সুমন আহম্মেদঃ
বিএনপি না বুঝেই সরকারের করা আইনকে কালো আইন মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে জাতীয় সংসদে যে আইন পাস হয়েছে সেটিকে ‘কালো আইন’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা আইন বুঝুক আর না বুঝুক- যেটাই আমরা করি সেটাই ওনাদের কাছে কালো আইন মনে হয়। আমি ওনাদের বলব- এই আইনটা পড়তে, বুঝতে। তারপর যেন ওনারা মন্তব্য করেন।

নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী।

এ সময় আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
###

বিএনপি না বুঝেই কালো আইন মনে করে : আইনমন্ত্রী

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনজন তরুণ কবির যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। সভায় “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর সহ-সভাপতি বিশিষ্ট রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক এর সভাপতিত্বে অন্যতম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যক আমির হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল আমিন শাহিন, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও কথাসাহিত্যক আবুল কাশেম তালুকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবু আহাম্মদ মৃধা, কবি ও কথাসাহিত্যক রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গীতিকার নাগর হান্নান, কবি ও গীতিকার মোহাম্মদ হানিফ। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মেঘের ভেলার লেখক কবি সুমন সাহা, কবি হুমায়ুন কবির সোহেল ও কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। অনুষ্ঠানে তিন কবি-কে “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন কাব্য রচনা করা একটি শিল্পকর্ম। পৃথিবীর অরাপর সকল শিল্পকর্ম শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান থাকলেও কাব্য রচনা শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নেই। একজন কবি তার অন্তর আত্মা থেকে তাগিদ অনুভব করেন কোন একটি কবিতা লেখার জন্য। এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি জ্ঞান যা তিনি কবিদের দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, যারা সাহিত্য সাধনা করেন তারা আর যাই হোক সমাজের খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হন না। সভায় অনান্য বক্তাগণ তরুণ বয়সে সাহিত্য সাধনায় আতœনিয়োগ করা ও বই প্রকাশের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন কবিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জনান। তারা বলেন, তাদের লেখার মান ভালো-খারাপ যাই হোক না কেন, তাদের সাহিত্য চর্চায় অংশ গ্রহণ করাটাই প্রশংসার দাবিদার। চর্চার মাধ্যমেই নবিন কবিরা একসময় ভালো কবি-সাহিত্যিক হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য “মেঘের ভেলার” তিন লেখক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন “কবির কলমের” প্রতিষ্ঠাতা। এটি তাদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
###

যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে আমরা..