botvনিউজ:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার সকালে শহরের কুমারশীল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে পাইকপাড়া মোড় এলাকায় এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ। সভায় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দলের পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ জনসাধারনের সামনে তুলে ধরতে “সৃজনে উন্নয়নে বাংলাদেশ”শীর্ষক দিনব্যাপী উন্নয়ন র‌্যালি, সাংস্কৃতিক উৎসব ও লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল কবিরের নেতৃত্বে এক র‌্যালি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদসহ সরকারি-বে-সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক,সাংবাদিকসহ এলাকার গন্যমান ব্যক্তিবর্গ। মেলায় সরকারের উন্নয়ন চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহি মোরগ লড়াই, লাঠি খেলা, সাপের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
###

নাসিরনগরে উন্নয়ন র‌্যালি,সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে সড়কের ভূইশ্বর এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কার কাজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস.এম মোসা, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ এমদাদুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবু তালেব, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান প্রমুখ।

৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩ কিলোমিটার এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
###

 

সরাইল-অরুয়াইল সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন

botvনিউজ:

বিজয়নগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর ৫ম বার্ষিক সাধারন সভা সোমবার সকালে বিজয়নগরে বিআরডিবির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক দিপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার।
সাধারন সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো নবীর হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর ভাইস চেয়ারম্যান সন্জয় রায় পোদ্দার,পরিচালক বিল্লাল মিয়া, শিব্বির আহমেদ,রায় মোহন চৌধুরী,হামদু মোল্লা,দুলাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, প্রমূখ।সভায় সাগত্য বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার বলেন বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে সমবায়গুলোর অবদানও রয়েছে। সমবায় হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে ধনী–গরিব সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। সে কারণে স্বাধীনতার পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমবায়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
                                                                                                                               ###

সমবায় এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে ধনী–গরিব সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন চান আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোঃ মোসলিম উদ্দিন। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আসনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী মোসলিম উদ্দিন বলেন, তিনি ২০০৯ সালে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের সু-সংগঠিত করেছেন। ২০১৪ সালে দলের মনোনয়নে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি বলেন, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান বছরের পর বছর ধরে কানাডায় অবস্থান করায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেয়। তখন থেকেই তিনি দলের হাল ধরেন। রাজনৈতিক কারনে জেল-জুলুমের শিকার নেতা-কর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন, তাদেরকে সাধ্যমতো সহযোগীতা করছেন। তিনি বলেন, এলাকায় তিনি একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। দলমত নির্বিশেষে এলাকার লোকজন তাঁকে ভালোবাসেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে নির্বাচন করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মোসলিম উদ্দিন কারাগারে থাকা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা এবং সাজা প্রত্যাহার, সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সকল দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মোসলিম উদ্দিন আরো বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল যদি আমার কর্মকা- মূল্যায়ন করে আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি বিজয়ী হয়ে দলকে কসবা-আখাউড়ার আসনটি উপহার দিতে চাই। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে তিনি কাজ করবেন বলেও জানান প্রকৌশলী মোসলিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন জালু, মোঃ সেলিম মিয়া,উপজেলা বিএনপির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শহিদ ভূইয়া, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন সাজু, উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পারুল বেগম, সহ-সভাপতি বিলকিস আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক জোহরা খাতুনসহ বিএনপির ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান প্রকৌশলী মোসলিম উদ্দিন

botvনিউজ:

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন সহ ৮ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার “কর্মবিরতি” ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পালিত হচ্ছে।

৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির প্রথমদিনে রবিবার সকাল ৬টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মবিরতি শুরু করে সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘর বাস আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া পৌর এলাকার মেড্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে আভ্যন্তরীন রুটেও লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাসের সাথে রবিবার ট্রাক চলাচলও করেনি।

ফলে কমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলটে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা ও ইজিবাইক ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ফলে যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। গণ পরিবহনের অভাবে যাত্রীরা চড়া দামে অটোরিকসা, ইজিবাইকসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

এদিকে কর্মবিরতির প্রথমদিনে রবিবার ভোর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় সহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে জামিন অযোগ্য ধারা, ৫ লাখ টাকা জরিমানা সহ ৩০২ ধারায় শ্রমিকদের মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকি। এ অবস্থায় আমরা ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে গাড়ী চালাতে চাইনা। সরকার আগে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুক। তিনি বলেন, তাদের দাবি মানা না হলে ৭২ঘন্টা এমনকি অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।

এদিকে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ফলে যাত্রীরা পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে। গণ পরিবহনের অভাবে যাত্রীরা চড়া দামে অটোরিকসা, ইজিবাইকসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

