স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী চলাকালে (গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ) মাদরাসার ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নারকীয় তান্ডবে ধ্বংসপ্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি দ্রুত সংস্কার করে ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা ও তান্ডবের ঘটনায় ইন্ধনদাতা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খাঁন, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, রিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ পাটোয়ারী, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারন সম্পাদক সানিউর রহমান, কার্যকরী সদস্য মুহুয়ী শারদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা তান্ডবের ইন্ধনদাতা জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রয়লব্দ অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জাতীয় সম্পদ সংস্কারের দাবি জানান এবং তান্ডবের ঘটনায় আপীল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সুপারের ভূমিকাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের সকল বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কার করে আগামী ২০ জুনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করার দাবি জানান। জেলার সর্বস্তরের জনগনকে নিয়ে রেল পথ অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে হুশিয়ারি দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন, রেলপথ অবরোধের হুমকি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বিয়ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার।

তামাকের কুফল বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য প্রমুখ।

কর্মশালায় তামাকের কুফল বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে মাঠ পর্যায়ে আরো জোরদারের পাশাপাশি আইনটি আরো কঠোর করার জন্যে সরকারের চিন্তা ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি ধুমপানের কুফল বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোসহ আইনটি বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অভিমত ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ গ্রহন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তামাকের কুফল বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তানজিনা (২২) নামের এক গৃহবধূকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুহেল মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় আইয়ুব আলীর ছেলে সুহেল মিয়ার সাথে কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে তানজিনার বিয়ে হয়। দুই লাখ টাকার কাবিননামায় পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের তিনবছরের একটি ছেলে বাচ্চা আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে যৌতুকের টাকা ও নানান সমস্যার নিয়ে মিল-ঝিল হচ্ছিল না। প্রায়ই শ্বাশুড়ি ও ননদরা তাকে মারধোর করতেন। ধারনা করা হচ্ছে এরই জেরে সুহেল তার স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন৷ হত্যা চেষ্টার পর আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তানজিনা যখন মারা যান তখন তার স্বামী সুহেলসহ পরিবারের সবাই নিহতের লাশ হাসপাতালে মর্গে রেখে পালিয়ে যায়।

তানজিনার মা স্বপ্না জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুহেল মিয়া তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায় তানজিনা ফাঁসি লাগছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরে তানজিনা মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে রেখে সোহেলসহ সবাই পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন কারন নিয়ে তানজিনাকে শ্বাশুড়ি ও ননদ মারধোর করতেন। সুহেল এর আগে সামিয়া নামের অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তাদের ঘরে ৭বছর একটি ছেলে সন্তান ছিল। তারা জানতেন না যে সুহেল আগে বিয়ে করেছে। একই কারনে তার ওই বউও চলে যায়। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়ছিল। সুহেলের ব্যাপারে এত কিছু জেনেও মেয়েকে সংসার করিয়েছেন। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

ফেসবুকে আমরা..