সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বিক্রি ও প্লাস্টিকের বস্তা মজুদ রাখার দায়ে দুই অটো রাইস মিলকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বি এম মশিউজ্জামানেরর নেতৃত্বে গঠিত দুটি পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের মেসার্স গ্লোবাল অটো রাইস মিলের মালিক নাসির উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা এবং মেসার্স জামান এন্ড সন্স অটো রাইস মিলের মালিক জুয়েল রায়কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার দুপুরে তাঁর (পঙ্কজ বড়–য়া) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বি এম মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে দুটি ভ্রাম্যমান আদালত সুহিলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্লাস্টিকের বস্তায় মজুদকৃত প্রায় ৭০০ বস্তা চাল রাখা এবং প্রতিষ্ঠানের নামে ছাপানো প্রায় ১০০০০ খালি প¬াস্টিকের বস্তা রাখার দায়ে মেসার্স গ্লোবাল অটো রাইস মিলকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুতকৃত প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি প্রায় ৩০০ বস্তা চাল এবং প্রতিষ্ঠানের নামে ছাপানো প্রায় ১০০০০ খালি প্লাস্টিকের বস্তা মজুদের অপরাধে মেসার্স জামান এন্ড সন্স নামক অটো রাইস মিলকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে দুই অটো রাইস মিল থেকে জব্দকৃত খালি প্ল¬াস্টিকের বস্তা উম্মুক্ত স্থানে জনসমক্ষে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া আরো বলেন, পন্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০/৪ অপরাধে ১৪ ধারায় এই জরিমানা আদায় করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
###

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই অটোরাইস মিলকে জরিমানা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফয়জুল আজিম নোমানকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলী করা হয়েছে। বুধবার জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তার এই বদলীর আদেশ আসে। জেলা পুলিশের একটি সুত্র জানায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এডিশনাল আইজি ড.মো: মঈনুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই বদলীর আদেশে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহন করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে তাকে। অন্যথায় ৬ই ডিসেম্বর থেকে তার তাৎক্ষনিক বদলী বলে গন্য হবে। বদলীর এই আদেশটি হয় ২৬ নভেম্বর।

ইয়াবা ব্যবসায় সাথে জড়িত থাকার কারণে গত ক’দিন ধরেই আলোচিত ছিলেন ওসি ফয়জুল আজিম নোমান। তার থাকার কক্ষ থেকে কয়েক’শ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেগুলো তার বাবুর্চি জাহিদ ভূইয়া (৩০) নিজের বাসায় নিয়ে গেলে ওসির নির্দেশে পরদিন তাকে আটক করে বিজয়নগর থানা পুলিশ। ২২ নভেম্বর জাহিদকে আটক করে ৫ দিন থানায় রেখে মঙ্গলবার তাকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বাবুর্চিকে আটক করার পরই প্রকাশ পায় ইয়াবাগুলো ওসির বিছানার নিচে ছিলো। সেগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ওসি ক্ষুব্দ হন তার ওপর। তবে ওসি ফয়জুল আজিম নোমান সাংবাদিকদের জানান তার কক্ষটি পরিস্কারের পর ময়লাস্তুপ করে রাখার স্থানে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো পেয়ে জাহিদ তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। ওসি বলেন মুলত জাহিদ বিক্রি করার জন্যেই ট্যাবলেটগুলো সেখানে রেখেছিলো। এর আগে থানা থেকে সে মোবাইলও চুরি করে নিয়ে গেছে। ইয়াবা ট্যাবলেট ও মোবাইলসহ তাকে আটক করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতম কর্মকর্তারা ২৩ নভেম্বর রাতে থানায় গিয়ে এঘটনার তদন্ত করেন।

বিজয়নগর থানার এসআই হাসান খলিল উল্লাহ বাদী হয়ে বাবুর্চি জাহিদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলার এজাহারে তার কাছ থেকে ৩১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক কিনে এনে বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়। ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জাহিদের শ্বশুর খাদুরাইল গ্রামের মর্তুজ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করার উল্লেখ করা হয় ওই এজাহারে। ফয়জুল আজিম নোমান সীমান্তবর্তী এই থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে যোগ দেন ২০১৮ সালের ৬ জুন। এরপর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর অফিসার ইনচাজ্রের দায়িত্ব পান। তার এখানে যোগ দেয়ার পরই মাদক ব্যবসা প্রসার পায়। অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। ওসি নিজেও মাদকসেবী বলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।

###

ইয়াবা কান্ডে বদলী বিজয়নগরের ওসি

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ৫টি চোরাই গরুসহ ৫ গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় গরুবাহী একটি পিকআপ ভ্যানও আটক করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চান্দুরা সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের জাকির হোসেন- (২২) একই উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ি গ্রামের মোঃ ইয়ামিন-(২০), একই এলাকার মোঃ আবুল কাসেম-(২০), মোঃ গোলাম কাদির-(৫৫) এবং সরাইল উপজেলার বারিউড়া গ্রামের মোঃ বাদল মিয়া-(২৮)।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম (নোমান) জানান, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থেকে ৫টি গরু চুরি নিয়ে আসার সময় বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে গরুবাহী পিকআপ ভ্যানসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গরুর মালিকরা তাদের গরু নিয়ে যেতে থানায় যোগাযোগ শুরু করেছেন।
###

