সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে পিতৃহারা এক তরুণীকে (১৮) জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়েছে তরুণীর মাকে। ফলে আতঙ্কে বাসায় তালা দিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যান মাহী নামে এক যুবক। তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহীর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কানে। শনিবার তরুণীর বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে।

ওই তরুণীর এক আত্মীয় জানান, ঘটনার পরপরই তার বোন পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বাবুলকে নিয়ে ওই নেতার কাছে যান। তখন বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং মামলা না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের ওই নেতার এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে আমাদের এক আত্মীয়ের কাছে বিয়ে দেয়। সেই সুবাধে নেতার ছেলে এখানে আসা-যাওয়া করতো। তবে তার ভাগনির সঙ্গে ওই ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না সেটি জানেন না তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়েটির পরিবার অথবা এলাকার কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।
###

ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে তুলে নিলেন আ.লীগ নেতার ছেলে

সুমন আহম্মেদঃ
বিএনপি না বুঝেই সরকারের করা আইনকে কালো আইন মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে জাতীয় সংসদে যে আইন পাস হয়েছে সেটিকে ‘কালো আইন’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা আইন বুঝুক আর না বুঝুক- যেটাই আমরা করি সেটাই ওনাদের কাছে কালো আইন মনে হয়। আমি ওনাদের বলব- এই আইনটা পড়তে, বুঝতে। তারপর যেন ওনারা মন্তব্য করেন।

নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী।

এ সময় আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
###

বিএনপি না বুঝেই কালো আইন মনে করে : আইনমন্ত্রী

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনজন তরুণ কবির যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। সভায় “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর সহ-সভাপতি বিশিষ্ট রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক এর সভাপতিত্বে অন্যতম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যক আমির হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল আমিন শাহিন, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও কথাসাহিত্যক আবুল কাশেম তালুকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবু আহাম্মদ মৃধা, কবি ও কথাসাহিত্যক রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গীতিকার নাগর হান্নান, কবি ও গীতিকার মোহাম্মদ হানিফ। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মেঘের ভেলার লেখক কবি সুমন সাহা, কবি হুমায়ুন কবির সোহেল ও কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। অনুষ্ঠানে তিন কবি-কে “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন কাব্য রচনা করা একটি শিল্পকর্ম। পৃথিবীর অরাপর সকল শিল্পকর্ম শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান থাকলেও কাব্য রচনা শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নেই। একজন কবি তার অন্তর আত্মা থেকে তাগিদ অনুভব করেন কোন একটি কবিতা লেখার জন্য। এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি জ্ঞান যা তিনি কবিদের দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, যারা সাহিত্য সাধনা করেন তারা আর যাই হোক সমাজের খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হন না। সভায় অনান্য বক্তাগণ তরুণ বয়সে সাহিত্য সাধনায় আতœনিয়োগ করা ও বই প্রকাশের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন কবিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জনান। তারা বলেন, তাদের লেখার মান ভালো-খারাপ যাই হোক না কেন, তাদের সাহিত্য চর্চায় অংশ গ্রহণ করাটাই প্রশংসার দাবিদার। চর্চার মাধ্যমেই নবিন কবিরা একসময় ভালো কবি-সাহিত্যিক হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য “মেঘের ভেলার” তিন লেখক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন “কবির কলমের” প্রতিষ্ঠাতা। এটি তাদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
###

যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিকের উত্তর সরবরাহের দায়ে পাঁচ শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার এ কারাদন্ডাদেশ দেন। এদিন মাদরাসার কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা ছিল।

দন্ডিতরা হলেন, উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম, একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন, তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক কবির হোসেন ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ শিক্ষক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করার জন্য। এ ঘটনায় ধরা পড়ার পর তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেন। ইউএনও মো. নাজিমুল হায়দার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
###

পরীক্ষার্থীদের উত্তর সরবরাহের দায়ে ৫ শিক্ষককে দুই বছরের কারাদন্ড

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতিসহ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে চরম আপত্তিকর এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব বিস্ময় প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবী জানাচ্ছে।
মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী নামে ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক কোন কারনে এধরনের উদ্বত্যপূর্ন বক্তব্য প্রদান করলেন তা জানানোর প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব এই বিবৃতি প্রদান করছে।

সকলেই জানেন ২০শে জানুয়ারী ‘এদারায়ে তালিমিয়া’র ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। মানববন্ধনের সংবাদ কেন প্রকাশিত হলোনা তা নিয়ে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামকে চার্জ করেন জাকারিয়া নামের একজন মাওলানা। বিষয়টি জেলার শীর্ষ আলেম হিসেব পরিচিত মাওলানা সাজিদুর রহমানকে অবহিত করার পর তিনিও একইভাবে সংবাদ না আসার কৈফিয়ত চান। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকগন তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে সংবাদ প্রেরন করার দায়িত্বটুকুই পালন করেন। সংবাদ প্রকাশনার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। সেস্থলে একজন সংবাদকর্মীকে তাদের চার্জ করা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে। তারা সেসময় ওই সংবাদকর্মীকে কটাক্ষ করে কথাবার্তা বলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক জরুরীসভা আহবান করা হয়। ওইসভায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্ধত্যপূর্ন আচরনের শিকার হয়েছেন বলে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।

