সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পৌর এলাকার ভাদুঘর ডিএস কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট হাজী সামসুল হক ভূইয়া ওরফে কনু ভূইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—-রাজিউন)।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় কাজীপাড়ার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ৪ ছেলে ৩ মেয়ে নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

বুধবার বাদ জোহর কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর পৌর এলাকার ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

জেলা ঈদগাহ মাঠের নামাজে জানাযায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সর্ংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
###

শোক সংবাদ হাজী সামছুল হক ভূইয়া

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলের আত্মীয়দের দু’দফা হামলায় একটি জেলে পরিবারের নারী ও শিশু সহ ৮জন আহত হয়েছে।
বুধবার পৌর এলাকার ভাদুঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা জেলে পরিবারের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

হামলায় আহতরা হলেন, কার্তিক বর্মণ-(৬৫), কৃষ্ণ বর্মণ-(৪৫), সাবিত্রী বর্মণ-(৪০), সেতু বর্মণ-(৪০), নুপুর বর্মণ-(১২), জবা বর্মণ- (১০), ইতি বর্মণ-(৬) ও পূজা বর্মণ-(৫)। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে সন্ধ্যা নাগাদ এ ঘটনায় থানায় মামলা হয় নি।

বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার ভাদুঘর এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের নিকটাত্মীয় নুরুল হুদার সাথে বাড়ির সীমানায় খুঁটি কোপা নিয়ে বুধবার সকাল সাতটার দিকে কার্তিক বর্মণের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নূরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা কার্তিক বর্মণকে মারধর করে। এ সময় তার ছেলে কৃষ্ণ বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পুনরায় বিকেলে নুরুল হুদার লোকজন কার্তিক ও তার পরিবারের লোকদেরকে মারধোর করে ও ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রফিকুল ইসলাম নেহার বলেন, ‘ঘটনাটি তেমন কিছু নয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করে মীমাংসা করে দিবো। হামলার শিকার পক্ষটি তাঁর কাছে আসেন নি বলে জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন সন্ধ্যায় জানান, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায় নি। আমার জানা্ নেই। তবে এ ধরণের অভিযোগ এলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে পরিবারের উপর দু’দফা হামলায় আহত-৮

ফেসবুকে আমরা..