স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বাস্তবায়নাধীন “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”-এর উদ্যোগে উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মেহেদী মাহমুদ আকন্দের সভাপতিত্বে ও উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.মেহেদী মাহমুদ আকন্দ এর সভাপতিত্বে ও সফল উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, বিডা ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ-আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে বিডার প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর সারাদেশে ১ হাজার কোটি টাকার উপর বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭শত উদ্যোক্তা ২৩ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, চাকুরী প্রত্যার্শীর সংখ্যা কমে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই আমরা উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তিনি বলেন, প্রশিক্ষনার্থীরা যাতে সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সব সময় তাদেরকে সহযোগীতা করবো। আলোচনা সভা শেষে ৯০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হুরল বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার জেঠাগ্রামের দক্ষিণপাশে হুরল বিলের মাঠে দেশীয় প্রজাতির মাছের ৪৭০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন এসব পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ হৃতুল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারহানা খন্দকার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব কুমার চৌধুরী, ক্ষেত্র সহকারী শরীফা বেগম, ইউপি সদস্য তসু দাসসহ প্রমুখ।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি গ্রোগ্রাম ফেজ-২ এর আওতায় উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

নাসিরনগরে জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেছেন, করোনার পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনের কারণে রেললাইনের স্লিপার আনতে সময় লাগছে। তবে দ্রুতই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর ২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আজ ঢাকা থেকে মহানগর ট্রেনে রওয়ানা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রেলসচিব আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছেন।
আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই রেলসচিব আখাউড়ায় আসেন। পরে তিনি একই ট্রেনে লাকসামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে সাংবাদিকের সাথে তিনি কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে রেললাইনের স্লিপার আনতে হয়। ভারতে এখন লকডাউন শুরু হয়েছে। ভারতের সাথে কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য স্লিপার আনতে সময় লাগছে। করোনার পরিস্থিতির কারণেও সময় লাগছে। সবগুলো প্রকল্পই দ্রুততার সাথে শেষ করতে সবাই চেষ্টা করছে ।

রেলসচিব বলেন, করোনার পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মতো আমরাও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ ও আখাউড়া লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণসহ রেলের সকল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আমরা শেষ করতে পারবো।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রেল সচিব বলেন, দ্রুত আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করব। ইতিমধ্যেই আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়া শুরু করেছি। পুরো উদ্দ্যোমে কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, রেল সম্পূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সরকারি যে বিধি-বিধান আছে সেই অনুযায়ী চলতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের দিকটি আগে ভাবতে হবে। আপনারা জানেন করোনার কারণে সারা বিশ্বে কি অবস্থা হয়েছে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি আসন ফাঁকা রেখে আরেকটা আসনে বসে যাত্রীদের যাতায়ত করতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে রেলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। করোনার এই সময়ে অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে রেলবিভাগ অনেক ভালোভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলছে।
তিনি বলেন, আমি চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁরা আরামদায়কভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।

এসময় রেলসচিবের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ের ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান, ডিটিও মোঃ খায়রুল কবির, ডিসিও মোঃ সৈকত জামিল, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে

ফেসবুকে আমরা..