botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হাওর এলাকায় মাসব্যাপী ক্ষুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই রোগে শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের কয়েক হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষুরা রোগের ব্যাপকতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিরা। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করছেন গরুর মালিকরা।
হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে খবর নিয়ে জানা গেছে, অরুয়াইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অরুয়াইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভুইয়ার দুই লাখ টাকা মূল্যের ১টি গাভী,বাহার মেম্বারের ১টি বাছুর, ইসমাইল মিয়ার ২টি ষাড়, দুবাজাইল গ্রামের বশির মিয়ার ১টি ষাড়, সাদত আলীর ৩টি গরু, হারুন মিয়ার ১টি গরু, পাকশিমুলের সিদ্দিক মিয়ার ১টি গরুসহ এই এলাকায় শতাধিক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে কৃষক ইসমাইল মিয়া জানান, উপজেলা প্রাণিস¤পদ অফিসে গিয়ে ক্ষুরা রোগের কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গেলে তারা জানায়, বাড়িতে গিয়ে ক্ষুরা রোগের টিকা দিলে চিকিৎসকের ফি লাগবে ১ হাজার টাকা এবং ভ্যাকসিনের জন্য আরো দিতে হবে দুইশ টাকা। এ ধরনের অভিযোগ করেছেন আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
এদিকে প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু গুলোকে দ্রুত বড় করতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। নরম ভাত খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে সেখানকার গরু গুলো ফুটপয়জনে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুজিবুর রহমান শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবরকে অস্বীকার করে বলেন, ক্ষুরা রোগে গত এক মাসে ৭টি বাছুর মারা গেছে। অধিকাংশ গরু ফুটপয়জনে আক্রান্ত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে ক্ষুরা রোগের পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্যাকসিন আছে। যা কৃষকদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, কৃষকদের সচেতনতাই পারে এ রোগ প্রতিরোধ করতে।
###