সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক সংগঠন “মানুষ রতন” সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলায় সাদেকপুর ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া। এতে সংগঠনের সভাপতি নাজাত মোঃ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৯ নং নাটাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক,

বড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হক, সাদেকপুর এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক এবিএম শফিকুল ইসমলাম । এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাবেরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামমুরাদ, সহ-সভাপতি রোস্তম ইউনুছ উপ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক ,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, মামুন,ইমরান,আশিক, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন , জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই ।

ইভটিজিং,জঙ্গিবাদ,মাদকমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের উজ্জল ভব্িযষৎ গড়তে পড়াশোনার পাশাপশি সমাজসেবামূলক কাজ করার আহবান জানানো হয় । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক তৌহিদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাসেল চৌধুরী। পরে অতিথিবৃন্দ সাদেকপুর স্কুল এন্ড কলেজর ১৫শ শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ইমামবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িযা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানান, চট্টগ্রামগামী কন্টেইনার ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তি মারা যান। তার পরিচয় পাওয়া যায় নি।
###

কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

মৃতরা হলেন, গোয়ালনগর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া-(১৬) এবং সালমান মিয়া-(১৪)। তারা ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।

গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হক জানান, গোয়ালনগর গ্রামের মধ্যপাড়ার মাসুক মিয়া পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। সেখানে মাসুক মিয়া ব্যবসা করেন। গত ঈদ-উল আযহায় মাসুক মিয়ার দুই ছেলে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলের পানিতে গোসল করতে গিয়ে ছোট ভাই সালমান মিয়া পানিতে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই আরমান মিয়াও পানিতে ডুবে যায়।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন।
###

নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই প্রেমিকের কুড়িপাইকার বাড়িতে অবস্থান করছিলো জেলার আশুগঞ্জের তালশহর এলাকার বাসিন্দা ওই প্রেমিকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালশহর গ্রামের ওই মেয়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোর মাধ্যমে পরিচয় হয় আখাউড়ার ছোটকুড়িপাইকা গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়ার। পরিচয় গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। সম্প্রতি উজ্জল সৌদি আরব থেকে দেশে আসে। এ অবস্থায় মেয়েটি বিয়ের জন্য বলতে থাকে। কিন্তু উজ্জল ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। এ নিয়ে এলাকায় সালিসও হয়। কিন্তু মেয়েটি বিয়ে বাদে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত মানতে চাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়।

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মেয়েটি সকাল থেকে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে জানতে পেরেছি। এ নিয়ে এর আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৈঠক করলেও কোনো সমাধান করতে পারেন নি।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া জানান, মেয়েটিকে তার পরিবারের কাউকে নিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু সে একেক সময় একেকজনকে নিয়ে আসে। আমি সিদ্ধান্ত দিলে মানবে কি-না সে বিষয়েও মেয়েটি কিছু বলে না। এখন আবার মেয়েটি বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে জানতে পেরেছি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রসুল আহমেদ নিজামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তবে কোনো পক্ষ থেকেই থানাকে অবহিত করা হয় নি। সেখানে যাওয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

###

আখাউড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

সুমন আহম্মেদঃ
বহুল প্রতিক্ষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের (চান্দুরা-সিঙ্গারবিল সড়ক) সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে চান্দুরা ডাক বাংলো মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান (মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রি রানী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বিএনপি এবং জাপা এই দুই দলের হাত রক্তে রঞ্জিত। এরশাদ বলত যে তার হাত নাকি রক্ত নাই। বসুনিয়ার রক্ত কার হাতে? সেলিম দেলোয়ারের রক্ত কার হাতে? এ রকম অগনিত মানুষের রক্তের কাহিনী বলা যাবে। তিনি বলেন, বেগম জিয়া এবং এরশাদের হাতে রক্তের দাগ আছে। তারা সাধারন মানুষের রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন। তাদের মুখে এমন বুলি মানায় না।

তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বিজয়নগরের এই সড়কটির কাজ শেষ হলে এপথে চলাচলকারী জনগন উপকৃত হবে। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

প্রায় ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত (চান্দুরা ডাকবাংলো এলাকা থেকে সিংগারবিল পর্যন্ত) মুক্তিযোদ্ধা সড়কটির সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটির বাস্তবায়ন করছে।
###

