সুমন আহম্মেদঃ
কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (১১ নভম্বের) এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটে।এখন পর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে।আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা- চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ৯টি লাশ রয়েছে, এরমধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চার জন নারী। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন ভর্তি হন, তারমধ্যে দুজন মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। কুমিল্লায় ৯ জন ভতি হন, তারমধ্যে একজন মারা গেছেন, তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার কাজ চলছে। আমরা কন্ট্রোল রুমও খুলেছি। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন,প্রায় ১০০ লোক আহত হতে পারেন।’

ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রসাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসন হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলো ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত কওে প্রত্যকে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতদেরকে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ.নিহত ১৭

ফেসবুকে আমরা..