স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তানজিনা (২২) নামের এক গৃহবধূকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুহেল মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় আইয়ুব আলীর ছেলে সুহেল মিয়ার সাথে কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে তানজিনার বিয়ে হয়। দুই লাখ টাকার কাবিননামায় পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের তিনবছরের একটি ছেলে বাচ্চা আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে যৌতুকের টাকা ও নানান সমস্যার নিয়ে মিল-ঝিল হচ্ছিল না। প্রায়ই শ্বাশুড়ি ও ননদরা তাকে মারধোর করতেন। ধারনা করা হচ্ছে এরই জেরে সুহেল তার স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন৷ হত্যা চেষ্টার পর আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তানজিনা যখন মারা যান তখন তার স্বামী সুহেলসহ পরিবারের সবাই নিহতের লাশ হাসপাতালে মর্গে রেখে পালিয়ে যায়।
তানজিনার মা স্বপ্না জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুহেল মিয়া তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায় তানজিনা ফাঁসি লাগছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরে তানজিনা মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে রেখে সোহেলসহ সবাই পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন কারন নিয়ে তানজিনাকে শ্বাশুড়ি ও ননদ মারধোর করতেন। সুহেল এর আগে সামিয়া নামের অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তাদের ঘরে ৭বছর একটি ছেলে সন্তান ছিল। তারা জানতেন না যে সুহেল আগে বিয়ে করেছে। একই কারনে তার ওই বউও চলে যায়। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়ছিল। সুহেলের ব্যাপারে এত কিছু জেনেও মেয়েকে সংসার করিয়েছেন। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