বিজয়নগরে ৫টি চোরাই গরুসহ গ্রেফতার -৫ ॥ পিকআপ ভ্যান আটক

সুমন আহম্মেদঃ
আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হবে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফি উদ্দিন মোহাম্মদ জুবায়ের,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক।
###

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো মোবাইল অ্যাপস্ এর প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
গতকাল সোমবার দুপুরে খাদ্য শস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপস্ এর পাইলটিং প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তর ও অংশীজনের সাথে ভিডিও কনফারেন্স শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডঃ মোছাম্মৎ নাজমানারা খানমের সাথে যুক্ত হন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

এ সময় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ৪ হাজার ৮শ মেট্টিক টন আমন ধান সরকারীভাবে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল অ্যাপস্ এর মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১ হাজার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ৯শ ৯৯ মেট্টিক টন ধান ১ হাজার ৪০টাকা প্রতি মন ( ৪০ কেজি) দরে সংগ্রহ করা হবে।

আগামী ৭ ডিসেম্বর মোবাইল অ্যাপস্ এর রেজিষ্ট্রেশনের শেষ দিন নির্ধারন করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধান সংগ্রহ কাজে কৃষকদের সহযোগীতা করবে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ক্রয় অভিযান চলবে। আধুনিক প্রক্রিয়ায় ধানক্রয়ে প্রান্তিক কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু নাসের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গ্রাম পর্যায়ের কৃষকেরা।
###

মোবাইল অ্যাপস্ এর প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো সংগ্রহ করা হবে ধান

সুমন আহম্মেদঃ
সুরে-ছন্দে-নৃত্যে-আবৃত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত রোববার রাতে শহরের পুরাতন জেলখানা পুকুরের পূর্বপাড়ে আসিফ টিউটোরিয়াল এন্ড হাই স্কুল উঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। বক্তব্য রাখেন জেলা জজ অরুনাভ চক্রবর্তী,সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব,সাহিত্য একাডেমী কবি জয়দুল হোসেন,সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার ও নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ। আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পিদের পরিবেশনায় সমবেত ও একক সঙ্গীত,নৃত্য এবং তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পরিবেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি উপভোগ করেন বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া এক নবজাতক নিয়ে

ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর ওই নবজাতককে যে মায়ের কোলে দেয়া হয়েছে তিনি এটি তার সন্তান নয় বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়। সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার, সুহিলপুরের তামান্না আক্তার ও পৌর এলাকার পাইকপাড়ার দিপ্তী রানী দাস ওই তিন সন্তানের জন্ম দেন।

শারমীন ও তামান্নার কোলে ছেলে শিশু এবং দিপ্তীর কোলে মেয়ে শিশু তুলে দেন ডাক্তার। কিন্তু জটিলতা তৈরি হয় তামান্না ও দিপ্তীর সন্তান নিয়ে। দিপ্তী মেয়ে শিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার ছেলে সন্তান তার বলে দাবি করেন।

দিপ্তীর মা শোভা রানী বিশ্বাস জানান, সদর হাসপাতালেই তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলে প্রতিবারই তার মেয়ের গর্ভে ছেলেসন্তান আছে বলে জানানো হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে তার কাছে মেয়ে শিশু দেয়া হয়। এ কারণে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তামান্নাকে দেয়া ছেলেসন্তানটি তার নাতি বলে দাবি করেন তিনি।

তবে তামান্নার স্বজন মো. বকুল মিয়া জানান, দিপ্তীর কোলে যে ছেলেসন্তান দেয়া হয়েছে সেটিই সঠিক। দিপ্তী ও তার মা কেন এমন করছে তা বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। একটা অস্ত্রোপচারের আধা ঘণ্টা পর আরেকটা হয়েছে। ডাক্তারও ছিলেন আলাদা। তারপরও যদি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে মেয়ে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
###

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বলছে ছেলে অথচ ডাক্তার ধরিয়ে দিলেন মেয়ে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদেরকে জেলার সব মসজিদে তাবলিগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সমঝোতা মোতাবেক মার্কাজ মসজিদে বয়ান করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাদপন্থীরা।

