botvনিউজ:

আগামী ২২ আগষ্ট পবিত্র ঈদ-উল আযহা। ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোরবানীর পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে।
পবিত্র ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার খামারে লক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। খামারগুলোতে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খামারগুলোতে নজরদারী রাখা হচ্ছে যাতে করে ক্যামিক্যালের মাধ্যমে কোরবানির পশু মোটা তাজা করা না হয়।খামারীদের দাবি দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে কোরবানির পশু রয়েছে। কোরবানী উপলক্ষে ভারত বা অন্য কোন দেশ থেকে যদি পশু আমদানি করা হয় তাহলে হুমকির মুখে পড়বে দেশীয় খামারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭ শ ৩৫ টি গবাদি পশু।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১ লাখ ৮১ হাজার পশু কোরবানি করা হয়। এবছরও সমপরিমান কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে।

তবে খামারীরা বলছেন, চাহিদার অনুপাতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। এসব কোরবানীর পশুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা তাজা করনের জন্য খামারীরা প্রশিক্ষন নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন। কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা গবাদী পশুগুলোকে ঘাষ, খড়, খৈল, ভুষিসহ দেশীয় খাবারের মাধ্যমে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। খামারীরা জানায়, জেলায় যে পরিমান গবাদি পশু আছে তা দিয়েই কোরবানীর চাহিদা মেটানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের আবুল বাশার জানান, কোরবানীর ঈদে বিক্রি করার জন্য তিনি গত এক বছর ধরে ১৬ গরু লালন পালন করছেন। তিনি জানান, গরুগুলোকে শুধুমাত্র ঘাষ, খড়, খৈল ও ভূষি খাওয়ান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ক্যামিক্যালের মাধ্যমে কোরবানির পশু যাতে মোটা তাজা করা না হয় সে ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্যামিকেলের ব্যবহার রোধে নিয়মিত পর্যবেক্ষনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদী পশু মোটা তাজা করনের জন্য খামারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।
###

 

খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়ছেে লক্ষাধকি গরু

ফেসবুকে আমরা..