স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর ও পাঘাচং গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪২টি অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি ও পেয়াজ দেয়া হয়। এ সময় সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিডি ক্লিনের “মাস্ক পড়ি করোনা থেকে নিরাপদ থাকি, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহামারী করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ১ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পৌর শহরের সড়ক বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব মাস্ক বিতরণ করা হয়।

মাস্ক বিতরণকালে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডি ক্লিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমন্বয়ক সোহান মাহমুদ,আখাউড়া উপজেলা সমন্বয়ক রমজানুল ইসলাম, কসবা উপজেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবুল প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে বিডি ক্লিন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তিনি লকডাউন চলাকালে অযথা কাউকে ঘর থেকে না বের হওয়ার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানান।

আখাউড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন ২০টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন অসহায় মানুষের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ১লিটার তেল, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি ডাল। খাদ্য বিতরণকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শম্ভু নাথ আচার্য্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে বিষয়টিতে আমরা অধিক গুরুত্ব দেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অসহায়দের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

নাসিরনগরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা পেলেন ২০ পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও একজন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কোপা আমেরিকার ব্রাজিল ও পেরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামচাইল গ্রামের ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সাথে একই গ্রামের আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়ার প্রথমে তর্কবির্তক ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মারধোর করে আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়া ও তার সহযোগীরা। আহত নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাজিলের সমর্থকরা আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবনের সহযোগীদেরকে মারধোর করেন। এতে সেলিম মিয়া, ছয়দাবুর রহমান ও জাকির মিয়া আহত হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদেরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পাল্টা-পাল্টি হামলায় আহত-৪


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। তবে এই বন্দর দিয়ে আমদানি কিছুটা কমেছে। যে কারণে রাজস্ব আয়েও কিছুটা কমতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া যাত্রী পারাপার অনেকটাই বন্ধ থাকায় ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আয়েও বেশ প্রভাব পড়েছে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের এক হিসেব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আখাউড়া স্থল বন্দরের ব্যবসায়িরা জানান, মূলত ওপারে আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রিপুরা ও এর আশেপাশের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাছের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিও আয়ে এর প্রভাব পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এই বন্দর দিয়ে মাছের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক সামগ্রী, জুস, নির্মাণ সামগ্রী রপ্তানি হয়। তবে ভারত থেকে আসে শুধু শুঁটকি আর আদা। তবে স্বাভাবিক সময়ে ১৫-২০ ধরণের পণ্য রপ্তানি হতো। বন্দরটি মূলত রপ্তানি নির্ভর।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে প্রাপ্ত এক তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২১-২০২১ অর্থ বছরে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৬৯৭ কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ৭৫৮ টাকার পণ্য। এর আগের অর্থ বছরে রপ্তানি হয় ৫৪২ কোটি ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৩০ টাকা। যা সর্বশেষ অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা কম।

সূত্র মতে, সর্বশেষ অর্থবছরে আমদানি হয় এক কোটি নয় লাখ ৯২ হাজার ২১৮ টাকার পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি হয় এক কোটি ১৭ লাখ চার হাজার ৬৩৯ টাকার পণ্য। সর্বশেষ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৮ টাকা ও এর আগের বছর রাজস্ব আয় হয় ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকা।

দুই অর্থ বছরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত তিনমাস ধরে রপ্তানি বেশ বেড়েছে। সর্বশেষ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৭ কোটি, মে মাসে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা ও জুন মাসে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকা, মে মাসে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ও জুন মাসে প্রায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।

সর্বশেষ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি গত ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৯০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। এর আগের অর্থবছরে একই মাসে ৮৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে গত কয়েকমাস ধরে ভারতে আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। পণ্য পরিবহনে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস ত্রিপুরাতে আসছিলো না। যে কারণে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়লে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায় গতি ফিরবে। এ বন্দর দিয়ে নতুন কয়েকটি পণ্য আমদানির বিষয়টি অনুমতির অপেক্ষায় আছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকা

ফেসবুকে আমরা..