botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এ উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা। নতুন বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য শুরু হয়েছে ‘স্পট মিটারিং’ কার্যক্রম।
এ কার্যক্রমের আওতায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে আবেদন প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে মিটার লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় বর্তমানে এক হাজার ৩৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। ৩১ মার্চ নাগাদ বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯৮২ জন। মূলত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হুহু করে বাড়তে থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ।
পল্লী বিদ্যুৎ থেকে পাওয়া এক হিসেব থেকে দেখা যায়, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ উপজেলায় গ্রাহক ছিল ১২ হাজার ৬৬২ জন। গত ১০ বছরে নতুন গ্রাহক হন ৩৭ হাজার ৩২০ জন। উপজেলায় একটি ১৫ এমভিএ উপকেন্দ্র রয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে চম্পকনগরে আরেকটি উপকেন্দ্র নির্মাণে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এখানে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ টাকা। উপকেন্দ্র, ট্রান্সফরমার, মিটারসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমান সরকার গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্যাপক ভূমিকা রাখা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকায় আমাদের উপজেলাকে দ্রুত শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আখাউড়ার ডিজিএম আহমেদ শাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরাও কখনো ভাবিনি যে এত দ্রুত ওই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে। তবে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কারণে এটা সহজ হয়ে গেছে। এ উপজেলায় এখন ‘স্পট মিটারিং’ এর মাধ্যমে সেবা দেয়া হচ্ছে।
###