স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে উপজেলার বুড়ি নদীর শাখা নদীতে নৌকায় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান-বাজনা করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সাউন্ড বক্স গুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন নবীনগর লঞ্চঘাট এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে একদল যুবক (৩০/৩৫ জন) একটি বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সামিয়ানা টানিয়ে নৌকায় বড় বড় সাউন্ড বক্স ও মাইক লাগিয়ে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যুবকরা নৌকাটি ছাড়ার আগেই নৌকায় উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে অশালীন ভঙ্গিতে লাফালাফি ও হৈচৈ করছিলো।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যুবকদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও নৌকায় থাকা সাউন্ড বক্সগুলো জব্দ করে নিয়ে যান। এ সময় নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে এ আলমসহ পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে যুবকেরা তাদের দোষ স্বীকার করায় তাদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও নৌকায় থাকার সাউন্ড বক্স গুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নবীনগরে নৌকায় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে গান বাজনার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে তাবাসসুম আক্তার (৪) ও উমর মিয়া (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুহিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু তাবাসসুম আক্তার উত্তর সুহিলপুর গ্রামের মহসিন মিয়ার কন্যা ও উমর মিয়া একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে ওমর ও তাবাসসুম বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। হঠাৎ করে তারা সেখান থেকে হারিয়ে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খেলার মাঠে গরু চড়ানো নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ১২জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর খেলার মাঠে পার্শ্ববর্তী ভলাকূট গ্রামের কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলছিলো। এ সময় রতনপুর গ্রামের হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যক্তি এই মাঠে গরু চড়াতে যান। এ সময় রশি ছিড়ে একটি গরু খেলার মাঝখানে ঢুকে পড়ে। এতে খেলা বিঘ্নিত হয়। ছেলেরা গরুটিকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিলে হুমায়ূন কবিরের ভলাকূট গ্রামের ছুট্টু মিয়া ও মঙ্গল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা হুমায়ূন কবিরকে মারধোর করে।

এ ঘটনার জের ধরে রোববার দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে কামাল (৪৫) হুমায়ূন কবির (৩২), ফিরোজ মিয়া (৬৫), মোবারক (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৭), এবাদত মিয়া (৩৩), আল আমিন (২৭), সালাউদ্দিন (৩৭), সুজন মিয়া (৩২) মোশারফ (৪০), আবদুর রহমান (৪৫) ও জিন্নত আলী (৭০) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকীরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহত ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি উপজেলার চাতলপাড় ও ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মিমাংসা করে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানায় কোন মামলাও হয়নি।

নাসিরনগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-২০

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্তিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,  অন্ধকারের শক্তি যারা, তারা আলোর পথে যাত্রা চর্চা হয় সেটাকে পছন্দ করে না। তাই বারবার তারা আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ, শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা যেখানে আছে সেখানে হামলা করছে। কারণ তারা মুক্ত চিন্তার বিপক্ষে। তাদের চিন্তা নিজস্ব বলয়ের ভেতরে।

তিনি গত ২৮ মার্চ দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী পরিচলানা কমিটির সহ-সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গণি সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে বলেন, যখন মাদরাসাগুলো খুলে দেয়া হবে, তখন যেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচীগুলো যেন পালন করার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শাহ-আলম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি জেলার কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের মধ্যে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কাজ উদ্বোধন

ফেসবুকে আমরা..