ঢাকাগামী যাত্রী আমানুর রহমান, রাকেশ দাস, রোজিনা রহমান জানান, এভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় আমরা এখন বিপাকে পরেছি। ট্রেন ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ কর্মবিরতিকে সমর্থন করে বলেন, শ্রমিক গাড়ি না চালালেতো আমরা তাদের উপর জোর করতে পারিনা। তিনি বলেন, আশা করি সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির দ্রুত সমাধান করবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু ॥ যাত্রীরা বিপাকে

botvনিউজ:

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমি একটা দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে শান্তি ফিরে আসবে, সমস্ত ব্যাথা-বেদনা দূর হবে। আমি জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই।

তিনি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ.এম, এরশাদ আরো বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায় এবং জীবনের নিরাপত্তা চায়। তারা আশা করে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে সেটা পেতে পারে। শান্তির জন্য পরিবর্তন শুধু জাতীয় পার্টি দিতে পারে। আর কেউ পারবে না। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না আমরা পরোয়া করি না। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন না করলে সরকারের পরিবর্তন হবে না। নিজের শাসনামলের শান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকে, মানুষ বিচার পায় না। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে খুন-হত্যা বন্ধ হবে। ব্যাংক লুট হবে না, গায়েবি মামলা হবে না। আমরা মানুষকে সুখ-শান্তি দেব। যদি কারচুপির নির্বাচন না হয় তাহলে জাতীয় পার্টি আবারো ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, নবীনগর আমাদের আসন ছিল। আমরা এ আসনটি ফেরত চাই। এ আসনের প্রার্থী কাজী মামুন। যে আসন আমাদের হাত ছাড়া হয়েছিল । কাজী মামুন নির্বাচিত হবে এ আসন থেকেই। আমরা নির্বাচনমুখী দল। আসন্ন নির্বাচনে আমরা অংশ গ্রহন করবো। পরে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদকে সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি তার জন্য ভোট চান।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুসলেম উদ্দিন মৃধার পরিচালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জি. এম. কাদের।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগে নির্বাচনে যে উৎফুল্লতা দেখেছিলাম, এখন সেটা নেই। সরকার বলছে যথাসময়ে নির্বাচন হবে আর তাদের প্রতিপক্ষ বলছে ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে জাতীয় পার্টি যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। যদি সব দল নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আমরা মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করব।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি ধ্বংসে নয়, উন্নয়ন ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে গুম-খুন ছিল না। জাতীয় পার্টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টি আবারো ক্ষমতায় আসবে।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া।

উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় পার্টির সভাপতি ফয়সাল হোসেন চিশতি, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি নেতা মেজর (অবঃ) খালেদ আকতার, নুরুল ইসলাম নুরু, ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
###

নবীনগরে জাতীয় পার্টির জনসভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

botvনিউজ:

নবাগত জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য কাজ পালন করতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সদর উপজেলা পরিষদের কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তিনি সকল কর্মকান্ডে সদর উপজেলা পরিষদকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মহসিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহেল রানা, উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম, ডাঃ মোহিনী বেগম। মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার প্রতিটি দপ্তরের প্রধানগন ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে পৌছলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
###

সদর উপজেলা পরিষদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন- ২০০৯ প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক সেমিনার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আনিসুল হক ভূইয়া।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদ, কসবা থানার এস.আই মোঃ কামাল হোসেন ও কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ তসলিম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার।

কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহার পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কবির আহমেদ, ব্যবসায়ী রাধেশ্যাম সাহা, গৌর চন্দ্র সাহা, হাজী মোঃ দুলু মিয়া ও ইব্রাহিম খলিল। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -অভিভাবক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
###

কসবায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনার

botvনিউজ:

আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অরক্ষিত স্মৃতি চিহ্নগুলো সংরক্ষনের কাজ শুরু করেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি পৌর এলাকার পুনিয়াউটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিতরন বিভাগ (ওয়াপদা) কম্পাউন্ডে পাকিস্তানী সেনাদের ক্যাম্প ও ব্যাংকারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সংস্কারের মাধ্যমে সংরক্ষনের কাজ শুরু করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের ধরে নিয়ে ওই ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো।

এ সময় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে পাকিস্তানী সেনাদের নির্যাতনের ঘটনা অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছেন। এসব স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষন করার জন্যে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনারা আমাদের দেশে যে বর্বর এবং জঘন্যতম হত্যাকান্ড চালিয়েছিলো এগুলো হলো সেই নিদর্শন। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্যেই আমাদের এই প্রয়াস।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা গুলো অরক্ষিত ছিলো। আজ নবাগত জেলা প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গুলো সংরক্ষনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা তাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সামছুজ্জামানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অরক্ষিত স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষনের কাজ শুরু

ফেসবুকে আমরা..