স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী দুই নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর সভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম হাক্কানি ওরফে এমজি হাক্কানি। আজ রোববার দলীয় প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানী কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কার্যালয়ে মেয়র পদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে দল মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানিকে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল। শনিবার বিকেলে কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মত বিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, নৌকা আমাকে জুয়েল বানিয়েছে। নৌকার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক। নৌকার সাথে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সম্পর্ক। আমি নৌকার সাথে বেঈমানি করবো না। নৌকার প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত না হন তাহলে আপনারা দুই নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন। নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। কোনো পদ পদবী আমার না থাকলেও আমি আগের মতোই জনগণের পাশে থাকবো। তিনি দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য জনগণের জনগনের প্রতি আহবান জানান।

 

মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###

কসবা পৌরসভার নির্বাচন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে বর্তমান মেয়রের সমর্থন

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

ফেসবুকে আমরা..