নিউজ ডেস্কঃ স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ কার্যক্রম উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা ও অন্তঃ বিভাগে সিজার করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা।

সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতাল গুলোর মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উপলক্ষে ৫দিন ব্যাপী চিকিৎসা সেবার আজ ৪র্থ দিনে হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসাসেবা ও অন্তঃ বিভাগে সিজার করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা।

৪র্থ দিনেও হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালটেন্টগন রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছিল এবং ওটিতে অপারেশন করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা ।

সদর হাসপাতালের ১০৯(ক) কক্ষে- ডাঃ শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ, ১০৯(খ) ডাঃ মোহাম্মদ আলী, ১১০ কক্ষে- ডাঃ নিজামউদ্দিন, ডাঃ শাহজাহান, ১১১ কক্ষে- ডাঃ ইছা মোঃ বাকের, ও ডাঃ মোঃ মনির হোসেন, ১১২ কক্ষে- ডাঃ এম এ এহসান, ১১৫ কক্ষে- ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপী ও শারমীন হক স্বর্না, ২১২ কক্ষে- ডাঃ ফখরুল আলম আশেক, ২১৫ কক্ষে- ডাঃ আজহারুর রহমান তুহীন, ২১৬ কক্ষে- ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন সাহেদ, ৩০২ কক্ষে- ডাঃ মোঃ রাজীব আহসান, ৩০৩ কক্ষে- ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৩০৭ কক্ষে- ডাঃ এ কে এম নিজামউদ্দিন। সদর হাসপাতালের ওটিতে ডাঃ ফৌজিয়া আখতার, ডাঃ মারিয়া পারভীন, ডাঃ মাফিদা আক্তার হ্যাপি, ডাঃ নুরুল আমিন ভুইয়া পিয়াল, ডাঃ খোকন দেবনাথ, ডাঃ মোশফাকুর রহমান পলাশ এর নেতৃত্বে ২-৪ টি সিজার করা হয় ।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধারক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন- সারা বাংলাদেশের কর্মসূচি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ কার্যক্রম উপলক্ষে ১৬-২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে ।

 

শুক্রবারেও চলছে সদর হাসপাতালে বহিঃ বিভাগে চিকিৎসাসেবা

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুতগামী ট্রাক ও সিএনজি-চালিত অটোরিকশা সংঘর্ষে মো. হানিফ নামে এক আড়াই বছরের শিশু নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের রাধিকা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হানিফ জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অটোরিকশার আরও চার যাত্রী আহত হয়েছেন। এরা হলেন, নিহত হানিফের বাবা মোরশেদ মিয়া (৩০) ও মা নাজমা বেগম (২৫), মিলন মিয়া (২৮) এবং রাশেদা বেগম (৩৫)।
এর মধ্যে নিহত হানিফের বাবা মোরশেদ মিয়া ও মা নাজমা বেগমকে মূমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত হানিফের নিকট আত্মীয় নাইমা আক্তার জানান, হানিফের বাবা নবীনগর দরুইল উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারীর কাজ করে। হামিফের মা নাজমা বেগম অসুস্থ থাকায় শুক্রবার সকালে সিএনজি যোগে জেলা শহরে চিকিৎসার জন্য আসছিল। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়াণ চন্দ্র দাস দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে রাধিকা এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা জেলা শহরের দিকে আসছিল। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা দ্রুতগতির একটি পণ্যবাহী ট্রাক চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

ট্রাকটিকে আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

###

ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর, বাবা-মা আহত

ফেসবুকে আমরা..