সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকীর উপস্থিতিতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানতে পেরে সকাল থেকেই লোকজন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এসে লাইনে এসে দাঁড়ায়। পুরুষ ও মহিলারা দুইটি পৃথক লাইনে দাড়িয়ে জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করে। লোকজনের ভীড় এড়াতে এবং সুশৃংখলভাবে যাতে লোকজন পেঁয়াজ কিনতে পারেন সেজন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

রোজগার ট্রেডার্স নামে টিসিবির একজন ডিলারের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ভাষা চত্বরের ফটক বন্ধ করে জানানো হয়, লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের দিয়েই শেষ হবে পেঁয়াজ বিক্রির কাজ। পুলিশ কনস্টেবল মোঃ হেলাল মাইক হাতে এ ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ভীড় কমতে থাকে।

রোজগার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি নুরুন্নাহার বেগম জানান, বুধবার বিকেলে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানানো হয়। আমাদেরকে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বেশ ভালোভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি করা গেছে।
পেঁয়াজ কিনে বেরুনোর সময় পৌর এলাকার পৈরতলার পারুল বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দোকান থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। এখানে কমদামে বিক্রি হচ্ছে জেনে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছি।

পেঁয়াজ কিনে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার মেড্ডা গ্রামের আব্দুস সামাদের-(৭০) জানান, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে তিনি এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। গতকাল বুধবার পৌর কার্যালয়ে কাজে এসে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা শুনে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেন।

পেঁয়াজ কিনতে আসা মোঃ শাহ আলম, মোঃ আলীসহ আরো কয়েকজন টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘টানা কয়েকদিন এ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। আশা করি আগের দামেই বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা যাবে।

পেঁয়াজ বিক্রি তদারকি করতে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। তিন দিনে মোট তিন টন পেঁয়াজ দেয়া হবে। শনি ও রবিবার একইস্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আপাতত একস্থানেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে। আরো বরাদ্দ পাওয়া গেলে কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হবে।
###

টিসিবির ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু ॥ ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর স্কুল এন্ড কলেজে এএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্তি টাকা আদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় আড়াই’শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২২০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে অভিভাবকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই আবেদনের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরেও পাঠানো হয়।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্তি ১০০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সদ্য সমাপ্ত (গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু) হওয়া জেএসসির আড়াই’শ পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার কথা বলে অতিরিক্ত ২২০ টাকা করে আদায় করা বলে অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নামে অভিযোগকারীদের একজন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জিনোদপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক গোলাম সাদেকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন,‘অতিরিক্ত নেয়া টাকা আপাতত ফেরত দিতে প্রধান শিক্ষককে আজই নির্দেশ দিয়েছি। আগামি রবিবার স্কুলটি পরিদর্শনে গিয়ে বাকী ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন,‘অভিযোগের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
###

নবীনগরে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্তি অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ!

ফেসবুকে আমরা..