শুধু ওইদিনই নয় বিভিন্ন সময় তাদের হাতে অনেক সাংবাদিক নাজেহাল ও নিগৃহিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলে ধরেন। সকলের প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তে তাদের কোন কর্মসূচীর সংবাদ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। পাশাপাশি পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। সভায় জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সকলেই উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এই সিদ্ধান্তে একমত পোষন করেন। প্রেসক্লাবের এই সিদ্ধান্তের পর ২/১ জন মাদ্রাসা শিক্ষক ফেসবুকে ও অনলাইনে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য চালিয়ে যেতে থাকে। তারা কাদিয়ানীদের টাকা খেয়ে সাংবাদিকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এধরনের মানহানিকর মন্তব্য করেন। ফেসবুক ও ভুইফোড় অনলাইনে এসব বক্তব্য তুলে ধরে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শন করেন। প্রেসক্লাবের সদস্যদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে হুমকী দিয়েও নানা বার্তা পাঠান। ওই সব বার্তায় তাদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আগে বিষয়টি নিস্পত্তি না করলে পরিনতি ভালো হবেনা বলেও হুমকী দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিনে ১লা ফেব্রুয়ারী রাতে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী হাদিস-কোরআনের আলোকে বয়ান করা বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগারে লিপ্ত হন । আপত্তিকর ভাষায় তিনি সাংবাদিকদের কাফের এবং জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট বলে বক্তব্য দেন। শুধু তাই নয় সাংবাদিকরা কাদিয়ানী হয়ে গেছে এবং কাদিয়ানীদের টাকা খেয়েছে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমী।

তার এই ঘৃন্য বক্তব্যে সাংবাদিক সমাজতো বটেই গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ বিস্মিত হয়েছেন। তিনি প্রেসক্লাব সভাপতির নাম নিয়ে তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করেন এবং তাকে নিয়ে খুবই আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম একজন সাংবাদিকই নন,তিনি একজন কোরানে হাফেজ এবং আলেমও। দীর্ঘ সময় তিনি জেলা সদরের কোর্ট মসজিদে খতমে তারাবীহর নামাজ পড়িয়েছেন। জামিয়া ইসলামিয়া-ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকালীন তিনি জেলায় কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনের গোড়ার দিকের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আজকে যারা এসব নিয়ে মাঠ গরম করেন তাদের মতো এতো বাগাড়ম্বরতার চিন্তা এবং মিডিয়া কাভারেজের চিন্তা মাথায় নিয়ে তিনি এই আন্দোলন করেননি। আমরা খুবই বিস্মিত মাদ্রাসার একজন আলেম কোরাআন-হাদিসের কোন জায়গা থেকে অন্যকে কাফের বলার এই শিক্ষা পেলেন,তিনি এভাবে সাংবাদিকদের কাফের বলতে পারেন কিনা,সেটি তার কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা এবং দেশের বর্ষীয়ান আলেমদের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

সাংবাদিকরা কাদিয়ানীদের টাকা খেয়ে তাদের সংবাদ বর্জন করেছেন এমন প্রমানও চাইছি আমরা তার কাছে। অবশ্যই তাকে এই প্রমান তুলে ধরতে হবে। তার এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরদিনই জেলার আশুগঞ্জে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের একটি মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের ওপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। আমরা মনে করি আবদুর রহিমের এই ধরনের বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিক সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্যে হুমকীস্বরূপ।

শুধু তাই নয় তার এধরনের বক্তব্য জেলার ঐতিহ্যবাহি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মর্যাদা ও মাহফিলের আয়োজনকে খাটো করেছে নি:সন্দেহে এবং মাহফিলের আয়োজন সাংবাদিকদের বিষোদগারের জন্যেই করা হয়েছে সেটি বলছেন এখন জেলার মানুষ। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা জেলার ঐতিহ্যবাহি একটি প্রতিষ্ঠান। যা সর্বজনের শ্রদ্ধার একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে অনেক দ্বীনি-আলেম-উলামা রয়েছেন। যারা স্বগুনে সকলের কাছে সম্মানিত। তেমনি এই নামী প্রতিষ্ঠানকে পূজি করে আবদুর রহিম কাসেমীসহ কতিপয় আলেম নিজেদের জাহির করার ও নিজের স্বার্থ সিদ্ধির কাজে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শান্তিপূর্ন পরিবেশ বিঘ্নিত  করার পেছনে তাদের ভূমিকাকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। আমরা মনে করি তাদের এসব ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জঙ্গী জেলা হিসেবে পরিচিত করে তুলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে সারা বিশ্বে। ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী প্রেসক্লাব সভাপতির কর্মকান্ড খোজ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।

