স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেডের (এপিএসসিএল) বিরুদ্ধে মেঘনা নদী ও তীর অবৈধভাবে দখল করে বালু ভরাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে আশুগঞ্জ বন্দর এলাকার সচেতন নাগরিকের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড, আশুগঞ্জ সার কারখানা, জিটিসিএল, সাইলোসহ বেশ কয়েকটি কেপিআই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট বড় কলকারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান। সরকার বন্দরকে পোর্ট অব কল বা আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। মেঘনা নদী ভরাটের কারনে আশুগঞ্জ বন্দরসহ খোদ মেঘনা নদীই এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, এপিএসসিএলের উদ্যোগে নদীর তীর ভূমি অবৈধভাবে দখল করে বালু ভরাট করেছে। এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ কৌশলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেস্ট হাউসের পেছনে নিজেদের সীমানা প্রাচীরের বাইরে মেঘনার নদীর পাড়ে প্রায় তিন হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় তিনশত ফুট প্রস্থ এলাকাজুড়ে নতুন করে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করেছে। মেঘনা নদী থেকেই বালু উত্তোলন করে নতুন প্রাচীরের ভেতরে পাড় ভরাট করে জায়গা দখলে নিচ্ছে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় একজন ঠিকাদার সেখানে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বালু ভরাটের কাজ পেয়েছেন। অথচ মেঘনার পাড়ে এপিএসসিএলর কোনো জায়গা নেই। নদীর তীর কিংবা নদীর প্লাবন ভূমি নদীরই অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে হাজী মোঃ শফিউল্লাহ আরো বলেন, আশুগঞ্জ বন্দরে দেশের বৃহৎ ধানের মোকাম অবস্থিত। এই মোকামে দেশের এক তৃতীয়াংশ ধান-চাল ক্রয়-বিক্রয় হয়। বালু ভরাট অংশের পশ্চিম-উত্তর দিয়ে সোহাগপুর গ্রামের দিকে বড় খাল রয়েছে। বৃহত্তর সিলেট, কুমিল্লা, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই বন্দরে আসা ধানের নৌকা উক্ত খালে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাখা হয়। কিন্তু এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ মেঘনার জায়গা ভরাটের পর ওই খালও দখলে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে মোকামে আসা ধানের নৌকা গুলো তীরে ভীড়তে পারবে কি না সন্দেহ।

তিনি আরো বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেজিং ও ভরাটের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নৌবন্দর এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে। পাশাপাশি উপজেলার সোহাগপুর এলাকার নদী পারের ফসলি জমি, নদীর মাঝে জেগে ওঠা চর-সোনারমপুর, সেখানে থাকা কয়েক জেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যাপকভাবে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ আরো বলেন, মেঘনা নদীর গতিরোধ, পরিবেশ বিনষ্ট ও নদীভাঙন ঠেকাতে ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরির্দশন করে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এপিএসসিএলের নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) হিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস ও সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে প্রতিরক্ষা দেয়াল ও বালু ভরাট কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, দ্রুত মেঘনার বালু ভরাট বন্ধের ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বন্দর এলাকার সংক্ষুদ্ধ জনগণ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান, হাজী নাসির মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, আমাদের জানা মতে বালু ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে।
###

আশুগঞ্জে মেঘনায় বালু ভরাট বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত শনিবার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক বাড়ি-ঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনার পর পরই ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদেরকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করে বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগীতা পাননি।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম, চাঁন্দপুর, গলানিয়া, ধর্মতীর্থ, মনিরভাগ, কালিকচ্ছ মধ্যপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যায়। এসময় শিলা বৃষ্টিও শুরু হয়। কালবৈশাখীর তান্ডবে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙ্গে যায় এলাকার গাছ পালা।

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবারের লোকজন তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন।
কালীকচ্ছ নন্দীপাড়ার ক্ষতিগ্রস্থ সুবল দাস ও সুমন দাস বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে নন্দীপাড়ার ১২টি ঘর পড়ে গেছে। কিন্তু রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য সহযোগীতা পাননি। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন চাঁন্দপুর গ্রামের ফুলচান বিবি। তিনিও বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য -সহযোগীতা পাননি।

এ ব্যাপারে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরাফত আলী বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই তীব্র গতিতে দমকাসহ ঝড়ো-বাতাস শুরু হয়। পরে কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়। সাথে সাথে শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। তিনি বলেন, ঝড়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ছোট-বড় মিলিয়ে কমপক্ষে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের পর পরই তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, রোববার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি তাদেরকে সব-ধরনের সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা শেষ হলেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের টিন ও আর্থিক সহযোগীতা করা হবে।
###

