botvনিউজ:
সারা দেশের ১৭৩টি কলেজে এক সাথে আবেদন করে একটিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার সোহাতা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া।
গত রবিবার কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের কথা ছিলো তাঁর।
কিন্তু বাঁধ সাধেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, এম.পিওভুক্ত শিক্ষকের পদ খালি না থাকায় স্বপনকে যোগদান করতে দেয়া যাচ্ছে না।
বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) কলেজ পর্যায়ের ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন স্বপন। এছাড়া জাতীয় মেধা তালিকায় সারাদেশের মধ্যে ১৭৮তম হয়েছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী স্বপন জানান, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বড় শালঘর আদর্শ কলেজে বাংলা বিভাগে এম.পিওভুক্ত হিসেবে শিক্ষক নেয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখেই তিনি আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার যোগদান করতে গিয়ে দেখেন পদটি নন এমপিওভুক্ত। সার্বিক বিবেচনায় তবুও তিনি যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগদান করাতে অনীহা প্রকাশ করায় শিক্ষক হওয়া স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় তার। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় তিনি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে বড় শালঘর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের কলেজে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকের এমপিওভুক্ত শূণ্য পদ নেই। কিন্তু আবেদনের সময় এটাকে এমপিওভুক্ত দেখায় এনটিআরসিএ। সেই অনুযায়ি বাংলায় স্বপন মিয়াকে ও ইংরেজিতে আনোয়রুল আজিম নামে আরেকজনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। এ অবস্থায় আমরা বিষয়টি এনটিআরসিকে অবহিত করেছি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয় নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সমান বেতন দিয়ে আমাদের পক্ষে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব না। তবে আশা করছি এ বিষয়ে একটা সমাধান পাওয়া যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসে বে-সরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। নিবন্ধন পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৬টি আবেদন করেন। একেকটি আবেদনের জন্য প্রার্থীদেরকে ১৮০ টাকা করে দিতে হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নন এমপিও কলেজেও নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ সুপারিশ করায় এখন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্বপন মিয়া জানান, অর্থের অভাবে দুইবার তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। উন্মুক্ত থেকে এস.এস.সি পাস করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে মাস্টার্সের ভাইবাও দিয়েছেন। পড়ছেন এল.এল.বিতে। একই সাথে বিসিএস দেয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যোগদান করতে না পেরে তিনি এখন হতাশ।
###