সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলা দুটি হচ্ছে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলা এবং অপরটি হচ্ছে কসবা উপজেলার নূরুল হক হত্যা মামলা।
আশুগঞ্জের কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ নাহিদ মিয়া, মোঃ আনিসুর রহমান। এবং কসবার নূরুল হক হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়া।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের মাধুরপাড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে ও কলেজছাত্র সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর তার লাশ স্থানীয় নতুন চকবাজার এলাকার একটি সেতুর পাশে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোঃ মোহন মিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, মোঃ শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদন্ড এবং সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
অপরদিকে, গত ২০০০ সালের ২৮ জুলাই কসবা উপজেলার সৈয়দপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা নূরুল হকের উপর হামলা করে। ঘটনার তিনদিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল হক মারা যান। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং আসামী হনুফা বেগম এবং হেলেনা বেগমকে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের এ.পি.পি মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট।
###