সরাইলে কাল বৈশাখীর ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেলে মোকাম্মল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ)ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম)নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ)দ্বয়ের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ইছালে ছওয়াব মাহফিল গতকাল রোববার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন পীর আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)। প্রায় ৪০ মিনিট মোনাজাতে মুসলিম উম্মার ঐক্য কামনাসহ করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা ও দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে দেশ প্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে পরম করণাময় আল্লাহর দরবারে শান্তি কামনা করা হয়।

ঈমান ও ইসলাম নিয়ে বাচাঁর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয়। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিদের আগমন ঘটে। মাহফিলে ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ৫ জন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক দরবার শরীফের দু‘দিনব্যাপী মাহফিল শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয়। মাহফিল উপলক্ষে বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল নির্মান করা হয়। ভক্ত ও মুরিদানদের জন্য ছিলো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। ছিলো প্রায় তিন হাজার লোকের একসাথে বসে খাবারের আয়োজন। মাহফিলকে ঘিরে অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে উঠে ছোট বড় কয়েক‘শ দোকান-পাট। দূরের আশেকানদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
###

আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে নাসিরনগরের ফান্দাউক দরবার শরীফের দুদিন ব্যাপী মাহফিল সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির,বাংলাদেশ কৃষক ও খেতমজুর সমিতির জেলা আহবায়ক হাজী আবদুস সোবহান মাখন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব জোটের আহবায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের ।
শোক সভায় বক্তারা সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মময় জীবনের আলোচনা করতে দিয়ে বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সারা জীবন তার লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।

ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকন্ঠ এ মানুষটিকে বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই ভুলবেনা। সভার শুরুতেই তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
###

সৈয়দ আবুল মকসুদ ও খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকর পোষ্ট দেয়ার অভিযোগ অভি দাস রনি-(২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অভি দাস রনি উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের দাস পাড়ার জহর লাল দাসের ছেলে। এর আগে পুলিশ রনির বাবা জহর লাল দাস-(৫৫)কে পুলিশী হেফাজতে নেয়।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ফেসবুকে একটি পোষ্ট ছিল এরকম-“গোলাপে এত সুগন্ধ কেন? নবীজির এক ফোটা ঘাম মোবারক পড়েছিল তাই।” ওই পোষ্টে অভিদাস রনি তার ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

শুক্রবার বিকেলে রনির দেয়া আপত্তিকর মন্তব্যটি স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়লে স্থানীয়রা তার শাস্তির দাবিতে শনিবার রাতে অরুয়াইল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং উত্তেজনা প্রশমনে রনির বাবা জহর লাল দাসকে রাতে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়।

পরে জেলা পুলিশের একটি টিম শুক্রবার রাতে ঢাকার থেকে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আপত্তিকর পোষ্টদাতা অভিদাস রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সরাইলবাসীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, অভি দাস রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
####

মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে সরাইলে যুবক গ্রেপ্তার ॥ বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘদিন ভারতে নিখোঁজ থাকার পর সমীর কুমার মজুমদার-(৫০) ও শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা-(৪৫) নামে দুই বাংলাদেশী গতকাল শুক্রবার নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
সমীর কুমার মজুমদার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের শশধর মজুমদারের ছেলে এবং শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গুড়িগ্রামের আসমত আলীর কন্যা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এদের মধ্যে সমীর কুমার মজুমদার প্রায় ৯ বছর এবং শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা ৫ বছর ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ছিলেন।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন সূত্রে জানা গেছে ওই দুইজন আগরতলার মডার্ণ সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের সমাজকর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম ওই দুইজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
সমীর কুমার মজুমদারের ছোটভাই অসীম কুমার মজুমদার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সমীর কুমার। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। দেড় বছর আগে জানতে পারেন তাঁর ভাই আগরতলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ভাইকে ফিরে পেয়ে অনেক আনন্দিত বলে জানান তিনি।

মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম বলেন, আমি আমার নিজ এলাকার (নড়াইল) একটি মেয়েকে খুঁজতে আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সমীর ও শায়েস্তারা ওরফে শালিনতারার খোঁজ পাই।
পরে তাদের ঠিকানা যোগাড় করে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় অবশেষে শুক্রবার দুপুরে তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদেরকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
####

দীর্ঘদিন ভারতে নিখোজের পর আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন দুই বাংলাদেশী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অগ্নিকান্ডে একটি বসত ঘর এবং ৩টি গরু ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ার টুনু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