প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজয়নগরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি শফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে-(২৫) তিন বছর এবং নিহতের সৎ ভাই জসিম উদ্দিনকে-(২৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের মরহুম ইদ্রিস মোল্লার ছেলে এবং মরিয়ম বেগম ইব্রাহিমপুর গ্রামের লাল মিয়ার কন্যা এবং নিহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের সাথে তার বিমাতা ভাই জসিম উদ্দিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

২০১২ সালের ৩ অক্টোবর রাতে নিজ ঘরে জসিম ও মরিয়মকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন শফিকুল। পরে জসিম ও মরিয়ম দু’জন মিলে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে শফিকুলকে হত্যা করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যাকান্ডের পরদিন তড়িঘড়ি করে শফিকুলের লাশ দাফন করা হয়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই বছরের ২৫ অক্টোবর নিহতের খালাতো ভাই রাজন মিয়া বাদী হয়ে জসিম উদ্দিন ও নিহতের স্ত্রী মরিম বেগমকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নাসির উদ্দিন শরীফ মামলাটি তদন্ত করে মোট ৯ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহন করেন।

আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় মামলার প্রধান আসামী মোঃ জসীম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় মরিয়ম বেগম আদালতে উপস্থিত থাকলেও ঘটনার পর থেকে আসামী জসীম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। এদিকে রায় শুনে আদালতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম।

মামলার রায় শুনে বাদি রাজন মিয়া এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ খান সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুল হক মাসুদ জানান, তারা ন্যায় বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
###

নবীনগরের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম হত্যাকান্ড স্ত্রীর তিন বছর, দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক ভুইয়া ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধান অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না–রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ২ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

বুধবার বাদ জোহর কসবা উপজেলার কুটিতে তাঁর প্রথম নামাজে জানাযা এবং বাদ আছর শিমরাইল গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ শিমরাইল পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
###

শোক সংবাদ মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভুইয়া

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা বুধবার সকালে স্থানীয় অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী।

সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফজলে ইয়াজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুর রহমান প্রমুখ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী মাদক, জঙ্গীবাদ, অপরাধ প্রবণতা বন্ধ ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশের পাশাপাশি সকলকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
###

নাসিরনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলা দুটি হচ্ছে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলা এবং অপরটি হচ্ছে কসবা উপজেলার নূরুল হক হত্যা মামলা।

আশুগঞ্জের কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ নাহিদ মিয়া, মোঃ আনিসুর রহমান। এবং কসবার নূরুল হক হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়া।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের মাধুরপাড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে ও কলেজছাত্র সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর তার লাশ স্থানীয় নতুন চকবাজার এলাকার একটি সেতুর পাশে ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোঃ মোহন মিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, মোঃ শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদন্ড এবং সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

অপরদিকে, গত ২০০০ সালের ২৮ জুলাই কসবা উপজেলার সৈয়দপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা নূরুল হকের উপর হামলা করে। ঘটনার তিনদিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল হক মারা যান। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং আসামী হনুফা বেগম এবং হেলেনা বেগমকে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের এ.পি.পি মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৫ আসামীর যাবজ্জীবন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন জসিম হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মেয়ে জিদনী আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে জিদনী বলেন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মোশারফ হোসেন র্মোশেদের নেতৃত্বে তাদরে গুন্ডাবাহিনী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গত ৫ জুলাই শওকত হোসেন জসিমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের দুই মাস পেরিয়ে গেলে ও মূল আসামি জাকির ও র্মোশেদকে ধরতে পারেনি পুিলশ।

তিনি আরও বলেন, খুিনরা আমাদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মামলার বাদী আমার চাচা আলাউদ্দিন, আমার দাদা শফিকুল ইসলাম এবং আমার আত্মীয় জাফরুল হোসেনরে বিরুদ্ধে মিথ্যা মানবপাচার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ সময় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন জিদনী আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত শওকত হোসেন জসিমের মা নাজমা বেগম, স্ত্রী শিউলি আক্তার, ছেলে বায়জিদ ও মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
###

বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন মেয়ে

ফেসবুকে আমরা..