গত শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডা তিতাসপাড়ায় সাদপন্থীদের অস্থায়ী মার্কাজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রভাষক মোঃ সোহরাওয়ার্দী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের বাঁধার মধ্যে দিয়েই জেলার বিভিন্ন মসজিদে আমাদের জামাত চলছে। অনেক সময় জুবায়ের পন্থীরা আমাদেরকে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আমাদের জামাতকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমরা বারবারই ধৈর্য্য ধরে সংঘর্ষ এড়িয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত বুধবার (২০ নভেম্বর ) বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ায় তার নিজ মহল্লার আব্দুল আলীম ওয়াফকাহ ট্রাস্ট জামে মসজিদে আছরের নামাজ শেষে মহল্লার কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে দোয়া করার সময় মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারী ৭০/৮০ জন কওমী মাদরাসা ছাত্র ওই মসজিদে ঢুকে মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আবদুর রহিমের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয় ও তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মসজিদের ভেতরেই ঢলে পড়েন। সাথে সাথে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ এবিএম মুসা চৌধুরি তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আবদুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন, প্রশাসন কোনো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জুবায়েরপন্থী কওমী মাদরাসার ছাত্রদের সাহস দিন দিন বাড়ছে। এ কারনেই আবদুর রহিমের এই পরিণতি।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবেন গেলে তিনি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমাদেরকে বলেন- এটি জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা। আমরা এর কোনো সমাধান দিতে পারব না।

তিনি প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি আলাদা কোনো রাষ্ট্র? এখানে কি বাংলাদেশের সংবিধান প্রয়োগযোগ্য নয়? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে না?
এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল মসজিদে সাদপন্থীদের তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়াসহ পৌর এলাকার বিরাসারে অবস্থিত মার্কাজ মসজিদ তাদেরকে ব্যবহারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা আনিসুর রহমান ও আব্দুল আহাদসহ সাদপন্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের সাথে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনেরও বেগ পোহাতে হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আইন দিয়ে ধর্মকে নিয়ন্ত্রন করা যায়না। তিনি বলেন, যেহেতু মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দুইপক্ষকে নিয়ে বসে একটা সমঝোতা করে দিয়েছেন তাই আমরা সাদপন্থীদের বলেছি আপনাদের কোন সমস্যা থাকলে আপনারা মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেন। আমরা কাউকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে দেবনা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাদপন্থীদের সংবাদ সম্মেলন সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেয়ার দাবি

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকীর উপস্থিতিতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানতে পেরে সকাল থেকেই লোকজন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এসে লাইনে এসে দাঁড়ায়। পুরুষ ও মহিলারা দুইটি পৃথক লাইনে দাড়িয়ে জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করে। লোকজনের ভীড় এড়াতে এবং সুশৃংখলভাবে যাতে লোকজন পেঁয়াজ কিনতে পারেন সেজন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

রোজগার ট্রেডার্স নামে টিসিবির একজন ডিলারের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ভাষা চত্বরের ফটক বন্ধ করে জানানো হয়, লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের দিয়েই শেষ হবে পেঁয়াজ বিক্রির কাজ। পুলিশ কনস্টেবল মোঃ হেলাল মাইক হাতে এ ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ভীড় কমতে থাকে।

রোজগার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি নুরুন্নাহার বেগম জানান, বুধবার বিকেলে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানানো হয়। আমাদেরকে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বেশ ভালোভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি করা গেছে।
পেঁয়াজ কিনে বেরুনোর সময় পৌর এলাকার পৈরতলার পারুল বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দোকান থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। এখানে কমদামে বিক্রি হচ্ছে জেনে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছি।

পেঁয়াজ কিনে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার মেড্ডা গ্রামের আব্দুস সামাদের-(৭০) জানান, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে তিনি এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। গতকাল বুধবার পৌর কার্যালয়ে কাজে এসে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা শুনে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেন।

পেঁয়াজ কিনতে আসা মোঃ শাহ আলম, মোঃ আলীসহ আরো কয়েকজন টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘টানা কয়েকদিন এ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। আশা করি আগের দামেই বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা যাবে।

পেঁয়াজ বিক্রি তদারকি করতে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। তিন দিনে মোট তিন টন পেঁয়াজ দেয়া হবে। শনি ও রবিবার একইস্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আপাতত একস্থানেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে। আরো বরাদ্দ পাওয়া গেলে কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হবে।
###

টিসিবির ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু ॥ ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর স্কুল এন্ড কলেজে এএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্তি টাকা আদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় আড়াই’শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২২০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে অভিভাবকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই আবেদনের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরেও পাঠানো হয়।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্তি ১০০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সদ্য সমাপ্ত (গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু) হওয়া জেএসসির আড়াই’শ পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার কথা বলে অতিরিক্ত ২২০ টাকা করে আদায় করা বলে অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নামে অভিযোগকারীদের একজন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জিনোদপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক গোলাম সাদেকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন,‘অতিরিক্ত নেয়া টাকা আপাতত ফেরত দিতে প্রধান শিক্ষককে আজই নির্দেশ দিয়েছি। আগামি রবিবার স্কুলটি পরিদর্শনে গিয়ে বাকী ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন,‘অভিযোগের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
###

নবীনগরে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্তি অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ!

ফেসবুকে আমরা..