সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দ দূষনরোধে বিভিন্ন যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারন শুরু হয়েছে। জেলা ট্রাফিকের উদ্যোগে বুধবার সকাল থেকেই শহরের ৪টি পয়েন্টে এই অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনে প্রায় দুই হাজার অটোরিকসা থেকে হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান সদর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মোঃ সরওয়ার হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল থেকেই জেলা শহরের কুমারশীল মোড়, কাউতলি বাস স্ট্যান্ড, থানা ব্রিজ ও কোর্ট রোড এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে পৃথক পৃথক অভিযানে নামে ট্রাফিক। অভিযান চলাকালে অটোরিকশার হাইড্রোলিক হর্নের সংযোগ কেটে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টি.আই সরওয়ার হোসেন বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রথমে অটোরিকশার হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হবে।
###

শব্দ দূষন রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারণ শুরু

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ৪/৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোকেরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল এবং ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয়পক্ষের বিভিন্ন মামলা চলমান।
পুরানো বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফজলু মেম্বারের লোকজন প্রতিপক্ষ নাজিম উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে।

পরে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ৫টি বাড়ি ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে এবং ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
###

জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত-৩০

ফেসবুকে আমরা..