botv-নিউজ:

১৯৭৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেও শুধু নামের গুনে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন আবু হানিফ।
আবু হানিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গতকাল রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফের ভাতা বাতিলসহ সমস্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, একই গ্রামের মৃত আব্দু মিয়ার ছেলে মোঃ হানিফ ১৯৭১ সালে পুলিশে চাকুরী করাকালীন অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তার এফ.এফ নং-৪৫৬, ভারতীয় তালিকা নং-৩৩১১২। তাদের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের মৃত্যুর পর কথিত মুক্তিযোদ্ধা তার চাচাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নানের যোগসাজশে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের স্ত্রী নবীনগর থানায় জালিয়াতির মামলা করেন।

তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দাখিলকৃত কাগজপত্র অনুসারে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিষ্টার অনুসারে কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফের জন্ম তারিখ ১০/০৩/১৯৭৪।

এ মামলায় নবীনগর থানা তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এছাড়াও আবু হানিফের দাখিলকৃত সদর উপজেলার হাবলাউচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র এবং একই উপজেলার কাছাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সনদপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগন দেননি বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

এদিকে মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের স্ত্রীকে ভাতার ব্যবস্থা করার শর্তে অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে যান কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ। কিন্তু পরবর্তীতে এক মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র দিয়েই শুধুমাত্র নামে মিল থাকায় এখন দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফসহ সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা আসরারুন্নবী মোবারক, মোঃ আবু জাহের মেম্বার প্রমুখ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু হানিফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে মহল বিশেষের গভীর ষড়যন্ত্র। তার কাগজপত্রের সাথে অপর মুক্তিযোদ্ধা হানিফের কাগজপত্রের মিল নেই দাবি করে বলেন, তার গেজেট নম্বর হচ্ছে ৪৯১৬, মুক্তি বার্তা লাল বই নং-০২১২০৩১৩৫৫। অপর দিকে মোঃ হানিফের গেজেট নং-৩৩৯৫ এবং ভারতীয় তালিকা নং-৩৩১১২।
###

১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা, সনদ জালিয়াতির মাস্টার

botv নিউজ:

এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষার পদ্ধতি বাতিল করে, পরীক্ষার্থীদের মানসিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জেলা সদরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
মানববন্ধন চলাকালে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র ইকরামুল আলম ইশানের সভাপতিত্বে ও মুহীয় শারদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আরেফিন জান্নাত শোভা, গভঃ মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমৃতা দাস, গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন রাফাত সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, অ্যাডভোকেট নূর মুহাম্মদ জামাল।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বক্তারা বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বারবার পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে দেয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে ১০টি সৃজনশীল প্রশ্নের উওর দেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা আগের নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পদ্ধতি চুড়ান্ত করার দাবি জানান।
###

আগের নিয়মে পরীক্ষা পদ্ধতি চুড়ান্ত করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

ফেসবুকে আমরা..