botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসএসসির ভূয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়ে মোঃ সোহাগ মিয়া-(১৫) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আখাউড়ার শিবনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ মিয়া ওই গ্রামের মোঃ মনির হোসেনের ছেলে। সোহাগ আখাউড়া দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

সোমবার বিকেল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক চন্দন দেবনাথ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সোহাগ ভূয়া আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসএসসির অগ্রিম প্রশ্নপত্র বিক্রয়ের স্ট্যাটাস দেন। পরে তার মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ সাংবাদিকদের জানায়, গত বছরের জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় সে এভাবে প্রতারিত হয়েছিল। কৌতুহল ও প্রলোভন থেকেই সে এই কাজ করেছে বলে সে স্বীকার করেছে। সোহাগ জানায়, প্রশ্নপত্র বিক্রি করে সে দুই হাজার ৫শত টাকা পেয়েছে।
###

এসএসসির ভূয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়ে,আখাউড়ায় কিশোর গ্রেপ্তার

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালিমা আক্তার-(৩) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শিশু হালিমা হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

সাংসারিক কাজ নিয়ে শিশু হালিমার মা খাদিজা বেগমের সাথে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরোধ ও দেবর হেলালের কুপ্রস্তাবে খাদিজা বেগম রাজী না হওয়ায় চাচা হেলাল মিয়ার হাতে শিশু হালিমা খুন হয়। শিশু হালিমা ভাদুঘর গ্রামের মুন্সিহাটির রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় হালিমার চাচা হেলাল মিয়া-(২৬) এবং তার সহযোগী রুবেল মিয়াকে -২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত হেলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মুন্সিহাটির ফরিদ মিয়ার ছেলে এবং রুবেল একই গ্রামের ভূইয়াপাড়ার আরফুজ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারকৃত হেলাল হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। তিনি জানান, হালিমার লাশ উদ্ধারের পরপরই আমরা হত্যা রহস্য উদঘাটনের তদন্ত শুরু করি। তদন্তের প্রধান বিষয় ছিল হালিমার মায়ের সাথে কারো সম্পর্ক আছে কি না। সেটি তদন্ত করতে গিয়েই আমরা জানতে পারি হালিমার মাকে তার চাচা হেলাল মিয়া মাস খানেক আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের ঝগড়াও হয়েছে। এর পর থেকেই হেলাল প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। শিশু হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। গত ১২/১৫দিন আগে হালিমাকে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে হেলাল, কিন্তু পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল জানিয়েছে, হালিমাকে হত্যার প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর সে হত্যার বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে তার সহযোগী রুবেলকে সাথে নিয়ে ৪/৫ দিন আগে হত্যাকা-ের ঘটনাস্থল পরির্দশন করে।

ঘটনার দিন (২ ফেব্রুয়ারি) হালিমাকে কোলে করে হেলাল বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। হালিমাকে এক প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়ে বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বহুতল ভবনের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলাল। এ সময়  নির্বিঘ্নে হত্যাকান্ড- সংগঠিত করার জন্য রুবেল পাহারা দিয়েছিল।

এর আগে গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাদুঘর গ্রামের ভূইয়াপাড়া মহল্লার একটি বহুতল ভবনের পাশ থেকে হালিমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় হালিমা।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবির, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু হালিমা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ॥ চাচার দায় স্বীকার

botvনিউজ:

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক ( অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) ও যুগ্ম সচিব মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া বলেছেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সংবাদ পরিবেশন, সাংবাদিক হচ্ছে সমাজের বিবেক। তিনি সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পিআইবির উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের অনুসন্ধ্যানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া আরো বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই, বিচ্যুত হলে সাংবাদিকতার জীবনের মৃত্যু হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা থাকতে হবে, আবার সৃজনশীলতা থাকতে হবে।

সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা, টার্গেট গ্রুপকে নাড়া দেয়া সাংবাদিকদের কাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া আরো বলেন, নদীতে পানি বয়ে যায়, সেখানে কচুরীপানা থাকবেই তাই বলা যাবেনা নদীতে কচুরী পানা বয়ে যাচ্ছে। যেনতেন কাজ করার পেশা সাংবাদিকতা নয়।

প্রথম দিনে আরো প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম। সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির সহকারি প্রশিক্ষক তানিয়া পারভীন। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলোক্ট্রনিক মিডিয়ার ৩৫জন অংশ নেন।
###

সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মধ্যে দিয়ে ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২জনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু স্বয়ারের সামনে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও নিহত ছাত্রনেতাদের স্মৃতিরক্ষায় নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াসিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার,
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়াসহ আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এই দুর্ঘটনা মর্মান্তিক, দুঃখজনক, হৃদয়বিদারক। দূর্ঘটনায় আমরা হারিয়েছি ১২টি তাজা তরুন প্রাণ ও জেলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। তারা কোনো নেশা বা বিভিন্ন অপরাধমূল কাজে জড়িত ছিল না। নিহত ছাত্রনেতারা কোন পদ-পদবীর চিন্তা করে নি উল্লেখ করে তিনি বলেন তারা দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন, নিহত ছাত্রনেতারা একটি সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখতো। তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে
হবে। তাদের শূন্যতা এবং তাদের স্বপ্ন বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা -কর্মীদের পুরণ করতে হবে।
পরে নিহত ১২ ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামীলী উলামা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ।আলোচনা সভার আগে নিহত ছাত্রনেতাদের স্মৃতিরক্ষায় নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে প্রধান অতিথি সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগ নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পির সফর সঙ্গী হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ সন্তান।
এরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী আলম শান্ত-(৩১), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাবেক এজিএস আরিফুল ইসলাম বাবু-(৩০), জেলা ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন লিয়েন-(২৮), মোর্শেদ আলম-(২৯), শাহজাহান রহমতুল্লাহ রুমেল-(২৮), অ্যাডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ-(২৯), শেখ রায়হান উদ্দিন-(২৮), হাফেজ আব্দুল্লাহ মাসুদ তানভীর-(২৯), মোঃ ইমরানুর রেজা ইমরান-(২৮), নূরুল আসিফ চৌধুরী-(২৮) ও মিজানুর রহমান-(৩৫)। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোঃ আলমগীর-(২৮)। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব বরন করছেন জেলা ছাত্রলীগ জাহিদ হোসেন পাভেল।
১২ ছাত্র-নেতার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি স্মৃতি সৌধ।
                                                        ###
4 Attachments

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ছাত্রলীগ নেতার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফেসবুকে আমরা..