যান। এলাকায় আলোচনা হয়, চেয়ারম্যান অন্তত চার-পাঁচ টন চাল আত্মসাত করেছেন। এ অবস্থায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান আলমগীর ভূঁইয়া সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও অবহিত করা হয়। ওই চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করা কিংবা আইনী প্রক্রিয়ার কোনো একটা পথ বেছে নেয়ার জন্য বলতে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়রকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ অবস্থায় মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে চেয়ারম্যানকে কথাটা জানিয়ে দেন মেয়র। গত শুক্রবার মেয়রের কাছে চাল বিক্রির ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে যান চেয়ারম্যান।

খালেকুজ্জামান আলমগীর ভূঁইয়া জানান, মেয়রের কাছে চেয়ারম্যান কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ওই চেয়ারম্যান গত বছরও চাল বিতরনে নানা ধরণের অনিয়ম করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা গত শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, চাল বিক্রির খবরটি বিভিন্নভাবে জানতে পারি। ওই চেয়ারম্যান পৌরসভার মেয়রের কাছে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা বলেন, ‘ইউএনও’র কাছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া আমার কাছে শুক্রবার ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন। রবিবার ওই টাকা ইউএনও’র কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’

তবে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূঁইয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি টাকা ফেরত দেন নি বলে জানান। এ বিষয়ে ফোনে না বলে সামনা সামনি বিস্তারিত বলবেন জানিয়ে কথা বলতে রাজি হন নি।
###

আখাউড়ায় সরকারি চাল বিক্রি করে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ২৮২ বোতল ফেন্সিডিল, ৭ কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত শনিবার সকালে উপজেলার খিরনাল এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন খিরানাল গ্রামের দুলাল মিয়া- (৩৫) এবং একই গ্রামের সুমন মিয়া- (২৬)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ২৮২ বোতল ফেন্সিডিল, ৭ কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

বিপুল পরিমান মাদকসহ কসবায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া, সদর উপজেলার ঘাটুরা এবং আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামে পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গনধর্ষণ, কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং দুধ বিক্রি করতে গিয়ে ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়। পৃথক তিনটি ঘটনায় পুলিশ তিনজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেন্সিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এইচ. এস. সি প্রথম বর্ষের ছাত্রী গত ২০ আগস্ট বিকালে তার প্রেমিকের সাথে পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ঘুরাফেরা করে বাড়িতে ফেরার পথে পৈরতলা এলাকার মোখলেছ মিয়া-(৩৫) নামে এক যুবক তার সহযোগীদের নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের একটি প্রজেক্ট এলাকায় নিয়ে মোখলেছ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

অপর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় একই গ্রামের ঠিকাদার কাজী পাভেলের বাড়িতে দুধ বিক্রি করতে গেলে কাজী পাভেল তাকে ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ ধর্ষক কাজী পাভেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদি হয়ে কাজী পাভেলের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কাজী পাভেল ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মরহুম আনু মিয়ার ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ কাজী পাভেলকে আদালতে সোপর্দ করে।

অপরদিকে আশুগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশার গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে ইমন বুধবার রাতে তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বগৈর এলাকার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধুরাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে তারা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে রিকশায় তুলে দেয়। পরে তাকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ আলম জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তর পৈরতলা গ্রামের মুখলেছকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, ঘাটুরা গ্রামে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত কাজী পাভেলকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সদর হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার ॥ থানায় মামলা দায়ের

ফেসবুকে আমরা..