বাড়ির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ টুনু মিয়া বলেন, ভোররাতে তিনি হঠাৎ দেখতে পান তার বসত ঘরে আগুন লেগেছে। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘরে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই বসত ঘর ও বসত ঘরে পাশে একটি রুমে থাকার তিনটি গরু সম্পূর্ন ভস্মিভূত হয়। তিনি জানান, এতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিম্যান মোঃ কাউছার বলেন, আমরা গিয়ে দেখি সম্পূর্ন ঘর ও তিনটি গরু পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
এ ব্যাপারে শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
###

সরাইলে অগ্নিকান্ডে বসতঘর ও তিন গরু ভস্মীভূত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নতুন কমিটি ঘোষনার মাত্র দুই সপ্তাহ পর (১৪ দিন) উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এক সভায় সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির দৃশ্যমান কোন কার্যকারিতা না থাকায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বিলুপ্ত ইউনিটের নতুন আহবায়ক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।

উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ২১ সদস্য বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটিতে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী বেবী ইয়াছমিনের ছেলে রিফাত বিন জিয়াকে আহবায়ক, মোঃ আমান উল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়।

রিফাত আওয়ামীলীগ নেত্রীর ছেলে, অছাত্র, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী ও বিবাহিত এবং সদস্য সচিব মোঃ আমান উল্লাহ এলাকায় থাকেন না এবং তিনি আদম ব্যবসায়ী এই অভিযোগ তুলে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
পরে ঘোষিত ২১ সদস্য কমিটির ১৪ জন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী তাদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রকে নিশ্চিত করলে গত মঙ্গলবার ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিমের কুমিল্লা বিভাগীয় প্রধান মোঃ জাকির হোসেন সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সাথে পরামর্শ করেই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন কারনে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
###

নতুন কমিটির ঘোষনার মাত্র ১৪ দিন পর সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা বিএনপির নব-গঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপির একাংশ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বিশ^রোড মোড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপি’র দুই নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা বিএনপির একাংশের মিছিল উপজেলার কুট্টাপাড়া শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে জড়ো হয়। পরে তারা বিশ^রোড মোড় গোল চত্বরে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন, মশিউর রহমান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইসমাইল মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার প্রমুখ।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশ থেকে উপজেলা কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে উপজেলা সদরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রয়ারি আনিছুল ইসলাম ঠাকুরকে আহবায়ক ও নুরুজ্জামান লস্করকে সদস্য সচিব করে উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আহবায়ক কমিটি গত ২ মার্চ আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিলে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির আক্তার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ। পরে সংঘাতের আশঙ্কায় ওই কর্মসূচি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ দলীয় আন্দোলন করতে গিয়ে আমি ৮টি মামলার আসামী। ১/১১ তে কারাবরণ করেছি। দলের সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর আনিছুল ইসলাম ঠাকুর (বর্তমান আহবায়ক) ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ লিখিতভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু (সদস্য সচিব) ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলের দূর্দিনে তারা দু’জনই আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা তাদের এই কমিটি মানি না, কখনো মানব না।

এ ব্যাপারে নব-গঠিত কমিটির আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর বলেন,‘ আমি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলাম, দল থেকে নয়। বর্তমানে যারা আন্দোলন করছে তারা আবেগে এসব করছে, পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সোমবার আহবায়ক কমিটির ২৬ জনকে নিয়ে আমরা সভা করেছি। কমিটির অধিকাংশ লোক আমাদের সাথে আছেন। সকলের সাথে পরামর্শ করে অচিরেই আমরা মাঠে নামব।
###

সরাইলে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ॥ দুই নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ নারী শোনালের তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। শত বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ের গল্প। তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থী, কেউ আবার গৃহিনী। সংসার ও পড়াশুনার সামলিয়ে তারা নিজেদেরকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে তরুন উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসির উদ্যোগে “ বিজনেস গসিপ” নামের একটি অনলাইল গ্রুপের উদ্যোগে স্থানীয় স্মৃতি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বসে নারী উদ্যোক্তাদের মিলন মেলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

অনুষ্ঠানে সিজা, পিউ, পিয়া, লিমা, বুশরা, সাবা, নুরুন, মৌসুমি, নিশাত, অথৈ, কাজল, তাহিয়া, শান্তা, অন্তরা, হ্যাপি, অনুরাধাসহ ৩৩ নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হন ও তাদের কাজ নিয়ে কথা বলেন ও কিভাবে সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করেছেন সেই গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় মিসেস নায়ার কবিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজনটি ছিলো শিক্ষণীয়। এক সাথে খাওয়া-দাওয়া এবং উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পে মুখরিত ছিল পুরো অনুষ্ঠান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

ফেসবুকে আমরা..