

botvনিউজ:
আগামী ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তৃণমূলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মোঃ রাফি উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন। এরা তিনজন তিন প্রজন্মের প্রার্থী। প্রার্থীদের নিয়ে নাসিরনগরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কে হবেন নৌকার মাঝি, কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন এই আলোচনা এখন দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে।
প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মোঃ রাফি উদ্দিন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়েই রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি।
১৯৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালেই তিনি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি গত ২৭ বছর ধরে সফলতার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত আছেন।
তবে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কোন নির্বাচনে অংশ নেননি। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ্য বলে জানা গেছে। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তিনি ভুগছেন বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান।
এ ব্যাপারে ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন, দলের দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছেন তবে কোন নিবার্চনে প্রার্থী হননি। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তিনি নাসিরনগরের উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করবেন।
প্রার্থীদের মধ্যে এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের মাধ্যমেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। নিজ এলাকায় তিনি খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল চৌধুরীকে হারিয়ে তিনি প্রথমবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হান্নানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার।
গত ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। উপজেলার সকল ইউনিয়নেই রয়েছে তার শক্তিশালী অবস্থান। গত ৫ বছরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে সাধারণ জনগনের কাছে একটা শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের জন্য কাজ করেছি। এলাকায় উন্নয়ন করেছি। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে আছেন দাবি করে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তিনি জনগনের প্রত্যাশার সাথে মিল রেখে নাসিরনগরকে একটি আধুনিক নাসিরনগর হিসেবে গড়ে তুলবেন।
প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাসিরনগর উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। তিনি তৃতীয় প্রজন্মের প্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রনেতা এলাকার যুব সমাজের কাছে খুবই জনপ্রিয়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি এলাকায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মোঃ শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন বলেন, দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুপ্রেরনা ও আগ্রহেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তিনি নাসিরনগরকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবেন।
###