স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্থা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাংবাদিক আবদুন নূর ও আল-আমিন শাহীন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনুসন্ধ্যানী সাংবাকিকতার পথিকৃৎ রোজিনা ইসলাম। তিনি করোনার এই মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করেছেন। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রতিবেদন করেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনের ব্যক্তিগত অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকেরা রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে তাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের মতো এক অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিককে গলা চেপে ধরেছে। তিনি রোজিনা ইসলামের নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
বক্তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। বক্তারা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে সাংবাদিক সমাজ। প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে জড়ো হন। মানববন্ধন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, সরাইল প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেন।