সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে একপক্ষ সম্মেলন এবং অপর পক্ষ বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকর দাবির সভা করেছে।
একপক্ষের নেতৃত্বে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া। অপর পক্ষে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু নাসের। দলের বিভক্তির কারনে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানগন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার লালপুরে দু’পক্ষের কর্মসূচী চলার সময় মাঝখানে ছিলো পুলিশ। নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন ও সভা করেছে উভয়পক্ষ। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে ছাড়াই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ও সম্পাদক যোগ দেন অপর পক্ষের সভায়। এ নিয়ে দিনভর ছিলো চরম উত্তেজনা। তবে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিরোধ স্পষ্ট। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন করার ঘোষণা দেন আহবায়ক মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়ার পক্ষ। অন্যদিকে ইউনিয়নসহ সকল ইউনিটের মেয়াদ থাকায় সম্মেলন না করার পক্ষে যুগ্ম-আহবায়ক আবু নাসেরের পক্ষ।
এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ডাকে হাজি ছফিউল্লাহ’র পক্ষে হিসেবে পরিচিত লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়ের। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবিতে সভা ডাকেন লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোর্শেদ আলম।
বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ মিয়া ও সাধারন সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমানকে ছাড়াই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়ের এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনিই নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া।
একই সময়ে সম্মেলনের অনতিদূরেই মোঃ মোর্শেদ আলমের সভাপতিত্বে সভা করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। ওই সভায় সভাপতিসহ অন্যান্যদের অনুপস্থিতির সম্মেলনটি অবৈধ বলে দাবি করা হয়। একই সাথে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদেরকে অবহিত করার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে সম্মেলনের উদ্যোক্তা মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নিয়ে আমরা সম্মেলন করেছি। সেখানে বর্তমান সভাপতিকে বাদ দিয়ে আমাকে সভাপতি করা হয়েছে। একটি পক্ষ সভা বাধাগ্রস্থ করার জন্য আরেকটি সভা ডাকে। এতে কোনো সমস্যা হয় নি।
অপর সভার উদ্যোক্তা মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সভাপতি ও সম্পাদককে ছাড়া কোনো সম্মেলন হতে পারে না। এটা আমরা মানি না। এছাড়া কমিটির মেয়াদ এখনো ১১ মাস রয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদেরকে অবহিত করেছি।
###