উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে শনিবার সকালে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহাম্মদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সভাপতি হাজী আবদস সোবহান মাখন, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য আবুল খায়ের, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক ও তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,মওলানা ভাসানী ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ, ইতিহাসে যার যেটুকু প্রাপ্য তা তাকে দিতেই হবে ।সকল প্রকার দেশীয় শোষণ নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপোষহীন । বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে ভাসানী সবসময়ই পথের দিশারী । বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ’৭২ এর সংবিধানে সন্নেবেশিত চার মূলনীতি অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালিত হলে মৌলবাদী গোষ্ঠী এ ধরণের আস্ফালন দেখাতে সাহস পেতনা । কোন প্রকার আপসকামীতা নয় সংবিধান থেকে রাস্ট্র ধর্ম বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার জন্য ৭২ এর সংবিধান পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

বক্তারা মওলানা ভাসানী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ প্রকৃতি তথা জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং সা¤্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের আহবান জানান। সভা থেকে বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুণরায় চালু করার জন্য দাবি জানানো হয় এবং রাস্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলো ব্যক্তি মালিকানায় না ছাড়াও দাবি জানানো হয় ।

সরাইলের শাহবাজ পুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ নাগের দুটি ঘর রাতের আধাঁরে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধীর ছেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত

botv news:

কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাক বাংলো এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সঞ্জয় রায় পোদ্দার, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বিল¬াল মিয়া, দুলাল মিয়া, আবুল কালাম, সন্তোস মোহন ঋষি, আলি আকাশ, অপূর্ব দেব প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভুলন্ঠিত করতে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বাস্তবায়নের পুরানো খেলায় উঠেছে। প্রকৃত অর্থে তারা পাকিস্তানি শাসক চক্রের ন্যায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে আবারো পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। এরা কৌশলে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করলেও, এদের অবস্থান বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।

বক্তারা আরো বলেন, বাঙালির চেতনায় সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বাঙালির অন্তরে চির দীপ্যমান এক মহান ব্যক্তি। বক্তারা অবিলম্বে^ ৭২এর সংবিধান পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

botv news:

চার বছরেও পূরণ হয়নি বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি। ২০১৬ সাল থেকে  কুখ্যাত  রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নাম পরিবর্তন করে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে খাদুরাইল সড়কটির নামকরন করার জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়।

বাধ্য হয়ে এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চম্পকনগর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবনের   সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সার্জেন্ট (অবঃ) তারা মিয়া, সাবেক কমান্ডার ফরিদ আহমেদ ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় আহমেদ, চম্পকনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে “রাজাকার দেলোয়ার হোসেন”এর নাম বাদ দিয়ে খাদুরাইল সড়কটি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেলোয়ার হোসেন উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে উপজেলার অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ লুটপাট করা হয়েছিল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় দালাল আইনে মামলা করা হয়।  ওই মামলায় রাজাকার দেলোয়ার হোসেন ৩ মাস ১০ দিন কারাবাস করেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আবার মাথাচারা দেয় কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের পেতাত্বরা।  উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের  খাদুরাইল গ্রামের সড়কটি “রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়।

২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের বরাবর এই নাম পরিবর্তনের আবেদন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বাস্তবায়ন না করায় এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোঃ ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

চার বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

boTv news:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের অর্ন্তভুক্ত দল সমূহের উদ্যোগে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের মুক্ত মঞ্চে বিজয় আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বিকাল ৪টায় সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমার পারভেজের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মনির হোসেনের সভাপতিত্বে বিজয় আবৃত্তি উদ্ধোধন করেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দীকি,জেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক এস আর এম ওসমান গণী সজীব, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মীলন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মান বর্ধন পাল, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো: জাহাঙ্গীর আলম,  জেলা উদিচি”র সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান,  সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড: লোকমান হোসেন, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, আবৃত্তিশিল্পী বাছির দুলাল।

অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন আ ব র নি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, প্রবর্তক আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র।

একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সোনালী সকালের ফাহিম মুনতাসির প্রবর্তকের নির্জয় হাসান সোহেল, আ ব র নি”র শারমিন সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবৃত্তি একাডেমি”র মনিরুজ্জাম ভূইয়া ‍শিপু।

পরে কবির কলমের সম্পাদনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসের বিশেষ ক্রোড়পত্র ”মুক্ত ডানায় বিজয়ের কাব্য”এর  মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসে বিজয় আবৃত্তি অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বে সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যারা তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো এবং পরোক্ষভাবে পাকিস্তানীদের সহযোগীতা ও সমর্থন করেছিলো তাদের সন্তানেরা, দালালদের সন্তানেরা আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে।
তিনি গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল মিছিল পূর্ব সমাবেশে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তোমাদের কোনো সহযোগিতা পাইনি। তারপর আল¬াহর রহমতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আগামীদিনেও তোমাদের সহযোগীতা ছাড়াই আমরা এগিয়ে যাবো। তোমাদের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আল্লাহর  সাহায্য প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তোমরা তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে হানাদার বাহিনীকে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে সকল অপকর্মে সহযোগিতা করেছিলে। সেই কথা আমরা এখনো ভুলিনি। সুতরাং আস্ফালন করবা না। আস্ফালন করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কোন আপোষ করা হবেনা।
এর আগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগীদের নেতা-কর্মীদের এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আস্ফালন করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে

botv news:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে কে হবে দলীয় প্রার্থী তা নিয়ে (৫ডিসেম্বর শনিবার) ছিল  তৃনমুল নেতাকর্মীদের মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ভোট।

বাংলাদেশ আওয়মীলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের পূর্বঘোষিত তারিখ ছিল। এজন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত দিনটি ছিল সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের পদভরে উত্তাল।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ি (জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পৌর আওয়ামীলীগ) এই তিন ইউনিটের ৩০ জন নেতাকর্মী ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও মেয়র পদে জেলার বড় নেতা থেকে শুরু করে পাতিনেতাদের ২৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় উপরের তিনটি ইউনিট থেকে ১০০ জন নেতাকর্মীর ব্যালটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হয়।

তবে শুরুতে মুড়ির মোওয়ার মতো ২৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও তাদের মধ্যে ২০ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। শেষ পর্যন্ত তৃনমুলের রায়ের মুখোমুখি হয় মাত্র ১৬ জন। আর আলোচনায় আসেন মাত্র ৫ জন।

সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়, বর্তমান মেয়র নায়ার কবিরের অবস্থান প্রথম। দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথ ভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম। তারপরের অবস্থান জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া।

এই ৫ জন থেকে ৩ জনের নাম যাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তরে সেখান থেকে ১ জনের হাতে দিবে নৌকার বৈঠা, যিনি হবেন আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি।

৫ জন থেকে ৩ জন করার কাজটি করবেন (জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ) এই তিনটি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ৬ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি।

রোববার রাতে এই কমিটির বৈঠক বসবে বলে তিনি জানান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনি আরো বলেন- প্রার্থী বাছাই-এ তৃনমুলের মতামতের বাইরেও ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা, সততা এবং যোগ্যতার বিষয় মুল্যায়ন করা হবে।

 

কে হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি ?

ফেসবুকে আমরা..