আমরাও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই কারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই অস্থির-অশান্তির পেছনে,সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ না হওয়ার ছুতোয় তারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান,তাদের কর্মকান্ড কি, তারা আখেরাত না দুনিয়ার চিন্তায় ব্যস্ত সেগুলো খুজে দেখা দরকার। আমরা দৃঢ ভাবে বলতে চাই সাংবাদিকদের নখদর্পনে সবকিছুই। কারা কি করছেন সবই জানা আছে আমাদের। বিন্দু থেকে সিন্দু হওয়ার ইতিহাস গড়েছেন কারা সেসবও আমরা জানি। সুতরাং ভেবে চিন্তে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কথা বলুন । আমরা অবিলম্বে মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমীকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন সৃষ্টি করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। ঐতিহ্যবাহি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিনিয়ত সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আলেমদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারন করে এই মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি।
###

মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর উস্কানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্যের জবাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে পাগলা মহিষের আক্রমণে সাফিয়া বেগম (৬৫)নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফিয়া ওই গ্রামের মুকতুল হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে ভারতের সীমানা অতিক্রম করে একটি পাগলা মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে গৌরাঙ্গলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় মহিষটির আক্রমণে ৮ জন আহত হয়। গুরুতর আহত সাফিয়াকে তার পরিবারের লোকজন কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, পাগলা মহিষের আক্রমণে একজন নিহত হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

###

ভারত থেকে আসা পাগলা মহিষের আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর সম্মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজের একটি ভবনের নাম করন করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে পৌর ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের “ আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভবন” নামে নামফলক উম্মোচন করেন।
একই সাথে তিনি কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর স্মরণে কলেজের দ্বিতল ভবনের নাম “বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভবন” নামে উদ্বোধন করেন।

পরে কলেজর হুমায়ূন কবির ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন।
কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ জানান, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে সেরা বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুকে উপস্থাপন, তাদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষেই কলেজ পরিচালনা পরিষদ সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয় কলেজের প্রধান একাডেমিক ভবনটির নামকরণ করেছেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভবন নামে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু ও অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিরের নামে ভবনের নামকরণ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
আখাউড়ায় প্রতিবন্ধী ও অসহায় দুস্থদের জামা কাপড় দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঝরাপাতা। গতকাল শনিবার দুপুরে আখাউড়ার খালাজুড়া মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ঝরাপাতার বর্ষপূতি উদযাপন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, বাহার মালদার, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম। ঝরাপাতার উপদেষ্টা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন, ঝরাপাতার উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম জুয়েল, সাংবাদিক ফজলে রাব্বি, জালাল হোসেন মামুন, আসিনুর রহমান, ঝরাপাতার প্রতিষ্ঠাতা সাদ্দাম হোসাইন, ঝরাপাতার তানিয়া আক্তার ও সুফিয়া আক্তার প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া, প্রত্যাশী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অস্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো. বেল্লাল, সাংবাদিক কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন, তাজবীর আহমেদ, রতন পারভেজ, ঝরপাতার মামুন খান, সুমন ভূইয়া, মাখরুমা মিমি, এ্যানি আক্তার, ইয়ামিন ভূঁইয়া। পরে অতিথিরা ঝরাপাতার বর্ষপূর্তিতে কেক কাটেন ও প্রতিবন্ধী, অসহায় দুস্থদের মাঝে জামা কাপড় বিতরণ করেন।

সাফল্যের ২য় বর্ষে ঝরাপাতা প্রতিবন্ধিদের পাশে

সুুমন আহম্মেদঃ
আর নয় ঢাকা, এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে হৃদরোগের চিকিৎসা। হৃদরোগের সবধরনের চিকিৎসাসেবা দিতে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় নির্মিত হয়েছে ৫০ শয্যার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বহুল কাঙ্ক্ষিত এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সভাপতি ডা. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হায়াৎ উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা মেয়র নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।

প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ প্রজেক্ট) মাধ্যমে নির্মিত ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ১০টি আইসিউ বেড, ১০টি সিসিইউ বেড ও পাঁচটি পিসিইউ বেড রয়েছে। প্রতিদিনি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে এখন থেকে হৃদরোগের চিকিৎসা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন (মিথুন মাহফুজ) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব। জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস সাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন (মিথুন মাহফুজ) এর মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব গভীর শোকাহত।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, সহ সভাপতি মোঃ হাসান আলী রেজা দোজা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার শিউলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বি. এম. সাগর প্রমুখ।
বিবৃতিদাতারা মরহুমের বিদেহী  আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন’র মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের শোক

ফেসবুকে আমরা..