স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য গিয়ে হোসনে হুর বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে গিয়ে তিনি মারা যান।

মৃত হোসনে হুর বেগম সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আরজুমান মিয়ার স্ত্রী।

সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা হোসনে হুর বেগম বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিলো। ৪/৫ দিন আগে জেলা সদরের একজন চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে ফরম ফিলাপের পর নমুনা দেয়ার আগ মুহুর্তে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই বৃদ্ধা নমুনা পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ করে নমুনা দেয়ার প্রাক্কালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা বলা যাচ্ছেনা তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিলো।

সরাইলে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে এসে হাসপাতালেই বৃদ্ধার মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে ইভা আক্তার (৮) নামে এক শিশু নিহত এবং ১২জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার খাড়েরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইভা আক্তার নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে।

দুর্ঘটনায় আহত ১২ জনের মধ্যে নিহত ইভার মা ইয়াছমিন বেগম (২৮), পারুল বেগম (২৮), রিনা আক্তার (২৭), তাহমিনা বেগম (৩২), তরিকুল ইসলাম (২৮), সিরাজ মিয়া (৩২), রাজেশ (৩৪) ও শারমীন আক্তার (২৬) কে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ও নিহত ইভার বাবা ইব্রাহিম মিয়াকে (৩২) কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা সবাই নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা ও গার্মেন্টস কর্মী। তারা ঈদের ছুটি কাটিয়ে লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে কর্মস্থল চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনা থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে কসবা উপজেলার খাড়েরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের সামনে পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খায়। এতে মাইক্রোবাসে সবাই আহত হন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু ইভাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু ইভার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ইভার মা ইয়াছমিনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। নিহত শিশুর লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

কসবায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, আহত ১২

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুরক্ষায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) ও জাইকার অর্থায়নে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লানটি স্থাপিত হয়।

সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন ও সিলিন্ডার সরবারাহ উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা ও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুপুর সাহা।

বক্তব্য রাখেন জাইকার স্থানীয় কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নজরুল, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।


এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি স্থাপন করতে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল আহম্মেদ ৩টি, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নজরুল ১টি, প্রবাসী মোঃ পারভেজ ১টি ও প্রবাসী চপল একটি করে মোট ৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যক্তিগতভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সরবরাহ করেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় স্থাপিত অক্সিজেন সিলিন্ডারের সুইচ টিপে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সংকটাপন্ন রোগীদেরকে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিতে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “বাউনবাইরার কতা ও হেল্পলাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রুপ” এর উদ্যোগে চালু হয়েছে “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক” সেবা।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার দক্ষিণ মোড়াইলে “ নিঃশ্বাস নিবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০টি সিলিন্ডার নিয়ে তাদের এই সেবাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন ও অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল, অক্সিজেন ব্যাংকের সমন্বয়কারী সোহেল রানা, বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন মোঃ আরিফুল ইসলাম মোল্লা, রনি খান, সাইফুল ইসলাম, জুবায়ের হায়দার রিয়েল, মোশাররফ হোসেন, সাইফুল জুয়েল, মাহবুব আলম উজ্জ্বল, আতিকুর রহমান, গোলাম কায়সার কিবরিয়া প্রমুখ।

বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন ও অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল এবং অক্সিজেন ব্যাংকের সমন্বয়কারী সোহেল রানা ভূইয়া বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নাকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। রোগী অনুপাতে হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরকে সংকটময় মুহুর্তে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক”।

তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ২০টি সিলিন্ডার ও ৫০জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ কমপক্ষে ১০০টি সিলিন্ডার দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেয়া। আমাদের এই সেবাদান কর্মসূচীতে অর্থের যোগান দিচ্ছেন দেশ-বিদেশে থাকা গ্রুপের শুভাকাঙ্খী, দানশীল ব্যক্তি, পরিচিত ও-অপরিচিত মানুষজন। তারা বলেন, তাদের চারটি হটলাইন নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। হটলাইনে ফোন করে করোনা আক্রান্ত যে কেউ বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার জনকে তারা ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন।

ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “ বাউনবাইরার কতা” এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু

ফেসবুকে আমরা..